মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:৫২ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা : রাজশাহীর বায়া এলাকায় আদালতে বিচারাধীন সম্পত্তির জোরপূর্বক দখলসহ আমগাছ কেটে নিয়েছে প্রতিপক্ষরা। এ নিয়ে ওই এলাকায় উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আদালতে বিচারাধীন হওয়ায় পুলিশকে জানিয়েও প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পবার এয়ারপোর্ট থানার বারইপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে ক্রয়কৃত জমির মালিক ভূক্তভোগি আমিনুল হক জানান, বেশ কয়েক বছর থেকে ওই জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে। আগামী ১৪ নভেম্বর আদালতে দিন ধার্য আছে। কিন্তু প্রতিপক্ষ লাইলা আখতার বানু ও তার দলবল জোরপূর্বক বড় বড় আমগাছ কেটে ফেলেছে। যার আনুমানিক মূল্য ২লাখ টাকার ওপরে।
তিনি জানান, নুরুল হকের ছেলে মো. বাদশা, এনামুল হক, সুইট পিতার ও নুরুল হকের স্ত্রী স্বামীর কাছে থেকে ওয়ারীশসুত্রে প্রাপ্ত বায়া মৌজায় সম্পত্তি ক্রয় করেন। জমি ক্রয়ের পর থেকেই বিভিন্ন অভিযোগ এনে তাকে হয়রানি করা হয়। এ অবস্থায় তিনি যাতে নালিশী তপশীল বর্ণিত সম্পত্তি জবরদখল, বেদখল, অন্যত্র হস্তান্তর, গাছপালা কর্তন করতে না পারে বিবাদীগণের বিরুদ্ধে আদালতে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। আদালত আগামী ১৪/১১/২০২২ ইং তারিখে দিন ধার্য্য করেছেন। এরআগেই প্রতিপক্ষের লোকেরা বড়বড় আমগাছ কাটছে। এব্যাপারে স্থানীয় কাউন্সিলর আবু সুফিয়ান নিষেধ করা সত্বেও তারা গাছকাটা অব্যাহত রেখেছে।
শুক্রবার সকালে সরোজমিন গিয়ে গাছ কাটতে দেখা যায়। সেখানে বিবাদী পক্ষের রফিকুল ইসলাম জানান, নুরুল হকের ছয় মেয়ে পাঁচ ছেলে। বাদী আমিনুল হক চার ছেলে ও নুরুল হকের স্ত্রীর প্রাপ্ত জমি কিনেছেন। কিন্তু ওই তপশীলে ছয় মেয়ে ও এক ছেলে পিয়ারুলের অংশ থেকে যায়। এই অংশ ভাইয়েরা বোনদের না গড়িমসি করে। এতে বোনদের অংশ প্রাপ্তিতে আদালতে মামলা করে। আদালতের মাধ্যমে বোনদের জমি বুঝিয়ে দেয়ার সময় আমিনুল হককে উপস্থিত থেকে তার জমি বুঝে নিতে বলা হয়। কিন্তু তিনি উপস্থিত হননি। জমির মালিক লাইলা আখতার বানুসহ বাকি ওয়ারীশগণ তাদের প্রয়োজনে আমগাছ কাটছে।
এছাড়াও পাঁচ ভাইয়ের এক ভাই পিয়ারুল ওপর ভাই এনামুলের সম্পত্তি ক্রয়ের জন্য আদালতে পেনশন করেন। এতে আদালত পিয়ারুলের পক্ষে রায় দেন। আজকের তানোর