মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:৩২ am
বিশেষ প্রতিবেদক : রাজশাহীর তানোরে কামারগাঁ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন জুয়েলকে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। এখবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়। স্থানীয়রা বলছেন, জুয়েল রাতারাতি খোলস পাল্টিয়ে হয়েছেন আওয়ামী লীগের শুভাকাঙ্খি। আর এতেই তার একাদ্বশে বৃহস্পতি তুঙ্গে।
বিনিময়ে পেয়েছেন খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির ডিলার। হয়েছেন বিএডিসি বীজ-সার ডিলার সমিতি ও বাজার কমিটির সভাপতিসহ লাভজনক নানা প্রতিষ্ঠানের অংশীদার বলে মনে করছে আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মী-সমর্থকগণ। অথচ বিএনপি সরকারের সময় তিনি যেই সুযোগ-সুবিধা পাননি আওয়ামী লীগের সময়ে তার দ্বিগুন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন।
স্থানীয়রা জানান, কামারগাঁ ইউপি বিএনপির সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন জুয়েল ছিলেন, বিএনপির অর্থের যোগানদাতা। ফলে বিএনপির সময়ে তিনি ছিলেন কামারগাঁ ইউপির সর্ব সেরা। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর রাতারাতি বিএনপি ত্যাগ করেন। যদিও গোপণে তিনি এখানো বিএনপির রাজনীতিতে আর্থিক সহায়তা করছেন। ফলে খোলস পাল্টানো বিএনপি নেতাকে এমন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ায় ফুঁসে উঠেছে আওয়ামী লীগের আদর্শিক নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন জুয়েল বিগত ২০১১ ও ২০১৬ সালে বিএনপির দলীয় প্রার্থী হয়ে পরপর দুবার ইউপি নির্বাচন করে দুবারই পরাজিত হয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, বিগত ২০২১ সালে ইউপি নির্ববাচনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে আওয়ামী লীগে ভর করেন তিনি। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। বিনিময়ে পুরুস্কার স্বরুপ চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ সহচর হয়ে তিনি এখন সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন।
বলতে গেলে এই জুয়েল এখন ইউপি আওয়ামী লীগের বিঁষফোঁড়া। তার কারণে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বহুধারায় বিভক্ত। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জৈষ্ঠ নেতা বলেন, দলের কিছু নেতা জুয়েলের অর্থের কাছে বিক্রি হয়ে তারা তাকে সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছেন। তবে এখানো তার শরীরে বিএনপির গন্ধ রয়েছে। আবার গোপণে বিএনপির সঙ্গে সক্ষতাও ধরে রেখেছেন। তিনি বলেন, একশ্রেণীর আওয়ামী লীগ নেতার মদদে জুয়েল বিভিন্ন এলাকা থেকে চোরাপথে সার এনে মজুদ ও দ্বিগুন দামে বিক্রি করছেন।
আবার টিআর-কাবিখা, ভিজিডি-ভিজিএফ, জিআর, ওএমএস এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির চাল কমদামে কিনে মালার মোড়ে তার মিলে পালিশ করে সেই চাল সরকারি খাদ্য গুদামে সরবরাহ করছেন বলেও সমালোচনা রয়েছে। এসব কারণে সাধারণের মাঝে সরকার নিয়ে নেতিবাচক মনোভাবের সৃষ্টি হচ্ছে,।এর দায় নিবে কে ?।
এবিষয়ে জানতে চাইলে জাকির হোসেন জুয়েল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সমাজে কিছু মানুষ আছে যারা মানুষের ভাল সহ্য করতে পারে না। তারাই এসব ভিত্তিহীন কথা প্রচার করে।
এদিকে, বিএনপি নেতা হয়ে জুয়েল আওয়ামী লীগের সময়ে কি বিবেচনায় খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির ডিলার নিয়োগ পেলেন এমন প্রশ্নের জবাবে কামারগাঁ ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি ফরহাদ বলেন, ডিলার নিয়োগ দেওয়ার মালিক আমি নয়। যিনি মালিক তিনি দিয়েছেন।
এবিষয়ে কামারগাঁ ইউপি বিএনপির এক জৈষ্ঠ নেতা ও মাদরাসা শিক্ষক বলেন, জুয়েল আমাদের লোক ছিল এখানো আছে। তিনি আরও বলেন, জুয়েল ব্যবসায়ী মানুষ ব্যবসার সুবিধা নিতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিশে থাকছে এটা দোষের কিছু নয়। আজকের তানোর