রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:৩৮ am
ডেস্ক রির্পোট : যে জাতের ধান থেকে চাল তৈরি করা হয়েছে, সেই ধানের নাম বাধ্যতামূলকভাবে চালের বস্তার গায়ে লিখতে হবে। এমন নিয়ম রেখে নতুন একটি আইন করা হচ্ছে বলে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সংলাপে অংশ নিয়ে এই তথ্য জানান খাদ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, মিনিকেট বলে কিছু নেই। এক সময় ভারত থেকে চিকন চালের বীজ আনা হতো মিনি প্যাকেটে করে। সেই মোতাবেক আমরা নাম দিয়েছি মিনিকেট চাল। এটা বহুবার বলা হয়েছে। ভোক্তা অধিকার এই মিনিকেট নাম উচ্ছেদ করতে অভিযান চালাতে পারে। আমাদের সে ক্ষমতা নেই।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আইনের খসড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য এখন আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। সেখানে বলা আছে ব্র্যান্ড নাম তারা যেটাই দিক বস্তার গায়ে ধানের জাতের নাম দিতে হবে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, চালের কতটুকু অংশ ছাঁটাই করা যাবে তাও আইনে নির্ধারণ করা হবে। কারণ বেশি পলিশের ফলে চালের একটা অংশ নষ্ট হয়। ক্ষয় যেটা হয় তা সারা দেশের মোট উৎপাদনের একটি অংশ। এ কারণে এটাও আমরা নির্ধারণ করে দেব।
‘চালের বাজারে কারসাজি রোধে মিলার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে প্রতিদিনের চালের দাম দিয়ে দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, কয়েকদিন আগে মিল মালিকদের এক সম্মেলনে তাদের সতর্ক করা হয়েছে। তারা এখনও বলে যে মিল গেটে দাম বাড়ায়নি। তাদের বলা হয়েছে তারা যেন ওয়েবসাইট খুলে প্রতিদিন মিলগেটে কোন চালের দাম কত এটা দিয়ে দেয়।
‘আমি আহ্বান জানাব পাইকারি ব্যবসায়ী যারা আছেন তারাও যেন ওয়েবসাইট খোলেন। তারা মিলগেটের সঙ্গে মিল রেখে জানাবে পাইকারি বাজারে আজ কি আছে। তাহলে সামঞ্জস্য আনা যাবে। আমি মনে করি এটা অতি জরুরি।
সমন্বয় করতে পারলে ভোক্তারা অনেক উপকৃত হবে।’ সূত্র : যুগান্তর