শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:২৫ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক : লোকসানের বোঝা নিয়ে ২০১০ সালের পর একে একে বন্ধ হতে থাকে রাজশাহীর সিনেমা হলগুলো। সর্বশেষ ‘উপহার’ সিনেমা হলটি বন্ধ হয় ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে। এরপরই সিনেমা দেখা থেকে বঞ্চিত ছিলেন রাজশাহীবাসী। তবে চার বছর পর মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) রাতে বিকল্প ব্যবস্থায় শহরের নতুন নির্মিত চার তারকাখচিত গ্র্যান্ড রিভার ভিউ হোটেলের পদ্মা হলরুমে সিনেমা দেখানো শুরু হয়।
প্রথম শো-তে জনপ্রিয় ‘পরাণ’ সিনেমা দেখানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহীর গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মীরা। ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে বাণিজ্যিক সিনেমা প্রদর্শন। সেখানেও দুই সপ্তাহ বা তার বেশি সময়ের জন্য দেখানো হবে ‘পরাণ’।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজশাহী শহর ও এর আশপাশে অন্তত ছয়টি সিনেমা হল ছিল। এখন এগুলোর একটিও নেই। এজন্য বিকল্প ব্যবস্থায় গ্র্যান্ড রিভার ভিউ হোটেলের পদ্মা হলরুমে সিনেমা দেখানো শুরু হয়
সম্প্রতি দেশে বাংলা সিনেমার ঘুরে দাঁড়ানোর একটা চেষ্টা লক্ষ্য করা গেছে। ‘দেবী’, ‘স্বপ্নজাল’, ‘ফাগুন হাওয়ায়’, ‘যদি একদিন’, ‘পাসওয়ার্ড’, ‘রূপসা নদীর বাঁক’র মতো কিছু ভালো সিনেমা দর্শকনন্দিত হয়। চলতি বছর ‘দিন দ্য ডে’, ‘হাওয়া’ এবং ‘পরাণ’ সিনেমাগুলো দর্শকদের আবারও হলমুখী করেছে। কিন্তু রাজশাহীতে কোনো সিনেমা হল অবশিষ্ট না থাকায় এখানকার সিনেমা দর্শকদের ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলোতে ছুটে যেতে দেখা গেছে। তবে সিনেমাপ্রেমীদের বেশিরভাগই বঞ্চিত থেকেছেন।
এরই মধ্যে খায়রুল হক শিমুল নামের একজন তরুণ ব্যবসায়ী রাজশাহীতে গড়ে তোলেন চার তারকাবিশিষ্ট গ্র্যান্ড রিভার ভিউ হোটেল। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী হোটেলটির সঙ্গে একটি সিনেপ্লেক্সও চালু হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু হোটেলটি চালু হলেও করোনা মহামারি ও অর্থনৈতিক কারণে সিনেপ্লেক্সটি এখনো বাস্তব রূপ দিতে পারেননি। কিন্তু সিনেমা দর্শকদের অনুরোধে একটি বিকল্প ব্যবস্থার পরিকল্পনা নেন ব্যবসায়ী শিমুল।
হোটেলটির হলরুমগুলোর একটি পদ্মায় তিনি সিনেমা দেখানোর আয়োজন করেন। সেখানে একটি এলইডি মনিটর স্থাপন করা হয়। পাশাপাশি হলরুমের উপযোগী সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবস্থা করা হয় এবং দর্শকদের জন্য আসনে বসার ব্যবস্থা করেন।
খায়রুল হক শিমুল বলেন, ‘বসার ব্যবস্থাপনায় আমি সন্তষ্ট নই। আসনগুলোর বেশিরভাগই একটা সমান মেঝেতে করতে হয়েছে। বিনোদন করতে এসে দর্শকদের হাতছাড়া চেয়ারে বসতে হবে, এটাও আমার খারাপ লাগছে। তবে এটা একটা শুরু। শিগগরি ডলবি সাউন্ড সিস্টেম সংযোজন করবো। সব কিছু ধীরে ধীরে করতে চাই। কারণ সিনেমা ব্যবসায় আমার কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই।’
পরাণ সিনেমার প্রযোজনা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পদ্মা হলরুম পছন্দ করেছেন বলেও জানান শিমুল। এ বিষয়ে প্রযোজনা সংস্থার একজন ব্যবস্থাপক মো. আলম বলেন, গত ঈদে সিনেমাটি ১১টি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছিল। পরে ৬০টি এবং বর্তমানে ১২০টি সিনেমা হলে চলছে। রাজশাহীতেও এর সফলতা পাবো আশা করা যায়। আজকের তানোর