বৃহস্পতিবর, ৩১ অক্টোব ২০২৪, সময় : ০১:১৮ am
মাহাবুর মোল্লা, তানোর সংবাদদাতা :
রাজশাহীর তানোরে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ধানতৈড় গ্রামের রফিকুল ইসলাম রফিক ৫ বছরের শিশুকে বলাৎকার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ (২৬ ফেব্রুয়ারী) শুক্রবার সকালের দিকে রফিকের নিজ বাড়িতে ঘটে এ ন্যাক্কার জনক ঘটনা।
এঘটনায় শিশুটির আত্মচিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। এতে গ্রামের নারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে রফিককে ঝাটা পেটা করে।এরপর থেকেই তিনি বাড়ির বাহিরে বের হচ্ছে না। এঘটনায় রফিকের চরম শাস্তির দাবি উঠেছে। ঠিক একই ভাবে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে মরিয়া উয়ে উঠেছে সাবেক কাউন্সিলর বিএনপি নেতা আবু সাইদ বাবু।
জানা গেছে, তানোর সদর এলাকার ধানতৈড় গ্রামের ৫ বছরের এক শিশু ওই গ্রামের মসজিদের ইমামের জন্য সকালের খাবার নিতে যান রফিকের বাড়িতে । এ সুযোগে রফিক ওই শিশুকে ফুসলিয়ে বলাৎকার করা শুরু করে। এঅবস্থায় শিশুটি আত্মচিৎকার দিলে প্রতিবেশিরা তাকে উদ্ধার করে। পরে গ্রামের নারীরা রফিককে ঝাঁটা দিয়ে পিটুনি শুরু করলে নিজ বাড়িতে ঢুকে আত্নগোপন করে রফিক।
এদিকে, শিশুটির রক্ত পড়া অবস্থায় তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ চিকিৎসার পর স্বাভাবিক অবস্থায় আছেন বলে তাঁর পিতা এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন।
গ্রামের একাধিক বাসিন্দারা জানান, এরআগেও রফিক এমন ঘটনা ঘটিয়েছিল যা গোপন করা হয়। এঘটনার পর ফাঁস হতে থাকে একের পর এক ঘটনা। এধরনের ন্যাক্কার জনক কাজ আর কেউ যেন করতে সাহস না পায় তার জন্য রফিকের শাস্তির দাবি জানান গ্রামবাসি।
গ্রামের ব্যবসায়ী জসিম জানান, রফিকের শুধু বলাৎকারের ঘটনায় শেষ নয়, তাঁর স্ত্রী গরীব অসহায় মেয়েদের কাজের নাম করে বাড়িতে এনে স্বামীকে দিয়ে অকাজ করাতেন বলেও অহরহ অভিযোগ উঠছে।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই রফাদফার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন সাবেক কাউন্সিলর আবু সাইদ বাবু।
এঘটনায় রফিকের ব্যক্তিগত মোবাইলে ফোন দেওয়া হলে তিনি জানান, আমি চক্রান্তের স্বীকার। আপনি কোথাই আছেন জানতে চাইলে বাহিরে আছি যা কথা বলার দরকার সাবেক কমিশনার আবু সাইদ বাবুর সাথে বলতে হবে। কমিশনারের মোবাইলে ফোন দেওয়া হলে তিনি বলেন রতনের চায়ের দোকানে আছি এখানে এসো সাক্ষাতে কথা হবে।
সেখানে গেলে তিনি ঘটনাটি প্রকাশ না করার জন্য বলেন এবং দুপুরের পরে তোমাদের জন্য ব্যবস্থা আছে, আর এসব ঘটনা মনে হয় কাল্পনিক। থানা মোড় থেকে কিভাবে জানলেন কাল্পনিক প্রশ্ন করা হলে কোন ধরনের সদ উত্তর না দিয়ে বলেন আমি তো বললাম রফিকের ভাই তরিক আসুক আমরা বসে ঘটনাটি যাচাই বাছাই করে তোমাদের জন্যও ভালোকিছু থাকবে।কোনভাবেই যেন খবর প্রকাশ না পায়। এপ্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত ঘটনা নিয়ে রফাদফা করতে মরিয়া বিএনপির নেতারা।
শিশুটির বড় চাচা জানান, আইনগত ব্যবস্থা নিতাম কিন্তু রফিকের ভাই তরিক ফোনে জানালেন আমি আসা পর্যন্ত অপেক্ষা কর। যেহেতু গ্রামের ব্যাপার তরিকও একজন প্রিন্সিপাল দেখি কি করছে। তানোর থানার ওসি রাকিবুল হাসান রাকিব জানান, ঘটনা সম্পর্কে থানা অবগত নয়। এছাড়াও বিষয়টি নিয়ে কেউ অভিযোগও করেন নি। অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজকের তানোর