শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:২৪ pm
ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো গোল করলেও এ যাত্রা রক্ষা পায়নি জুভেন্টাস। শনিবার সিরি-এ লিগে হেলাস ভেরোনার সাথে ১-১ গোলে ড্র করে পয়েন্ট হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
মৌসুমে এটি পর্তুগীজ সুপারস্টারের ১৯তম গোল। এই ড্রয়ে শীর্ষ দুই স্থানে থাকা দুই মিলান ইন্টার ও এসি মিলানের থেকে যথাক্রমে সাত ও তিন পয়েন্ট পিছিয়ে তৃতীয় স্থানেই রয়েছে জুভেন্টাস। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের থেকে দুই পয়েন্ট পিছিয়ে চতুর্থ স্থান ধরে রেখেছে রোমা। ম্যাচ শেষে জুভেন্টাস কোচ আন্দ্রে পিরলো বলেছেন, ‘আমরা লিড ধরে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি, যা খুবই হতাশার।’ বেশ কয়েকজন তারকা ডিফেন্ডারকে ছাড়াই কাল মাঠে নেমেছিল জুভেন্টাস যার প্রভাব ম্যাচে পড়েছে। লিওনার্দো বনুচ্চি ও গিওর্গিও চিয়েলিনি ইনজুরি ও ডানিলো নিষেধাজ্ঞার কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন। এছাড়াও ইনজুরির কারণে কাল দলে ছিলেন না হুয়ান কুয়াড্রাডো, আর্থার ও পাওলো দিবালা। এদিকে আলভারো মোরাতা ভাইরাল ইনফেকশনের কারণে বিশ্রামে ছিলেন।
পিরলো বলেন, ‘আমাদের দলে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের অভাব ছিল। যে কারণে বেশ কয়েকজন তরুন খেলোয়াড়কে মাঠে নামাতে বাধ্য হয়েছি। কিছুকিছু বিষয় তারা বুঝে উঠতে পারেনি। রোনাল্ডো ও এ্যালেক্স সান্দ্রোকে বলেছিলাম তাদের সাথে সমন্বয় করে খেলতে, কিন্তু পুরো বিষয়টি বেশ এলোমেলো হয়ে পড়েছিল।’ গোলররক্ষক ওজিচে সিজিসনি ও গোলপোস্ট ম্যাচের দুই মিনিটেই জুভেন্টাসকে রক্ষা করেছিল।
ডেভিড ফারায়োনির হেড পোস্টে না লাগলে তখনই হয়ত এগিয়ে যেতে পারতো স্বাগতিক ভেরোনা। প্রথমার্ধ গোল শুন্য থাকার পর বিরতির চার মিনিটের মধ্যে রোনাল্ডো জুভেন্টাসকে এগিয়ে দেন। ফেডেরিকো চিয়েসার নিখুঁত পাসে রোনাল্ডো কোন ভুল করেননি। ৬০ মিনিটে এ্যারন রামসে ব্যবধান দ্বিগুন করার সুযোগ হাতছাড়া করেন।
৭৭ মিনিটে এন্টোনিও বারাকের হেডে ভেরোনা সমতা ফেরায়। এদিকে দিনের আরেক ম্যাচে বোলোনিয়ার কাছে ২-০ গোলে পরাজিত হয়ে ল্যাজির ইউরোপিয়ান স্বপ্নে বড় ধাক্কা লেগেছে। এর আগের ম্যাচেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক আউট পর্বে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল ল্যাজিও। ১৭ মিনিটে সিরো ইমোবিলে ল্যাজিওর হয়ে পেনাল্টির সুযোগ নষ্ট করেন। কিন্তু দুই মিনিট পর ইব্রাহিমা এমবায়ের গোলে এগিয়ে যায় বোলোনিয়া। ৬৪ মিনিটে নিকোলা সানসোনে স্বাগতিকদের তিন পয়েন্ট উপহার দেন।
এর মাধ্যমে রোমানদের বিপক্ষে ১৫ ম্যাচ জয়বিহীন থাকার পর প্রথম জয় তুলে নিল বোলোনিয়া। ম্যাচ শেষে ল্যাজিও কোচ সিমোনে ইনজাগি বলেছেন, ‘পেনাল্টিতে গোল না পাওয়াটা ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট ছিল। আমাদের অবশ্যই এদুটি পরাজয়কে ভুলে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’ দুই সপ্তাহ আগে লিগে ইন্টার মিলানের কাছে পরাজিত হবার পর থেকেই ল্যাজিও জয়ের ধারা থেকে বেরিয়ে আসে।
পরের ম্যাচে তারা তোরিনোকে আতিথ্য দিবে, এরপর জুভেন্টাস সফরে যাবে। গত মৌসুমে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন স্যু বিজয়ী ইমোবিলে স্পট কিক থেকে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু বোলোনিয়া গোলরক্ষক লুকাস স্কোরুস্কি সহজেই ইমোবিলের শট রুখে দেন। দুই মিনিট পরেই রিকোর্ডো ওরোসোলিনির ভলি আটকে দেন পেপে রেইনা।
কিন্তু ফিরতি বলে এমবায়ে বল জালে জড়ালে এগিয়ে যায় বোলোনিয়া। ৬৪ মিনিটে মুসা ব্যারোর সহযোগিতা সানসোনে ব্যবধান দ্বিগুন করেন। এই পরাজয়ে ২৪ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ অবস্থানে থাকলো ল্যাজিও। সূত্র : এফএনএস। আজকের তানোর