মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:৫২ am
সাইদ সাজু : রাজশাহীর তানোরে পূর্ব শক্রুতার জের ধরে সেচ পাম্পের যন্ত্রাংশ ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ ও বরিংয়ে খোয়া ফেলে নষ্টের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে তানোর উপজেলার কালনা গ্রামে জমির মাঠে। এঘটনায় চাষাবাদ নিয়ে কৃষকদের মধ্যে অশংকার পাশাপাশি আতংক বিরাজ করছে।
সম্প্রতি শুক্রবার এঘটনায় সেচ পাম্প মালিক কালনা গ্রামের শামসুদ্দীনের পুত্র মামুনুর রশিদ বাদি হয়ে একই গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের পুত্র বেলাল উদ্দিন ও তার ভাই হেলাল উদ্দিন ও একই গ্রামের আব্দুল আজিজের পুত্র আব্দুল লতিফকে আসামী করে তানোর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলার কালনা গ্রামের শামসুদ্দীনের পুত্র মামুনুর রশিদ ২০ বছর আগে প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ করে কালনা জমির মাঠে সেচ পাম্প স্থাপন করে প্রায় ৬০/৭০ বিঘা জমিতে সেচ প্রদান করে আসছিলেন। এঅবস্থায় চলতি বছর আলু তোলার রাস্তাকে কেন্দ্র করে মামুনের সাথে বেলালের গোলমাল হয়। এরই জের ধরে বেলাল ও তার ভাই হেলাল মামুনের ক্ষতি করতে উঠে পড়ে লাগে এবং বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলো।
এরআগেও মামুনের ওই সেচ পাম্পে দুইবার পাম্পের ঘরের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট করে। ফলে, মামুন আদালতে একটি মামলা করেন মামলার প্রেক্ষিতে বেলাল ও হেলালসহ তার সঙ্গিরা আদালতে মুসলেখা দিয়ে আসেন। এরই জের ধরে তারা গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই সেচ পাম্পের ঘরে অগ্নিসংযোগসহ পাম্পের যন্ত্রাংশ নষ্টের পাশাপাশি বরিংয়ের ভেতরে খোয়া ও বালি ফেলে নষ্ট করে। ফলে, ওই পাম্পের পুরোটাই নস্ট হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। নতুন ভাবে বরিং করে আবারো নতুন মটার বসাতে হবে। তা না হলে ওই মাঠে চাষাবাদ ব্যহত হবে বলেও জানান কৃষকরা।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত বেলাল উদ্দিন গোলমালের কথা স্বীকার করলেও পাম্পের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান।
এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জাান মিয়া বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আজকের তানোর