নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
রাজশাহীর তানোরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নতুন নেতৃত্বে বইতে শুরু করেছে ঐক্যর হাওয়া। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবণ করে ঐক্যবদ্ধ হতে শুরু করেছেন। এতে নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের মাঝে বেড়েছে তৎপরতায়। লেগেছে ঐক্যের সু-বাতাস।

জানা গেছে, স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর নেতৃত্বে ও তৎপরতায় উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন মুখের আদর্শিক নেতৃত্ব উপহার দেয়া হয়েছে। এদিকে, নতুন নেতৃত্বের পর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পরিবর্তন ফিরেছে, এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য। নেতাকর্মীরা ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে দীর্ঘদিনের মান-অভিমান ভুলে একে-অপরকে কাছে টানতে শুরু করেছেন। এতে তাদের মধ্য দীর্ঘদিনের বিরাজমান মান-অভিমান ও ক্ষোভ-অসন্তোষের বরফ গলতে শুরু করেছে। ব্যবসা-বাণিজ্যে, চাওয়া-পাওয়া-না পাওয়াসহ নানা কারণে যেসব নেতাকর্মীরা এতোদিন নিস্ক্রীয় ছিল তারাও এমপির আহবানে সাড়া দিয়ে নতুন নেতৃত্ব নিয়ে নবউদ্দ্যেমে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।

স্থানীয় সাংসদের আহবানে সাড়া দিয়ে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার, উপজেলা যুবলীগের সংগ্রামী সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আগামীতে তানোর পৌরসভার মেয়রপ্রার্থী আ’লীগ নেতা আবুল বাসার সুজনের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে বইছে ঐক্যর হাওয়া বলে জানান তানোর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নওশাদ আলীসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মামুন এমপি ফারুক চৌধুরীর বিরোধীতা করে পৃথক বলয় সৃস্টির নামে দায়িত্বশীল পদে থেকেও তারা সংগঠনকে শক্তিশালী করতে কোনো ভূমিকা তো রাখেইনি বরং জামায়াত-বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নে সৃস্টি করেছিলেন দলীয়কোন্দল। এতে সাংগঠনিক অবস্থা ছিল নাজুক, ভেঙ্গে পড়েছিল চেইন অব কমান্ড। দলে বিরাজ করছিল হ-য-ব-র-ল অবস্থা।

তাদের এসব সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগে তৃণমুলের দাবির প্রেক্ষিতে চলতি বছরের সম্প্রতি ১৫ জুলাই তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে মাইনুল ইসলাম স্বপন সভাপতি ও প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এতে স্থানীয় সাংসদের পূর্ণ সমর্থন ছিল। ফলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কর্মকান্ড জোরদার, নিস্ক্রীয়দের সক্রীয় এবং সাংগঠনকে গতিশীল ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠন পহেলা আগস্ট থেকে বছরব্যাপী কর্মসুচি ঘোষণা করেছে। ওদিকে, তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেয়ায় দলের কোন্দল নিরসণ হয়েছে। বেড়েছে নেতৃত্বের প্রতিযোগীতা ও গতিশীল হয়েছে সাংগঠনিক কর্মকান্ড।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশে করোনা ভাইরাস শনাক্তের পর থেকে জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় সকল সাংগঠনিক কর্মসূচি স্থগিত রেখেছিল আওয়ামী লীগ। তবে, পহেলা আগস্ট থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে। সীমিত পরিসরে হলেও এসব কর্মসূচিতে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা এবং কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বইতে শুরু করেছে ঐক্যের সু-বাতাস।

এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, পুরো উপজেলার ৮১টি ওয়ার্ড, ৭টি ইউনিয়ন, ২টি পৌরসভায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ ও মহিলালীগ ছাড়াও আওয়ামী লীগ সমন্বয়ে বিশেষ বর্ধিত সভার আয়োজন। এতে সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী আবার কখনও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।

এবিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আবুল বাসার সুজন বলেন, আগামী দিনে জাতীয় রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার যেমন বিকল্প নেই। তেমনি রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী এমপির কোনো বিকল্প নেই। তিনি আরও বলেন, তানোরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আর কোনো বিভাজন নেই, বইছে ঐক্যের হাওয়া।

এব্যাপারে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার বলেন, আগামী দিনে জাতীয় রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার যেমন বিকল্প নেই। তেমনি রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী এমপির কোনো বিকল্প নেই।

তিনি আরও বলেন, তানোরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আর কোনো বিভাজন নেই, বইছে ঐক্যের হাওয়া। একই কথা জানান, সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন।আজকের তানোর