শনিবর, ২৭ জলাই ২০২৪, সময় : ০৮:৩১ am

সংবাদ শিরোনাম ::
কোটা সংস্কার সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ আরও দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু নগরীতে ছাত্রদলের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, আটক ৫ হতাহতের ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর নাচোলে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আজিজুর সভাপতি ও আবু সায়েম সম্পাদক সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণে সাবেক ডাকসু নেতা আখতার আটক রাজধানীতে রীরমুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ বৃহস্পতিবার গাজায় ইসরাইল বাহিনীর হামলায় নিহত ৫০ রাবি অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা, দুপুর ১২টায় হল ত্যাগের নির্দেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা সরকারি চাকরিতে কোটা আন্দোলন : সারাদেশে সংঘর্ষ, নিহত ৫ বিভাগীয় পর্যায়ে রাজশাহীতে সংবর্ধিত হলেন পাঁচ শ্রেষ্ঠ জয়িতা নাচোল উপজেলা হাসপাতালে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা ছাগলের পিপিআর ভ্যাকসিন ক্রয়ে ৩০ কোটি টাকা লোপাট কোটাবিরোধী আন্দোলকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, আহত ৮০ বাগমারায় এনজিকর্মীর আপত্তিকর ভিডিও ধারণে ৩ জন গ্রেফতার আরইউজের সদস্য হতে আগ্রহীদের কাছ থেকে আবেদন আহ্বান ছাত্রলীগের তিন নেতার পদত্যাগ, ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ চাকরিতে কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ নাচোলে সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত কোটা বিরোধী আন্দোলনে রাবি শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
বাঘায় দুই সেতুর সংযোগ সড়ক তৈরি হয়নি ৪ বছরেও

বাঘায় দুই সেতুর সংযোগ সড়ক তৈরি হয়নি ৪ বছরেও

আমানুল হক আমান, বাঘা (রাজশাহী) : রাজশাহীর বাঘায় চরের বাসিন্দাদের যাতায়াতের জন্য দুটি সেতু নির্মাণ করা হলেও তা কোনো কাজেই আসছে না। সেতু নির্মাণের চার বছর পেরিয়ে গেলেও তৈরি হয়নি সংযোগ সড়ক। এ কারণে দুপাড়ের বাসিন্দারা সেতুর পাশ দিয়েই চলাচল করেন। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের।

জানা যায়, ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে অবিভক্ত গড়গড়ি ইউনিয়নের পদ্মার চরাঞ্চলে নদীর দুটি নালার ওপর দুটি সেতু নির্মাণ করা হয়। বাঘা-লালপুর যাতায়াত সড়কের দক্ষিণে পদ্মার তীর ঘেঁষে সুলতানপুর ও কড়ালি নওশারা এলাকায় ৪০ ফুট দীর্ঘ এবং ১২ ফুট প্রশস্ত সেতু দুটির নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ৬৬ লাখ টাকা। কিন্তু নির্মাণের পর থেকে সেতু দুটির ওপর দিয়ে মানুষ কিংবা যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। শুধু সংযোগ সড়কের অভাবে কাজে আসছে না সেতু দুটি।

সংযোগ সড়কহীন সেতু দুটির একটি হল- সুলতানপুর সাধু মিয়ার মোড় সংলগ্ন এলাকার দক্ষিণের পদ্মা নদীর খালের ওপর। আরেকটি এর ৫০০ গজ পূর্বে কড়ালি নওশারা এলাকার খাদেম ও জালেকের বাড়ির দক্ষিণের পদ্মা নদীর খালের ওপর। সেতুর দক্ষিণে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের ফসলি জমি। সেই চরে বসবাস করে ৩৫টি পরিবার।

এসব পরিবারের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করতে আসতে হয় সেতুর উত্তর পাশের সুলতানপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নওপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রতিদিন স্কুল শিক্ষার্থীসহ অর্ধ সহস্রাধিক মানুষ এ পথ দিয়ে যাতায়াত করেন। সরেজমিন দেখা গেছে, পদ্মা নদীর নালার পানি মাড়িয়ে সেতুর পাশ দিয়ে চলাচল করছে মানুষ। সুলতানপুর এলাকার কলেজ শিক্ষক সোলাইমান হোসেন ও কড়ালি নওশারা এলাকার মুনসুর আলী মণ্ডল বলেন, জনস্বার্থে সেতু নির্মাণ করা হলেও চলাচলের জন্য মাটি ফেলে রাস্তা তৈরি করা হয়নি। নির্মাণের পর থেকেই সেতু দুটির এই দশা।

দাদপুর এলাকার সবজি ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, সেতুর উত্তরে সুলতানপুর, খানপুর বাজারে যেতে হলে অনেক দূর ঘুরে যেতে হয়। গড়গড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে দুইজন ঠিকাদার সেতুর কাজ করেছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা মাটি ফেলে ঠিক করে দিতে চেয়েছেন।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দীন লাভলু বলেন, আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে সেতুর কাজ হয়েছে। কিছু কর্মকর্তা ও ঠিকাদার এমন কাজ করে শুধু রাষ্ট্রের অর্থ অপচয় করেছে। জনগণের কোনো কাজে আসছে না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিন রেজা বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.