মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০২:৩৩ pm
আব্দুস সবুর, তানোর : রাজশাহীর তানোরে ওএমএসের চাল নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ডিলার সুনিলের বিরুদ্ধে। গত সপ্তাহে পৌর সদর শিতলীপাড়ার বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবি বাড়তি দামে চাল কিনে নিয়ে আসেন বলে নিশ্চিত করেন ভূক্তভোগীরা। তবে, তারা একসাথে ৩০ কেজি চাল কিনার জন্য বাড়তি দাম নিয়েছেন। এতে করে সরকারের মহৎ কাজকে প্রশ্ন বিদ্ধ করে ফেলেছেন ডিলার। ফলে, এসব অসাধু সিন্ডিকেট ডিলারকে আইনের আওতায় আনার জোরালো দাবি তুলেছেন।
জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে উপজেলার দুটি পৌরসভায় ছয়জন ডিলারের মাধ্যমে বিশাল ভুর্তুকিতে মাত্র ৩০ টাকা কেজি দরে ওএমএসের চাল বিক্রি শুরু হয়। প্রথম থেকেই ওএমএসের চাল কালো বাজারে বিক্রি হয় জেলার নওহাটায়। এসময় তানোরের ওএমএসের চাল আটক করে জরিমানায় ছাড়সহ ইত্যাদি অভিযোগের শেষ নেই। সপ্তাহে একজন ডিলার ১০ টন করে চাল তুলতেন। কিন্তু বিশ্বব্যাপী খাদ্য ঘাটতি অর্থনৈতিক মন্দাসহ নানা সংকটের কারনে বর্তমানে ১ টন করে কমিয়ে ৫ টন করে চাল পাচ্ছেন ডিলাররা।
বছরের এসময়টা নিম্ম মধ্যবিত্ত থেকে শুরু সবাই অর্থনৈতিক সমস্যা নিয়ে দিন পার করেন। বিশেষ করে এ উপজেলার জনসাধারণ কৃষির উপর নির্ভরশীল। তাই সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে প্রচুর সমস্যায় দিন অতিবাহিত করে থাকেন তারা। আর এ বছর সকল ধরনের পণ্যের দ্বিগুন দাম। যার কারনে ভুর্তুকির মাধ্যমে ৩০ টাকা কেজির ওএমএসের চাল বিক্রি শুরু হয়। প্রতি জন ৫ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন। তানোর পৌরসভায় তিনজন ও মুন্ডুমালা পৌরসভায় তিনজন ডিলার রয়েছেন। অবশ্য সবাই ক্ষমতাসীন দলের এজন্য ওপেন সিন্ডিকেট। তানোর পৌরসদর একে সরকার সরকারি কলেজের সামনে ডিলার সুনিলের পয়েন্ট।
দরিদ্র অসহায় মৎস্যজীবি শীতলীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মজিদুল ইসলাম বিশু জানান, গত সপ্তাহে সুনিলের কাছে ওএমএসের চাল কিনতে যান তিনি। তার ঘরে অনেক চাল ছিল। এজন্য ৩০ কেজি চাল কিনার কথা বললে সুনিল ১১০০ টাকা দিলে দিবে। বাধ্য হয়ে ১১০০ টাকা দিয়ে ৩০ কেজি চাল কিনতে হল। কঠিন সমস্যার কারনে ওএমএসের ৩০ টাকা কেজির চাল ৩৬ টাকা ৭০ পয়সা করে কিনতে হল। এত মোটা চাল রাতে আর সকালে খাওয়ার পর অন্য জনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। আমার ছেলেসহ আরো কয়েকজন ১১০০ টাকা করে ৩০ কেজি করে চাল কিনেছে। অনেকে বাধ্য হয়ে খাচ্ছে। কিন্তু এত মোটা চাল আমাদের এলাকার নয়। এসব চাল এলো কিভাবে। এত টাকা দিয়ে কিনে খাওয়া যায় না।
ডিলার সুনিল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব মিথ্যা খবর। ৫ কেজি করে দিয়ে শেষ করতে পারছি না বলে দম্ভক্তি দেখান। অবশ্য সুনিল উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা। তিনি এ ধরনের কথা বলবেন এটাই স্বাভাবিক।
শুধু সুনিল নয়, কাশিম বাজার পয়েন্টের ডিলার যুবলীগ নেতা আলফাজ চাল পাঁচারের সময় ধরা পড়লেও নামমাত্র জরিমানা দিয়েই খালাস। আরো কয়েকজনকে শোকজ করা হয়েছিল। কিন্তু তারাই বহাল। সিন্ডিকেট, বাড়তি দাম, অন্যত্র বিক্রি এসব স্বাভাবিক ব্যাপার বলে জানান ডিলাররা।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, আমি বিষয়টি খোঁজ খবর নিচ্ছি। যদি এমন হয়ে থাকে তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে জানান ইউএনও। আজকের তানোর