বৃহস্পতিবর, ৩১ অক্টোব ২০২৪, সময় : ০১:১৮ am
আমানুল হক আমান, বাঘা (রাজশাহী) : রাজশাহীর বাঘায় চরের বাসিন্দাদের যাতায়াতের জন্য দুটি সেতু নির্মাণ করা হলেও তা কোনো কাজেই আসছে না। সেতু নির্মাণের চার বছর পেরিয়ে গেলেও তৈরি হয়নি সংযোগ সড়ক। এ কারণে দুপাড়ের বাসিন্দারা সেতুর পাশ দিয়েই চলাচল করেন। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের।
জানা যায়, ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে অবিভক্ত গড়গড়ি ইউনিয়নের পদ্মার চরাঞ্চলে নদীর দুটি নালার ওপর দুটি সেতু নির্মাণ করা হয়। বাঘা-লালপুর যাতায়াত সড়কের দক্ষিণে পদ্মার তীর ঘেঁষে সুলতানপুর ও কড়ালি নওশারা এলাকায় ৪০ ফুট দীর্ঘ এবং ১২ ফুট প্রশস্ত সেতু দুটির নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ৬৬ লাখ টাকা। কিন্তু নির্মাণের পর থেকে সেতু দুটির ওপর দিয়ে মানুষ কিংবা যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। শুধু সংযোগ সড়কের অভাবে কাজে আসছে না সেতু দুটি।
সংযোগ সড়কহীন সেতু দুটির একটি হল- সুলতানপুর সাধু মিয়ার মোড় সংলগ্ন এলাকার দক্ষিণের পদ্মা নদীর খালের ওপর। আরেকটি এর ৫০০ গজ পূর্বে কড়ালি নওশারা এলাকার খাদেম ও জালেকের বাড়ির দক্ষিণের পদ্মা নদীর খালের ওপর। সেতুর দক্ষিণে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের ফসলি জমি। সেই চরে বসবাস করে ৩৫টি পরিবার।
এসব পরিবারের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করতে আসতে হয় সেতুর উত্তর পাশের সুলতানপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নওপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রতিদিন স্কুল শিক্ষার্থীসহ অর্ধ সহস্রাধিক মানুষ এ পথ দিয়ে যাতায়াত করেন। সরেজমিন দেখা গেছে, পদ্মা নদীর নালার পানি মাড়িয়ে সেতুর পাশ দিয়ে চলাচল করছে মানুষ। সুলতানপুর এলাকার কলেজ শিক্ষক সোলাইমান হোসেন ও কড়ালি নওশারা এলাকার মুনসুর আলী মণ্ডল বলেন, জনস্বার্থে সেতু নির্মাণ করা হলেও চলাচলের জন্য মাটি ফেলে রাস্তা তৈরি করা হয়নি। নির্মাণের পর থেকেই সেতু দুটির এই দশা।
দাদপুর এলাকার সবজি ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, সেতুর উত্তরে সুলতানপুর, খানপুর বাজারে যেতে হলে অনেক দূর ঘুরে যেতে হয়। গড়গড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে দুইজন ঠিকাদার সেতুর কাজ করেছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা মাটি ফেলে ঠিক করে দিতে চেয়েছেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দীন লাভলু বলেন, আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে সেতুর কাজ হয়েছে। কিছু কর্মকর্তা ও ঠিকাদার এমন কাজ করে শুধু রাষ্ট্রের অর্থ অপচয় করেছে। জনগণের কোনো কাজে আসছে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিন রেজা বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।