রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৭:০২ am
ডেস্ক রির্পোট : দেশের প্রথম ছয় লেনের মধুমতি সেতু এবং তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে সেতু দুটি উদ্বোধন করেন। রাত ১২টা ১ মিনিটে যানবাহন চলাচলের জন্য সেতু দুটি খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা সেতু কর্তৃপক্ষের।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ও সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসেফ ইসা আল দুহাইলান বক্তব্য দেন। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী সেতু দুটি নিয়ে সংক্ষেপে বর্ণনা দেন। পরে সেতু প্রকল্পগুলোর ওপর ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
মধুমতি সেতু
স্থানীয়ভাবে ‘কালনা সেতু’ নামে পরিচিত ৬৯০ মিটার দীর্ঘ মধুমতি সেতু জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে ৯৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে মধুমতি নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে। নড়াইল, গোপালগঞ্জ, খুলনা, মাগুরা, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর এবং ঝিনাইদহ জেলাকে সংযুক্ত করেছে ছয় লেনের এই সেতুটি।
প্রকল্প কর্মকর্তারা বলছেন, সেতুটি চালু হলে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষ সড়কপথে দ্রুত যোগাযোগ সুবিধা পাবেন। কালনাঘাট থেকে রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব কমে যাবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ১০টি জেলার মানুষ কম সময়ে বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করতে পারবেন। এটি দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর যশোরের বেনাপোল থেকে ঢাকা পর্যন্ত ভ্রমণের সময়ও কমিয়ে দেবে। এতে ঢাকা থেকে দূরত্ব হবে ১৩০ কিলোমিটার।
শীতলক্ষ্যা সেতু চালু হওয়ায় পঞ্চবটি বিসিক শিল্প এলাকা, পঞ্চবটি মোড়, চাষাঢ়া মোড়, সাইনবোর্ড, নারায়ণগঞ্জের চট্টগ্রাম সড়ক বা ঢাকার পোস্তগোলা ও শনির আখড়া রুটে যানবাহনকে যানজটের সম্মুখীন হতে হবে না বলে জানান শোয়েব আহমেদ।
যানবাহনগুলো রাজধানীর পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ শহরকে বাইপাস করতে পারবে উল্লেখ করে শোয়েব আহমেদ বলেন, এতে রাজধানী ও নারায়ণগঞ্জ শহরের ওপর চাপও কমবে।
এই প্রকল্প পরিচালক বলেন, সেতু নির্মাণে ৬০৮ দশমিক ৫৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ২৬৩ দশমিক ৩৬ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারের তহবিল থেকে এবং ৩৪৫ দশমিক ২০ কোটি টাকা সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) থেকে এসেছে।
ওয়াকওয়েসহ সেতুটিতে ৩৮টি স্প্যান রয়েছে, পাঁচটি নদীতে এবং ৩৩টি পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে। হাঁটার পথসহ সেতুটির প্রস্থ ২২.১৫ মিটার। এছাড়া, ছয় লেনের টোল প্লাজা এবং দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ রোডও নির্মাণ করা হচ্ছে।
শীতলক্ষ্যা নদী বন্দর উপজেলা ও সোনারগাঁ উপজেলাকে জেলা সদর থেকে পৃথক করেছে। দুই উপজেলা থেকে জেলা সদরে যেতে কাঁচপুর ব্রিজ (শীতলক্ষা-১ সেতু) ব্যবহার করতে হতো। ফলে নৌকায় নদী পথের মাত্র তিন থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরত্ব সড়ক পথে প্রায় ৩০ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হতো। সূত্র : দৈনিক বাংলা