রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:৩৯ am
ডেস্ক রির্পোট : মিয়ানমার থেকে গতকাল শুক্রবার বিকেলে আরো একটি গোলা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে পড়েছে। এটি তৃতীয় দফায় আসা গোলা। গোলাটি পড়ে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের তুমব্রু ঘোনারপাড়া এলাকায়। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
স্থানীয় লোকজন জানায়, গতকাল জুমার নামাজের পর থেকেই শুরু হয় থেমে থেমে গোলাগুলি। বিকেল ৩টার দিকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ভারী অস্ত্রের গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের তুমব্রু ঘোনারপাড়া এলাকায় একটি গোলা এসে পড়ে। ঘুমধুম ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ আবদুর জব্বার রাতে কালের কণ্ঠকে জানান, তিনি গোলাটি দেখেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে গুলিবর্ষণ ও সংঘর্ষ চলছে। গতকালও ঘুমধুম ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাইশফাঁড়ি বিজিবি বিওপির সীমান্ত পিলার ৩৬-এর বিপরীতে আনুমানিক তিন কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে শত শত গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছে সীমান্তবাসী। এমনকি ২০-২৫টি মর্টার শেল ফায়ারের শব্দও শোনা যায়। সেই সঙ্গে গতকাল বিকেল ৩টার পর থেকে কয়েক দয়া হেলিকপ্টার উড়তে দেখা গেছে।
ঘুমধুমের ২ নম্বর ওয়ার্ড তুমব্রু ঘোনারপাড়া এলাকায় আবারও গোলা পড়ার ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এর আগে গত ২৮ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছোড়া দুটি মর্টার শেলের গোলা একই ইউনিয়নের তুমব্রু উত্তরপাড়া জামে মসজিদ এলাকায় এসে পড়ে। গোলাগুলো বিস্ফোরিত না হওয়ায় তখন কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
পরে ৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রেজু আমতলী বিজিবি বিওপি আওতাধীন সীমান্ত পিলার ৪০-৪১-এর মাঝামাঝি এলাকায় পড়ে। সূত্র : কালের কণ্ঠ