শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:০৫ am
ডেস্ক রির্পোট : এবার রংপুরে বিএনপির সমাবেশের আগে সকল ধরনের পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দিল জেলার মোটর মালিক সমিতি। আগামীকার শুক্রবার ভোর থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বাস না চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় হয়েছে। আগামী শনিবার রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ হওয়ার কথা।
গতকাল বুধবার জেলার বাস, ট্রাক ও কার-মাইক্রোবাস মালিক সমিতির নেতারা বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নেয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে জেলা মোটর মালিক সমিতি।
আর ধর্মঘটের কারণ আগের মতো একই। মহাসড়কে নসিমন, করিমনের মতো তিন চাকার বিপজ্জনক যান বন্ধের দাবির কথা জানানো হয়েছে।
গত ২২ অক্টোবর খুলনার বিভাগীয় গণসমাবেশের আগেও সেখানকার পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা একই দাবিতে বাস ধর্মঘটের ডাক দেন। পরিবহন মালিক সমিতির ডাকে বাস ধর্মঘট হয়েছিল ১৫ অক্টোবরের ময়মনসিংহের বিভাগীয় গণসমাবেশের আগেও।
বাস বন্ধ থাকায় গণসমাবেশমুখী নেতাকর্মীদের পাশাপাশি চাকরিজীবী, চাকরিপ্রার্থী ও সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
বরিশালে আগামী ১০ নভেম্বর বিএনপির সমাবেশ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে তার ১০ দিন আগেই সেখানকার জেলা বাস মালিক গ্রুপ ধর্ম ডেকে রেখেছে।
রংপুরের কুড়িগ্রাম বাসস্ট্যান্ডের কর্মী আশিকুর রহমান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘আমাদের গাড়ি চালাতে নিষেধ করা হয়েছে।’
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ নানা দাবিতে বিএনপি দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ করছে। গত ৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম, ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহ ও ২২ অক্টোবর খুলনায় সমাবেশ করেছে দলটি। এরই ধারাবাহিকতায় ২৯ অক্টোবর রংপুর কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে চতুর্থ গণসমাবেশের ঘোষণা রয়েছে তাদের।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, সমাবেশে লোকসমাগম ঠেকাতেই সরকারের প্ররোচনায় এসব ধর্মঘট ডাকা হচ্ছে। তবে তাদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সরকারের পক্ষ বলছে, বিএনপির অতীতের নানা কর্মসূচিতে বাসে আগুন ও ভাঙচুরের ভয়ে মালিকরা বাস বন্ধ রাখছেন, এতে সরকারের হাত নেই।
সমাবেশের আগে ধর্মঘটের অভিজ্ঞতা থেকেই এবারও আগাম প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন রংপুর বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
রংপুর বিভাগীয় সমাবেশের সমন্বয়কারী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘বিভাগীয় সমাবেশ নিয়ে আমরা প্রস্তুত। এ জন্য গত ৬ অক্টোবর থেকে রংপুর বিভাগের সব জেলা, উপজেলায় আমরা বৈঠক করেছি, সভা করেছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এর আগের তিনটি বিভাগীয় সমাবেশে সরকার বাধা দিয়েও গণসমাবেশে গণজোয়ার ঠেকাতে পারেনি, রংপুরেও পারবে না। আমরা সমাবেশ সফল করব, আমাদের নেতা-কর্মী-সমর্থক সবাই এখন ২৯ অক্টোবরের দিকে তাকিয়ে।’
রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, ‘আমরা আশঙ্কা করছি, সরকারের পক্ষ থেকে বাধা আসতে পারে। কারণ এর আগেও সেটা হয়েছে। যদি বাধা আসে আশা করছি মানুষজন হেঁটে, সাইকেলে, বাইসাইকেলে, ভ্যানে করে হলেও সমাবেশে এসে যোগ দেবেন। সমাবেশের আগের দিন থেকেই নেতা-কর্মীরা রংপুরমুখী হবে।’ সূত্র : দৈনিক বাংলা