রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:৩১ am
ডেস্ক রির্পোট : ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চার দিনের সফরের আজ তৃতীয় দিন। আজও (৭ সেপ্টেম্বর) তিনি কর্মব্যস্ত দিন কাটাবেন। ভারতের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ছাড়াও আজকের সূচিতে বেশ কয়েকটি কর্মসূচি রয়েছে।
সফরসূচি অনুযায়ী, আজ ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়ন মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি এবং নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করবেন।
একই দিনে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দেখা করার কথা রয়েছে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী আজ ভারতের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের সভায় এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ বা গুরুতর আহত ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর অফিসারদের বংশধরদের ‘মুজিব বৃত্তি’ প্রদানের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করবেন।
প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় ফেরার আগে রাজস্থানের খাজা গরিব নওয়াজ দরগাহ শরিফ, আজমির (আজমির শরিফ দরগাহ) জিয়ারত করবেন।
গত সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে চার দিনের সফরে দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুর ১২টায় (বাংলাদেশ সময়) নয়া দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি পৌঁছায়। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় সেখানে ছয় থেকে সাত সদস্যের একটি সাংস্কৃতিক দল স্বাগত নৃত্য পরিবেশন করে এবং বাদ্যযন্ত্র বাজানো হয়।
বিকেলে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মৌর্য্য হোটেলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসেন। পরে আদানী গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানী একই স্থানে শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এদিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার দরগা জিয়ারত করেন। সেখানে তিনি কিছু সময় অতিবাহিত করেন। এ সময় তিনি ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
সফরের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) শেখ হাসিনা হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও একান্ত আলোচনা করেন। মোদি তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানাবেন এবং তাঁকে আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।
দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। শেখ হাসিনা পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক তাঁর সম্মানে আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন।
একই দিন শেখ হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখারের সাথে পৃথক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তিনি রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধী তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
করোনা মহামারি মহামারির প্রাদুর্ভাবের আগে ২০১৯ সালে শেষবার ভারত সফর করেন প্রধানমন্ত্রী। এবারের সফরে প্রধানমন্ত্রী একটি উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যার মধ্যে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন। সূত্র : পদ্মাটাইমস