মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:২৭ pm
একজন ব্যক্তি অপহরণ হলে তার সাথে ওষুধ, পোষাক থাকতে পারে না : পিবিআই
প্রতিবেশিরা আমাকে অপহরণ করে ব্লাংক স্ট্যাম্পে সাক্ষর নিয়েছে : রহিমা বেগম
ডেস্ক রির্পোট : খুলনা মহেশ্বরপাশা থেকে নিখোঁজ রহিমা বেগম উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই অনেকটা নিশ্চুপ ছিলেন। প্রথমবার মরিয়মের সাথে দেখা করতে না চাইলেও পবর্তীতে মরিয়ম তাকে জড়িয়ে ধরলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। পরে পুলিশের কাছে তুলেন অপহরণের অভিযোগ।
শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ফরিদপুরে বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের একটি ঘর থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে পৌনে ১১ টায় খুলনার উদ্দেশ্য রওনা হয় পুলিশ। রাত ২ টা ১০ মিনিটে তাকে দৌলতপুর থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তাকে রাখা হয় সোনাডাঙায় ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে।
দৌলতপুর থানার উপ পরিদর্শক দোলা দে বলেন, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে থাকা অবস্থায় তার মেয়েরা দেখা করতে এসেছিল। তবে তিনি কোন ভাবেই রাজি হচ্ছিলেন না। পরে আমার অনুরোধে জানালার কাছে এসেছিলেন। মরিয়ম মা বলে ডাক দিলে তিনি ভেতরে চলে যান। পরে তাকে আমরা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) খুলনা জেলা কার্যালয়ে হস্তান্তর করি।
পিবিআই কার্যালয়েও তাকে নানা ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে প্রথমদিকে তিনি একেবারে নিশ্চুপ ছিলেন।
খুলনা পিবিআই পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, আমরা নানাভাবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলাম। তবে কোন ভাবেই তিনি মুখ খুলতে চাননি।
তবে দুপুরের পরে তার মেয়ে মরিয়মসহ অন্যরা পিবিআই কার্যালয়ে এসে মা রহিমা বেগমকে জড়িয়ে ধরেন। তখন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন রহিমা বেগম।
সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, মেয়েদের সাথে দেখা হওয়ার পরে রহিমা বেগম মুখ খুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন প্রতিবেশি কিবরিয়া ও মহিউদ্দীনসহ তিন জন তাকে অপহরণ করেছিল। তাকে কোথাও আটকে রেখে ব্লাংক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছেন তারা। পরে তারা এক হাজার টাকা দিয়ে তাকে ছেড়ে দেন।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘রহিমা বেগমের দাবি, তিনি কিছুই চিনতে পারছিলেন না। এক পর্যায়ে গোপালগঞ্জের মুকছেদপুর হয়ে পূর্ব পরিচিত ভাড়াটিয়ার ফরিদপুরের বোয়ালখালী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে যান। কিন্তু তার কাছে কোনো মোবাইল নম্বর না থাকায় কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা রহিমা বেগমের বক্তব্য খতিয়ে দেখছি। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আইন অনুযায়ী সবকিছু করা হবে।’
পুলিশ সুপার আরও বলেন, রহিমা বেগমকে উদ্ধারের সময়ে তার কাছ থেকে একটি সাদা ব্যাগ পাওয়া গেছে। তাতে ওষুধ ছিল, পোষাকসহ অন্যান্যা মালামাল ছিল। একজন ব্যক্তি অপহরণ হলে তার সাথে এগুলি থাকতে পারে না। তাই এটা অপহরণ নাও হতে পারে। সূত্র : দৈনিক বাংলা