মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:৪৫ pm

সংবাদ শিরোনাম ::
চাঁপাইয়ের কৃষি শ্রমিক তানোরে ধান কাটতে এসে বাড়ি ফিরলেন লাশ হয়ে চট্টগ্রামে আদালত এলাকায় চিন্ময় সমর্থকদের হামলায় আইনজীবী নিহত পেঁয়াজ-আলু রপ্তানি বন্ধ করল ভারত সাত মণ ধানে এক বস্তা ব্র্যাকের আলুবীজ, তাও অপেক্ষায় জুটছে কপালে তানোরে ব্র্যাকের আলুবীজ কালোবাজারে বিক্রি? জব্দে ইঁদুর বিড়াল খেলা আরএমপি পুলিশের অভিযানে আ.লীগের নেতাসহ ১২ জন গ্রেপ্তার দুর্গাপুরে থানা পুলিশের অভিযানে ১০ জন গ্রেফতার দীর্ঘ প্রতিক্ষায় বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন জামিনে বেরিয়ে আবারও গ্রেপ্তার রাজশাহী-৬ আসনে সাবেক এমপি রাহেনুল তানোর-গোদাগাড়ীতে শরিফ উদ্দিনের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ বিএনপি বাঘায় দিনমুজুরকে গলা কেটে হত্যা, ভায়রা জেলহাজতে তানোরে সিএনজি বন্ধ করে চালকদের মানববন্ধন, দুর্ভোগে যাত্রীরা পবায় গাঁজাসহ এক দম্পত্তি গ্রেপ্তার রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ কর্মীসহ ১৪ জন গ্রেপ্তার নাচোলের কৃতিসন্তান সানাউল্লাহ নতুন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে শপথ গ্রহণে এলাকাবাসীর অভিনন্দন রাজধানীতে প্রেসক্লাবে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক, যান চলাচল বন্ধ একতরফা নির্বাচন গায়ের জোরে করতে চাই না কেউ : নতুন সিইসি গাজীপুরে দুর্ঘটনায় নিহর শিক্ষার্থী সাকিবের লাশ রাজশাহীতে দাফন কম্পিউটার কী বোর্ডের মাধ্যমে রাজশাহীতে পাহাড়িয়াদের মাতৃভাষার লিখন পঠন কার্যক্রম উদ্বোধন গোদাগাড়ীতে প্লাজমা ফাউন্ডেশনের ৯ম তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন
জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির অডিও ভাইরাল

জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির অডিও ভাইরাল

নিজস্ব প্রতিবেদক : দলের এক নারী কর্মীর সঙ্গে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুল ইসলাম রানার কথোপকথনের একটি অডিও ফাঁস হয়েছে। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ৪ মিনিট ১০ সেকেন্ডের একটি অডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে রাজশাহীতে তোলপাড় শুরু হয়। 

ওই অডিওতে ছাত্রদল থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়া সাকিবুল ইসলাম রানা বলেছেন, চিটারি-বাটপারি করে তিনি সভাপতি হয়েছেন। তিনি সব চিটারের সর্দার। ওই অডিওতে টাকা আর সহসভাপতি পদের লোভ দেখিয়ে নারীকর্মীর সঙ্গে তাঁর যৌন কেলেঙ্কারিরও ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

কথোপকথনটি এখানে তুলে ধরা হলো :

