বুধবা, ১১ িসেম্র ২০২৪, সময় : ১০:০৫ am
শাকিল আহমেদ :
২৫ ফেব্রুয়ারী, বাংলাদেশের ইতিহাসে কালো দিন। ২০০৯ সালের এই দিনে রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর সদর দফতরে (বর্তমান বিজিবি) ঘটে এক মর্মান্তিক ও নৃশংস ঘটনা। বিদ্রোহী বিডিআর জোয়ানদের হাতে প্রাণ হারান ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন।
বাংলাদেশ বিরোধী অপশক্তি যারা ৭৫-এর ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছিল, ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট যারা বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড ছুড়ে মেরেছিল, সেই একই অপশক্তি ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার মাত্র ৫০ দিনের মাথায় পিলখানা হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটানোর পিছনে ছিল বলে আমার বিশ্বাস।
৫০ দিন বয়সের একটি সরকারের মন্ত্রিপরিষদ ছাড়া আর কোথাও তার অস্তিত্ব থাকে না। দুই মাস বয়সের একটি সরকার থাকে প্রচন্ড অসংগঠিত ও দুর্বল। পিলখানার ঘটনাটি ঘটানো হয়েছিল দুই মাস বয়সের একটি নতুন সরকারকে ফেলে দেবার জন্যই।
আওয়ামী লীগের শত্রুপক্ষই পিলখানার ঘটনাটি ঘটিয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকার যেন যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে না পারে সেই উদ্দেশ্যেই বিপুল ভোটে নির্বাচিত তৎকালিন আওয়ামী লীগ সরকারকে ফেলে দিতে চেয়েছিল তারা।
পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার পিলখানা হত্যাকা-ের পূর্ণাঙ্গ বিচার স্বচ্ছতার সাথে করেছে। পিলখানা হত্যা মামলায় ৮৫০ জনকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয় তাদের বেশিরভাগই বিলুপ্ত ঘোষিত বাংলাদেশ রাইফেলস বা বিডিআরের সদস্য ছিল। বিএনপি এবং এমনকি আওয়ামী লীগের স্থানীয় কয়েকজন নেতাও এই মামলার আসামী ছিল।
২০১৩ সালের ৫ নভেম্বও এ ঘটনায় আদালত ১৫২ জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে। একই মামলায় আরও ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
এদের হোতাদের খুজে পাওয়া যায়নি। এখন সময় এসেছে এই মর্মান্তিক নৃশংস ঘটনার পিছনের কারিগরদের খুঁজে বের করার।