সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:৪৯ am
বিশ্বজিত চৌধুরী, তানোর :
সদ্য সমাপ্ত হওয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় ৫৪ তম হয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন রাজশাহীর তানোর পৌরশহরের আদর্শ গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা দিনমজুর শফিকুলের ছেলে আল-আমিন। কিন্তু অর্থাভাবে মেধাবী আল-আমিনের ভর্তি হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েও টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারছিলেন না আল-আমিন। এমন খবর পেয়ে ভর্তির জন্য তাঁকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথ ।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে আল-আমিনের হাতে সহায়তা হিসেবে টাকা তুলে দেন ইউএনও । এসময় তানোর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন খান উপস্থিত ছিলেন।
আল-আমিন ২০১৯ সালে কালিগঞ্জহাট উচ্চবিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাস করেন। পরে ২০২১ সালে কালিগঞ্জহাট ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েও জিপিএ-৫ পান তিনি।
এরপর তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ‘এ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন। ‘এ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় তাঁর মেধাক্রম ৫৪।
আল-আমিন বলেন, ‘বসতঘর ছাড়া আমাদের কোনো সম্পদ নেই। বাবা দিনমজুরের কাজ করে যা পান, তা দিয়ে সংসারের খরচ চলে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ভর্তির টাকা জোগাড় নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। এঅবস্থায় ইউএনও স্যার ভর্তির টাকা দিয়ে সহায়তা করেছেন। এজন্য ইউএনও স্যারের নিকট আমি চিরকৃতজ্ঞ।
এব্যাপারে তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, টাকার অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছিলো না আল-আমিন। বিষয়টি আমার নজরে আসার পর তাকে ডেকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাবিতে ভর্তি বাবদ ৫ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।