মঙ্গবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:১৪ am
আব্দুস সবুর, তানোর : যতই দিন যাচ্ছে ততই যেন বেপরোয়া হয়ে উঠছে রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ইউনিয়ন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম। অভিযোগ উঠেছে, ঘুষের টাকা ছাড়া কোন কাজে হাত পড়ে না তাঁর। টাকা দিলেই সব হয়ে যায়। এদিকে সরকার জ্বালানি সংকট ও বিদুৎ ঘাটতি মিটাতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সরকারি ও বে-সরকারি অফিস চলবে মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
কিন্তু রবিউল ইসলাম প্রজ্ঞাপনের তোয়াক্কা না করে রাতেও করেন অফিস তিনি। একজন ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা বা (সহকারী তহসিলদার) এতো ক্ষমতা পায় কোথা থেকে। যে তার ইচ্ছায় চলছে অফিসের কার্যক্রম। শুধু এখানেই শেষ নয়, খাস-পুকুর কিছু চাঁদাবাজ মিডিয়া কর্মীর সহযোগিতায় সমঝোতায় দেওয়া হচ্ছে নিলাম। আবার সেটাকেই প্রকাশ্যে নিলাম বলে কাগজে কলমে চালিয়ে যাচ্ছেন রবিউল ইসলাম। এতে করে অনিয়ম-দূর্নীতি ও দালালদের আতুরঘরে পরিনত হয়ে পড়েছে তহসিল অফিসটি। ফলে তার এমন বেপরোয়া ও দূর্নীতির জন্য চরম ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। তাকে দ্রুত বদলিসহ তার অবৈধ সম্পদের বিষয়ে জোরালো তদন্তের দাবি তোলেছেন ভুক্তভোগীরা।
জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌরসভার বাসিন্দা শরিফ খাঁনকে সম্প্রতি তহসিল অফিসে দেখে জানতে চাওয়া হয় কি কাজে এই অফিসে। তিনি জানান, আমার সাথে যে আদিবাসী আছেন তার রেকর্ডীয় প্রজার জমির চেক টাকার বিনিময়ে একজন ব্যক্তিকে কেটে দেন। এটা কিভাবে হল জানার জন্য সহকারী তহসিলদার রবিউলের কাছে এসেছি।কিন্তু তিনি দেখব দেখব করে ঘুরাচ্ছেন। টাকা ও দালাল ছাড়া কোন কাজ হয় না যে অফিসে সেখানে এমন অনিয়ম ব্যাপার নয় তাদের কাছে। শুধু একজনের এমন সমস্যা নয় শতশত লোকের সমস্যাদি সৃষ্টি করে রেখেছেন রবিউল। আবার সরকারি প্রজ্ঞাপনও মানেন না তিনি।
গত ০২ অক্টোবর বিকেল ৪টার দিকে মুন্ডুমালা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে দেখা যায়, দেদারসে অফিস চলছে। লোকে লোকারন্ন। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয় আপনারা কি কাজে এ অফিসে এসেছেন তারা অকপটে জানান, সকালে এলে বলে বিকেলে। আবার বিকেলে এলে বলে সন্ধ্যায়। এভাবে ঘুরায় আর আসতে বলে। পার্শ্বের ঘরে ফ্যান চালিয়ে আরামে একজন সিগারেট সেবন করছেন। আরেকজন ল্যাবটবে কাজ করছেন। তাদেরও একই কথা রবিউল সহকারী তহসিলদারের নির্দেশে কাজ চলছে। সাড়ে ৪টা বাজলেও অফিস চালিয়ে যাচ্ছেন রবিউল। এক পর্যায়ে সবাইকে বের করে দিয়ে দরজা বন্ধ করে কার্যক্রম চালাচ্ছিল।
এব্যাপারে রবিউল ইসলাম জানান, প্রজ্ঞাপন মানব না উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ মানব। একদিকে, বলছে প্রতিদিন খাজনা আদায় করতে হবে। আবার বলছে, অফিস কার্য পরিচালনা করতে। তাহলে আমরা কিভাবে প্রজ্ঞাপন মানব। আপনি খাস-পুকুর সমোঝতায় টাকার বিনিময়ে দিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, কিছুটা এরকম হয়েছে। আপনার মতই কোন না কোন সাংবাদিকের কথায় করতে বাধ্য হতে হয়েছে। এসব বিষয়ে আর কিছু বলতে না চেয়ে এড়িয়ে গেছে তিনি।
এবিষয়ে নবাগত তানোর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আদিবা সিফাতের সঙ্গে রোববার জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, এসব নিয়ে মোবাইলে কথা বলতে চায় না। আপনি অফিস সময় সাড়ে ৩ টার দিকে আসবেন প্রজ্ঞাপন কেন মানছে না সরাসরি মন্তব্য করবো বলে জানান তিনি। আজকের তানোর