শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, সময় : ০৫:৪২ am

সংবাদ শিরোনাম ::
পোষ্যকোটা বাতিলের দাবিতে রাবির প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ নাচোলে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা পুলিশ লাইনস স্কুলের ঘটনায় দুই মামলায় জামিন পেলেন আসামিরা বিএমডিএর কার্যালয়ে হামলার প্রতিবাদে তানোরে কৃষক সমাজের বিক্ষোভ রাজশাহীতে নগর ভবনে দুদকের হানা, তিন ফাইল জব্দ নাচোলে পৌর বিএনপির কর্মী সম্মেলন বাগমারায় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত সংস্কারের নামে সময় অপচয় যেন না হয় : মেজর জেনারেল শরীফ উদ্দিন তানোরে নতুন বই উৎসবের অভাব, হতাশ শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীরা মোহনপুরে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৩ বাইক আরোহীর মোহনপুরে শীতার্তদের মাঝে লেপ বিতরণ করলেন বিভাগীয় কমিশনার নগরীতে পুলিশের অভিযানে মদপান সন্দেহে গ্রেপ্তার ৬ হারানো ২১টি মোবাইল মালিকদের হস্তান্তর করলেন আরএমপির কমিশনার রাজশাহীতে এক কেজি গাঁজাসহ নারী গ্রেপ্তার বিএমডিএর অপারেটর নিয়োগ প্রতিবাদে বিক্ষোভ, অফিসে তালা তানোরে নানান কর্মসূচীতে তারুণ্যের উৎসব উদযাপিত গুলিবর্ষণ মামলায় সাবেক এমপি আসাদ এবার রিমান্ডে দুর্গাপুরে দুরন্ত মডেল একাডেমিতে পরীক্ষার ফলাফল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান নাচোলে সাংবাদিক কল্যাণ আয়োজনে ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প গোদাগাড়ীতে এক কলেজের অধ্যক্ষ ও অফিস সহকারী অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা
বাঘায় দুই সেতুর সংযোগ সড়ক তৈরি হয়নি ৪ বছরেও

বাঘায় দুই সেতুর সংযোগ সড়ক তৈরি হয়নি ৪ বছরেও

আমানুল হক আমান, বাঘা (রাজশাহী) : রাজশাহীর বাঘায় চরের বাসিন্দাদের যাতায়াতের জন্য দুটি সেতু নির্মাণ করা হলেও তা কোনো কাজেই আসছে না। সেতু নির্মাণের চার বছর পেরিয়ে গেলেও তৈরি হয়নি সংযোগ সড়ক। এ কারণে দুপাড়ের বাসিন্দারা সেতুর পাশ দিয়েই চলাচল করেন। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের।

জানা যায়, ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে অবিভক্ত গড়গড়ি ইউনিয়নের পদ্মার চরাঞ্চলে নদীর দুটি নালার ওপর দুটি সেতু নির্মাণ করা হয়। বাঘা-লালপুর যাতায়াত সড়কের দক্ষিণে পদ্মার তীর ঘেঁষে সুলতানপুর ও কড়ালি নওশারা এলাকায় ৪০ ফুট দীর্ঘ এবং ১২ ফুট প্রশস্ত সেতু দুটির নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ৬৬ লাখ টাকা। কিন্তু নির্মাণের পর থেকে সেতু দুটির ওপর দিয়ে মানুষ কিংবা যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। শুধু সংযোগ সড়কের অভাবে কাজে আসছে না সেতু দুটি।

সংযোগ সড়কহীন সেতু দুটির একটি হল- সুলতানপুর সাধু মিয়ার মোড় সংলগ্ন এলাকার দক্ষিণের পদ্মা নদীর খালের ওপর। আরেকটি এর ৫০০ গজ পূর্বে কড়ালি নওশারা এলাকার খাদেম ও জালেকের বাড়ির দক্ষিণের পদ্মা নদীর খালের ওপর। সেতুর দক্ষিণে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের ফসলি জমি। সেই চরে বসবাস করে ৩৫টি পরিবার।

এসব পরিবারের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করতে আসতে হয় সেতুর উত্তর পাশের সুলতানপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নওপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রতিদিন স্কুল শিক্ষার্থীসহ অর্ধ সহস্রাধিক মানুষ এ পথ দিয়ে যাতায়াত করেন। সরেজমিন দেখা গেছে, পদ্মা নদীর নালার পানি মাড়িয়ে সেতুর পাশ দিয়ে চলাচল করছে মানুষ। সুলতানপুর এলাকার কলেজ শিক্ষক সোলাইমান হোসেন ও কড়ালি নওশারা এলাকার মুনসুর আলী মণ্ডল বলেন, জনস্বার্থে সেতু নির্মাণ করা হলেও চলাচলের জন্য মাটি ফেলে রাস্তা তৈরি করা হয়নি। নির্মাণের পর থেকেই সেতু দুটির এই দশা।

দাদপুর এলাকার সবজি ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, সেতুর উত্তরে সুলতানপুর, খানপুর বাজারে যেতে হলে অনেক দূর ঘুরে যেতে হয়। গড়গড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে দুইজন ঠিকাদার সেতুর কাজ করেছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা মাটি ফেলে ঠিক করে দিতে চেয়েছেন।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দীন লাভলু বলেন, আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে সেতুর কাজ হয়েছে। কিছু কর্মকর্তা ও ঠিকাদার এমন কাজ করে শুধু রাষ্ট্রের অর্থ অপচয় করেছে। জনগণের কোনো কাজে আসছে না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিন রেজা বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.