রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:০৩ pm
ডেস্ক রির্পোট : নামজারি আবেদনে ত্রুটি থাকায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা ভূমি অফিসের দুই কর্মচারীকে অফিস কক্ষের ভেতরে জুতাপেটা করার অভিযোগ উঠেছে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্তের বিরুদ্ধে। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১ টার দিকে এসিল্যান্ডের নিজ অফিস কক্ষে এমন কাণ্ড ঘটান তিনি।
দুই কর্মচারী হলেন- সার্টিফিকেট পেশকার মমিনুল ইসলাম ও আউটসোর্সিংয়ের কম্পিউটার অপারেটর খায়রুল ইসলাম।
জানা যায়, সোমবার দুপুর ১টায় আউটসোর্সিংয়ের কম্পিউটার অপারেটর খায়রুল ইসলামকে নিজ কক্ষে ডেকে নেন এসিল্যান্ড অমিত দত্ত। পরে নামজারির কাজে ত্রুটি দেখিয়ে দফায় দফায় খায়রুল ইসলামকে জুতাপেটা করেন তিনি। এরপর খায়রুল ইসলাম বের হয়ে আসলে ওই সময় সার্টিফিকেট পেশকার মমিনুল ইসলাম তার কক্ষে প্রবেশ করা মাত্রই সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্ত জুতা দিয়ে তার দিকে ঢিল ছুড়েন এবং চেয়ার থেকে উঠে গিয়ে রাগে মমিনুলের মাথায় জুতা দিয়ে আঘাত করেন ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ মারপিট করেন।
আউটসোর্সিংয়ের কম্পিউটার অপারেটর খায়রুল ইসলাম বলেন, সোমবার দুপুরে নামজারির কাজে ভুল দেখিয়ে এসিল্যান্ড স্যার তার কক্ষে ডেকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও জুতাপেটা করেছেন।
সার্টিফিকেট পেশকার মমিনুল ইসলাম ইসলাম বলেন, এসিল্যান্ড স্যারের অফিস কক্ষ প্রবেশ করা মাত্রই আমাকে জুতা দিয়ে ঢিল মারেন এবং চেয়ার থেকে উঠে মাথাসহ শরীরে জুতা দিয়ে আঘাত করেন। আমি কুরআনের হাফেজ এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয় দিলেও আমার লেবাস নিয়ে কটূক্তি করেন। এরপর তিনি আরও ক্ষিপ্ত হলে আমি রুম থেকে বের হয়ে আসি।
এছাড়াও অফিসে যোগদান করার পর থেকেই তিনি গত কয়েক মাসে সেবাগ্রহীতাদের নামজারি নিয়ে সময়ক্ষেপণসহ নানা হয়রানির অভিযোগ করেছেন অনেক ভুক্তভোগী।
সেবাগ্রহীতা এসএম আব্দুল বারি জানান, চার মাস হলো আমার জমির নামজারি করতে দিয়েছি। নানা টালবাহানা করে হয়রানি করছেন এসিল্যান্ড স্যার।
এমন অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্ত জানান, খায়রুল আমাদের কোনো স্টাফ নয়। এ অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং তাদের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবেন।
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. ইশরাত জাহান বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। সূত্র : যুগান্তর