রবিবর, ১০ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:৪৭ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক , গোদাগাড়ী : রাজশাহীর গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশের উদ্যোগে এবং জেলা পুলিশ রাজশাহী ও এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায়, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের “মূলমন্ত্র, শান্তি-শৃঙ্খলা সর্বত্র” স্লোগানকে সামনে রেখে, আলোচনা সভা, বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে এবারের কমিউনিটি পুলিশিং ডে পালিত হয়েছে।শনিবার ২৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৩ টায় দিবসটি উপলক্ষে সারাদেশের মতো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশ।
গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল ইসলাম নেতৃত্বে আলোচনা সভায়, রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম বার এর সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথির হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ আব্দুল বাতেন বিপিএম, পিপিএম ডিআইজি, রাজশাহী রেঞ্জ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জানে আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, পৌর মেয়র মোঃ অয়েজউদ্দিন বিশ্বাস , এশিয়া ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম অফিসার শফিউল আওয়াল, দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি রবিউল ইসলাম, উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি আলমগীর হোসেন তোতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহদুল হক , বিশিষ্ট ব্যক্তি, সাধারণ জনগণ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন সিপিএফ কমিটির সদস্য।
বক্তারা বলেন, “পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কমিউনিটি পুলিশিং এগিয়ে যাচ্ছে। সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সে সাথে বাংলাদেশ পুলিশকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করছে কমিউনিটি পুলিশ।
এশিয়া ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম অফিসার সফিউল আওয়াল তাঁর স্বাগত বক্তব্যে বলেন, পুলিশের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা আস্থা বৃদ্ধি ও অপরাধ দমনের অন্যতম কৌশল হিসেবে কমিউনিটি পুলিশিং বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। উগ্রবাদ সন্ত্রাসবাদ বিরোধী মানুষিকতা তৈরি হয়েছে মানুষ সচেতন হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিআইজি রাজশাহী রেঞ্জ মোঃ আব্দুল বাতেন তিনি বলেন, ২০১৩ সালে স্বল্প পরিসরে পুলিশ সদর দপ্তরের উপ- মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) অপারেশনের অধীনে পৃথক শাখা হিসেবে কাজ শুরু করেছিল কমিউনিটি পুলিশ। ২০১৪ সালে একজন সহকারি মহাপরিদর্শকের (এআইজি) তত্ত্বাবধানে পাবলিক সেফটি এন্ড প্রিভেনশন (পিএস এন্ড সিপি) শাখার কার্যক্রম শুরু হয়। এটিই এখন কমিউনিটি পুলিশিং নামে কার্যক্রম চলছে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ৫৪ হাজার ৭১৮টি কমিউনিটিতে ৯ লাখ ৪৭ হাজার ৭০০ একজন কমিউনিটি পুলিশিং এর সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। তাদের কার্যক্রমের মধ্যেই রয়েছে, ওপেন হাউজ ডের মাধ্যমে স্থানীয় সমস্যা নিয়ে মতবিনিময় সভা, গণসচেতনতামূলক কার্যক্রম, অপরাধ সভার মাধ্যমে সমাজে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কমিয়ে আনা।
এছাড়াও পুলিশের কাজে সহযোগিতা, বাল্যবিয়া রোধ, ইভটিজিং প্রতিরোধ, জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস দমন, মাদকের কুফল, নারী- শিশু নির্যাতন, যৌতুক নিরোধ, মোবাইলের অপব্যবহার ও সামাজিক মূল্যবোধ-বৃদ্ধি সংক্রান্ত আলোচনা হয়়। কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে জনগণ এবং পুলিশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা শ্রদ্ধাবোধ ও সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ফলে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ যেমন- মাদক, নারী – শিশু নির্যাতন, পারিবারিক সহিংসতা, ইভটিজিং নিয়ন্ত্রণ আলোচনা সভা শেষে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমকে গতিশীল করতে শ্রেষ্ঠত্বের কৃতিত্ব স্বরুপ ক্রেস্ট প্রদান করেন, শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি পুলিশিং অফিসার হাফিজ উদ্দিন, তানোর থানা রাজশাহী, শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের উপজেলা সমম্নয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক, সাহাজ উদ্দিন, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমকে গতিশীল করতে বিশেষ ভূমিকা রাখায় এশিয়া ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম অফিসার সফিউল আওয়াল।
তিনি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, গোদাগাড়ী উপজেলাকে একটি আদর্শ মডেল থানায় রুপান্তরিত করতে সর্বস্তরের পেশাজীবী মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন। রা/অ