শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:৩৩ am
ডেস্ক রির্পোট : নীলফামারীর ডিমলায় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের মোবাইল ফোনে মামলার হুমকি দিচ্ছেন মোহাঃ এনামুল হক(গ্রেনেট) উপজেলায় খাদ্য নিয়ন্ত্রক।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্দেগ হতদরিদ্রদের জন্য ১৫ টাকা কেজি দরে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় উপজেলায় নিয়োগ প্রাপÍ ৪১ জন ডিলারের প্রত্যেকের কাছে তিনি অফিসিয়াল খরচ দেখিয়ে ১০০০ টাকা করে মোট ৪১ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। খোলা বাজারের ৪ জন ডিলারের নিকট টন প্রতি ২০০ টাকা করে নেন ঘুষের টাকা।
চলতি মৌসুমে ধান ছাটাই হয় ৩৮৭ মেট্রিকটন সেখানে প্রতিটনে ২০০ টাকা করে মোট ৭৭ হাজার ৪০০ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। ইতঃপূর্বে খন্ড কালীন পরিচ্ছন্ন কর্মী তহিদুল ইসলামকে গুদামের চাল চুরির দূর্নীতির সাথে জড়িত থাকার কারণে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাকে খাদ্য নিয়ন্ত্রক এনামুল হক তার নিকট ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহন করে পুনরায় নিয়োগ প্রদানের ব্যবস্থা করে দেন। বর্তমানে তহিদুল ইসলাম ডিমলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসে খন্ড কালীন পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।
খাদ্য নিয়ন্ত্রক এনামুল হক সরকারী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে গ্রামের বাড়ী রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার মধুপুর হতে ডিমলা কর্ম দিবসে সপ্তাহে দুদিন অফিস করেন এবং কর্মস্থলে আসেন দুপুরে চলে যান বিকেল ৩টার মধ্যে। অনুসন্ধানের ভিত্তিতে আরো জানা যায়, তিনি খাদ্য বিভাগে যোগদানের আগে পুলিশ বাহিনীতে চাকুরী করেন। সেখানে চাকুরীর শুরুতেই ফেন্সিডিল বহনরে অপরাধে এনামুল হক চাকুরিচ্যুত হন। বৈবাহিক জীবনে তিনি এক সন্তানের জনক। তিনি বিয়ে করেছেন দিনাজপুর জেলার সেতাবগঞ্জ উপজেলায়। বিয়ের পর তার স্ত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জানতে পারেন তার স্বামী এনামুল হক ফেন্সিডিল নেশায আসক্ত। এ বিষয়ে পারিবারিকভাবে কয়েক বার সালিশ বৈঠক হলেও এনামুলের কোন পরিবর্তন না হওয়ায় স্ত্রী ও সন্তান গত চার বছর ধরে বাবার বাড়ী দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জে অবস্থান করছেন।
এ বিষয়ে দেশের জনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকা ফেয়ার নিউজসহ কয়েকটি প্রিন্ট পত্রিকা ও অনলাইনে রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার কারণে তিনি মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের নামে মামলা করার হুমকি প্রদান করছেন।
ডিমলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম লিটন বলেন, সাংবাদিকদেও কাজ সমাজে বিভিন্ন অনিয়মের চিত্র পত্রিকার মাধ্যমে তুলে ধরা। তিনি ঘুষ দুর্নীতির সাথে জড়িত বলেই সাংবাদিকরা যথাযথ প্রমান সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে রিপোর্ট করেছে। সেজন্য তিনি তার অপকর্ম ঢাকতে সাংবাদিকদের মামলার হুমকি দিচ্ছে।
তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত পূর্বক অভিযুক্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে। সাংবাদিকদের মামলার হুমকি দেয়ার বিষয়ে তার বিরুদ্ধে সাংবাকিরা আন্দোলনে নামতে বাদ্ধ হবে। সূূত্র : এফএনএস