বৃহস্পতিবর, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:৫৯ pm
শহিদুল ইসলাম (নিজস্ব প্রতিবেদক) নাচোল : চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় রাসায়নিক সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। চাহিদা মোতাবেক সারের কোন সংকট নেই। কৃষকের মাঝে সঠিকভাবে সারের ব্যবহার নিশ্চিত করতে নাচোল উপজেলা সার মনিটরিং কমিটি ও উপজেলা কৃষি অফিসার বুলবুল আহমেদ কঠোর মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করেছেন।
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সার উত্তোলন মজুদ ও বিপণন ব্যবস্থা তদারকি করছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাইমেনা শারমীনের নেতৃত্বে উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটি।
উপজেলার ১০টি বিসিআইসি ও ১০টি বিএডিসি সার ডিলার ছাড়া, সাব-ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা সার উত্তোলনসহ বিক্রি করতে পারবেনা বলে জেলা সার ও বীজ বিপণন মনিটরিং কমিটির মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
নাচোল পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সারের ডিলারের গুদাম প্রতিদিন তদারকি করছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ মনিটরিং কমিটির সদস্যরা । প্রতিটি সার ডিলারের বিপরীতে সার বিক্রির সময় একজন করে ট্যাগ অফিসার নিয়োজিত করা হয়েছে।
সরকার নির্ধারিত ২২ টাকা কেজি দরে ইউরিয়া ও টিএসপি, ১৬ টাকা কেজি দরে ডিএপি এবং ১৮ টাকা কেজি দরে এমওপি সার প্রতিদিন সার ডিলারের গুদামঘর থেকে ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে কৃষি কার্ডের মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া কৃষক সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার কিনতে পারছেন কিনা তাও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা খতিয়ে দেখছেন। এসব পদক্ষেপ নেওয়ায় নাচোল উপজেলায় সার নিয়ে ডিলাররা কারসাজি করার সাহস পাচ্ছে না।
নাচোল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, নাচোল উপজেলায় আগস্ট মাসে ৮৬০ মেট্রিক টন ইউরিয়া, ৫৫ মেট্রিক টন টিএসপি, ১৫০ মেট্রিক টন এমওপি, ২২০ মেট্রিক টন ডিএপি সার বরাদ্দ পায়। এছাড়াও সেপ্টেম্বর মাসে এক হাজার ৩২০ মে.টন ইউরিয়া, ৩৫৫ মেট্রিক টন টিএসপি, ৬১১ মেট্রিক টন ডিএপি এবং ২৫০ মেট্রিক টন এমওপি সারের চাহিদা মোতাবেক উত্তোলনের কাজ শুরু হয়েছে ।
কৃষি কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, জেলা সার মর্নিটরিং কমিটির মিটিংয়ে চলতি আমন মৌসুমে সাব -ডিলার ও খুচরা বিক্রেতাদের সার উত্তোলন ও বিক্রি করা বন্ধ করা হয়েছে। কোন অনিয়ম পেলেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিসিআইসি সার ডিলার নাচোল বাজারের মেসার্স সেরাজুল হক জানান, নিয়ম নীতি মেনেই প্রতিদিন তাদের সারের মজুদসহ সব ধরনের হিসাব দিতে হচ্ছে। এছাড়া কৃষি বিভাগ ও উপজেলা সার মনিটরিং কমিটি ব্যাপক তদারকি জোরদার করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাইমেনা শারমীন সহ কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা সরেজমিন এসে সার গুদাম পরিদর্শন করছেন। সারের উত্তোলন, বিপণন ও মজুদের হিসাব নিচ্ছেন। এমনকি কৃষকদের সারিবদ্ধ করে কৃষি কার্ডের মাধ্যমে নিয়োজিত ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে সার বিক্রি করা হচ্ছে।
কালইর বাজারের মেসার্স নিলয় এন্টারপ্রাইজ এর মালিক বলেন, আমরা সারের খুচরা মূল্য সম্মিলিত সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়েছে । সরকার নির্ধারিত মূল্যেই আমরা কৃষি অফিসের নিয়োজিত ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে সার বিক্রি করছি।তাই বেশি দামে সার বিক্রির সুযোগ নেই ।
কালইর বাজারের কৃষক নইমুদ্দিন বলেন, কৃষি অফিসের লোকজন এভাবে সার মনিটরিং করলে আমরা ন্যায্য মূল্যে সারা বছর সার পাবো। এতে আমাদের খুব উপকার হবে। এ নিয়ম অব্যাহত থাকে কর্তৃপক্ষের নিকট সে অনুরোধ করছি।
কৃষি কর্মকর্তা আরো বলেন, প্রতিদিন সার গুদাম পরিদর্শন, সার উত্তোলন, মজুদ ও বিপণন রিপোর্ট করা হচ্ছে । অতিরিক্ত মজুদ, বেশি দামে বিক্রি বন্ধে ও সরকার নির্ধারিত মূল্যে কৃষকের নিকট সার বিক্রি নিশ্চিত করতে আমাদের তদারকি জোরদার করা হয়েছে।
সারের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে এ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। এছাড়া সার নিয়ে আমরা কৃষক ডিলার জনপ্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্টদের সচেতন করা অব্যাহত রেখেছি এবং কৃষকদের মাঝে সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার বিক্রি করার লক্ষ্যে সবধরনের সহযোগিতা চেয়েছি । আজকের তানোর