কর্মী: হ্যালো আসসালামু আলাইকুম।
রানা: তুমি আমার সাথে নাটক করিচ্চো তাই না?
কর্মী: কিসের নাটক ভাইয়া?
রানা: তোমারতো কথা-কাজের একটাও মিল পাচ্ছি না।
কর্মী: কিন্তু আমার কথা ও কাজের মিলতো সব সময় থাকে।
রানা: কই আজ কার সাথে ঘুরতে গেলা, বললা ভাইয়া…
কর্মী: বুঝি নাই
রানা: তুমি কার সাথে গেলা, বললা এডা আমার ভাইয়া। তোমারতো ভাইয়াই নাই। এইডা হইলো?
কর্মী: কে বলল?
রানা: শোনো, আমার চোখ চারদিকেই থাকে…এসব চিটারি করতে পারবা না। বহুত বড় চিটারি-বাটপারি কইরি আমি প্রেডিডেন্ট হইছি…। সব চিটারের দলের সর্দার আমি।
কর্মী: জ্বী ভাইয়া।
রানা: তুমি না আসলে, না আসলে, তুমি কাউকে পাঠাইতে চাইলে সে কই?
কর্মী: এখন আমিতো ব্যস্ত ছিলাম। এর জন্যইতো হয় নাই।
রানা: এখন কই?
কর্মী: আমি বাসায় ভাইয়া
রানা: তুমি যে বাসায় চইলা গেলা, নিজে শান্তি পাইলে সব শান্তি। আর আমরা এভাবেই থাকি, নাকি? তোমাকে কত বিশ্বাস করি তুমি বলো তো?
কর্মী: আমিতো বিশ্বাসের মর্যাদা সব সময় রাখার চেষ্টা করি।
রানা: তুমি যার সাথে ঘোরো, তার চেয়ে যদি বড় নেত্রী হও, সেটা মানুষ মাইনা নিতে পারে না, এটা বোঝো না?
কর্মী: জ্বী ভাইয়া। এখন তৃষা আপু কি আমার সত্যিই খারাপ চাচ্ছে?
রানা: মসজিদে উঠে বললে বিশ্বাস করবে?
কর্মী: ছিঃ ছিঃ ভাইয়া। আমিতো আপনাকে বিশ্বাস করি। এটার জন্য এতদূর তো করতে হবে না।
রানা: তাহলে কেউ চায়, তার চেয়ে তুমি বড় হও? সে সাংগঠনিক, তুমি পার্টির যদি ভাইস প্রেসিডেন্ট হও, তার চাইতে দুই গুণ রাস্তা উপরে তোমার। যুগ্মদের চাইতেও সিনিয়র তুমি…।
কর্মী: আমি তো আপনার কথামতো তৃষা আপুকে ছেড়ে দিলাম ভাইয়া। কিন্তু আপনাকে মেইনটেন যে করব, মানে একটা ব্যবহার আমার খুব খারাপ লেগেছে।
রানা: আমাকে তুমি মেইনটেন করবে, আমিতো সরাসরি বলেছি। তোমার ফিনান্সিয়াল সাপোর্ট লাগবে আমি দেব। আমার কোন ন্যাচার খারাপ লাগল বলো?
কর্মী: আছেতো অনেক কারণই আছে।
রানা: শান্ত?
কর্মী: অবশ্যই শান্ত ভাইয়ার ব্যবহার। সেই দিনের ওইটা আমার খারাপ লেগেছে।
রানা: ওই যে তুমি বলছিলা, তোমার আরও লাগবে। তাই ভাবলাম তুমি একটু সুখে থাকো, খুশি থাকো।
কর্মী: এগুলোতো ভাইয়া অবান্তর কথা। আর আমার ফাইনান্সিয়াল সাপোর্টের কোনো প্রয়োজন নেই। সংগঠনটাকে ভালবেসেই আমি আসছিলাম।
রানা: তাহলে শোন, শান্ত-মান্ত কেউ থাকবে না। আমি একা…
কর্মী: তো ভাইয়া আপনি মেয়ের কথা কালকে বলছিলেন, যেটা ছবি পাঠাইছিলাম। এখন আপনি বললে তাহলে…
রানা: দেখো তো দেখো তো পাঠাতে পার নাকি।
কর্মী: এখন ভাইয়া উনিও তো ফ্যামিলির সাথে থাকে।
রানা: কেবল তো ৮টা বাজে রে। রাত হয়নি। একটু ফোন দাও দ্রুত। দিয়ে দেখো তো…। কেউ যেন না জানে।
কর্মী: না না কে জানবে! আপনি আমাকে ভরসা করতে পারেন।
রানা: কী রকম ভরসা করি দেখো না?
কর্মী: জ্বী ভাইয়া।

এই অডিও রেকর্ডটির বিষয়ে কথা বলতে সাকিবুল ইসলাম রানাকে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কথোপকথনে থাকা নারীকর্মী জেলা ছাত্রলীগের একজন কর্মী। তাঁর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলা যায়নি। তবে, অডিও কল সংরক্ষণ রয়েছে। সূত্র : আজকের পত্রিকা

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.