রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:৩৮ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর : সরকারি গাছ খেকো নামধারী যুবলীগ নেতা রবিউলকে বাচাঁতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি কর্ম কর্মকর্তা (তহসিদার) রবিউল ইসলাম বলে অভিযোগ উঠেছে। কারণ গাছ কাটার ৭ দিনেও কোন ধরনের ব্যবস্হা না নেওয়ায় তহসিলদারের বিরুদ্ধে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ারও গুন্জন বইছে।
তাছাড়া কেনই বা এতো দিনেও তহসিলদার তদন্ত বা পরিদর্শন কিছুই করেননি। ফলে, সপ্তাহ হতে চললেও এবং রাজশাহী থেকে প্রকাশিত ও ঢাকা থেকে প্রকাশিত পত্রিকাসহ বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে গাছ কাটা চুরির ঘটনায় প্রতিবেদন প্রকাশ পেলেও কোন গুরুত্ব নেই তহসিলদারের।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, তানোর সদর থেকে মুন্ডুমালা রাস্তার পাঠাকাটা প্রানপুর নামক মোড়ের দক্ষিণে সরকারি পরিপক্ক নিম গাছ কেটে চুরি করে বিক্রি করেন ওই মোড়ের ব্যবসায়ী নামধারী ক্ষমতাসিন দলের পাতি যুবলীগ নেতা রবিউল ইসলাম। সে দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তার নয়নজলি ভরাট করে ধানের আড়ৎ করে দেদারসে বুক ফুলে ব্যবসা করছেন।
স্থানীয়রা জানান, নিম গাছটি যদি অন্য কোন লোক কাটতো তাহলে এতোদিনে মামলা ও তদন্ত কত কিছু হয়ে যেত। কিন্তু মুন্ডুমালা ভূমি অফিসের দূর্নীতিবাজ তহসিলদার রবিউল অনৈতিক সুবিধা নিয়ে গাছকাটা ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন কিছুই নেননি।
তারা আরো জানান, ওই রাস্তা দিয়ে তহসিলদার রবিউল প্রতিদিন অফিসে যান। কিন্তু কোন কিছুই পদক্ষেপ নেননি তিনি। একাধিকবার বলার পরও কিছু না করে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে গাছ খেকো রবিউলকে লেলিয়ে দিচ্ছেন। তহসিলদার অফিসে বসে দেদারসে ঘুষ বাণিজ্য করছেন। টাকা দিলেই সব কাজ হয়ে যায়। আর টাকা না দিলে নানা তালবাহানায় কাজ করে না, ফেলে রাখেন।
প্রানপুর পাঠাকাটা গ্রামের ইয়াসিন আলীর পুত্র রবিউল গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, আমি সরকারি দলের নেতা। আমি গাছ কাটলে সমস্যা কোথায়। যত খুশি লিখেন আমার বিরুদ্ধে। কর্তৃপক্ষ কিছুই করবে না বলে চরম বিহাব আচরণ করেন তিনি।
তার পিতা ইয়াসিন আলী জানান, আসলে এভাবে গাছ কাটা ঠিক হয়নি। তবে, আমার নিজস্ব জায়গা। এটা খাস প্রশ্ন করা হলে উত্তরে জানান হতেও পারে বলে এড়িয়ে যান তিনি।
এব্যাপারে তহসিলদার রবিউল ইসলাম জানান, আপনি আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন, তাহলে ব্যবস্হা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করা হলে তিনি জানান, তহসিলদার গণমাধ্যম কর্মীকে অভিযোগের কথা বলতে পারেন না। এমন ঘটনা গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে, আর সরকারি গাছ কাটার ব্যাপারে কোন ছাড় নেই বলে জানান ইউএনও।