রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:৩৭ am
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানে প্রচলিত আইন অনুযায়ী হিজাব পরার নিয়ম পুরোপুরি না মানায় পুলিশি হেফাজতে ২২ বছর বয়সী এক তরুণীর মৃত্যু নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা শুরু হয়েছে। নৈতিক (মোরালিটি) পুলিশ ওই তরুণীকে গ্রেপ্তারের পর নির্যাতন করায় তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিবিসির গত শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এক প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে জানায়, ইরানের রাজধানী তেহরানে গত মঙ্গলবার মাহসাকে গ্রেপ্তার করে তুলে নেয়ার সময় পুলিশের গাড়ির তাকে মারধর করা হয়। তবে পুলিশ বলছে, মাহসা হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন।
মাহসার পরিবার বলছে, তিনি একজন সুস্থ তরুণী ছিলেন। তার এমন কোনো অবস্থা ছিল না, যাতে হঠাৎ করে হৃৎপিণ্ডের সমস্যা দেখা দেবে। গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পর মাহসাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। শুক্রবার মারা যাওয়ার আগে তিনি কোমায় ছিলেন।
তেহরানের পুলিশ দাবি করছে, মাহসাকে হিজাব না পরার কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু তাকে নির্যাতন করা হয়নি।
ইরানে মাথায় কাপড় দেয়ার পর্দাপ্রথা সব নারীর জন্য বাধ্যতামূলক। নারীরা ইসলামিক পোশাক না পরলে সেখানকার সরকারি অফিস ও ব্যাংকগুলোতে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না। এ নিয়ে বহু দিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেকে। এই তালিকায় এখন যুক্ত হয়েছেন অনেক সরকারপন্থীরাও।
হিজাব নিয়ে এমন বাড়াবাড়ির জন্য অনেকে আবার সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে সরাসরি দুষছেন। তারা খামেনির পুরোনো একটি ভিডিও শেয়ার করে পুলিশের এই বিশেষ শাখার প্রবল সমালোচনা করছেন। ভিডিওটিতে খামেনি ‘মোরালিটি পুলিশের’ বৈধতার পক্ষে যুক্তি দেন। ইসলামি শাসনে নারীদের অবশ্যই ইসলামি পোশাকবিধি পালন করতে বাধ্য করা উচিত বলে তিনি বক্তব্য দেন।
আর মোরালিটি পুলিশের কর্তব্য হলো ইসলামি আইন মানা হচ্ছে কি না তা তদারকি করা। সূত্র : দৈনিক বাংলা