এদিকে সাংবাদিকেরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বহিষ্কারসহ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার শাস্তি দাবি অব্যাহত রাখলে আখতার জাহান আবার সভা করেন। এর মধ্যে কয়েকজন সাংবাদিক নেতাকেও তাঁরা আলোচনা সভায় ডেকে নেন। পরে বেলা আড়াইটার দিকে আখতার জাহান এসে জানান, তাঁরা অভিযুক্ত দুজন কর্মচারীকে সাময়িক বহিষ্কারের আদেশ নিয়ে এসেছেন। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিগগিরই তদন্ত কমিটি হবে। তিনি সরাসরি নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন না। এটা মন্ত্রণালয় তদন্ত প্রতিবেদন দেখে সিদ্ধান্ত নেবে।
আলোচনা সভা শেষে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, তাঁরা যে দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন, তা বাস্তবায়ন হয়েছে। ইতিমধ্যে দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ হামলায় আরও যাঁরা জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া ঘটনায় নির্দেশদাতার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা বিএমডিএ নিতে পারেনি। তদন্ত করে মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে। তাঁরা আজকের মতো তাঁদের কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেছেন।
হামলার শিকার সাংবাদিক বুলবুল হাবিব বলেন, হামলার পরপরই তাঁর সহকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন। এ জন্য তাঁদের ধন্যবাদ। তিনি আরও বলেন, নির্দেশদাতা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এর সঙ্গে আরও অন্তত ১৫ জন হামলা চালিয়েছেন। তাঁদেরও শাস্তির দাবি করছেন তিনি। এ ঘটনায় তিনি নগরের রাজপাড়া থানায় মামলা করবেন।
হামলার পর বুলবুল হাবিব বলেছিলেন, অফিসের অ্যাসাইনমেন্ট ছিল। তাঁরা বিএমডিএ থেকে লাইভে দেখাচ্ছিলেন যে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল আটটায় অফিসে আসেন না কর্মকর্তারা। সকাল ৮টা ২০ মিনিটে লাইভ চলাকালে আসেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশীদ। তিনি (রশীদ) বলেন, ‘কার অনুমতি নিয়ে ভিডিও করা হচ্ছে?’ তিনি এ সময় তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে নিজের কার্যালয়ে যান। কিছুক্ষণের মধ্যে বেশ কয়েকজন কর্মচারীকে নিচে পাঠিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়। লাইভ চলাকালে তাঁকে (বুলবুলকে) ও তাঁর সহকর্মী রুবেলকে মারধর করা হয়। ক্যামেরা ও বুম কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। আজকের তানোর