মঙ্গবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:২৪ am
ডেস্ক রির্পোট : সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশের কার কত পরিমাণ অর্থ আছে, সে বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে প্রতিবেদন দেওয়ায় বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার সকালে তিনি আদালতে হাজির হয়েছেন।
আজ বুধবার (৩১ আগস্ট) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে গত ১০ আগস্ট রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বলেন, সুইস ব্যাংকে অর্থ জমা করা বাংলাদেশিদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য সরকার তাঁদের কাছে চায়নি।
তাঁর এ বক্তব্য নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর নজরে এলে গত ১১ আগস্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সরকার ও দুদকের কাছে এর ব্যাখ্যা চান আদালত। এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএফআইইউর পক্ষ থেকে আদালতে কাগজপত্র দাখিল করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএফআইইউর সেসব কাগজপত্র আদালতে তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
দাখিল করা সেসব কাগজপত্রে কারো নাম, সিল ও পদবি উল্লেখ না থাকায় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘সাদা কাগজে লিখে দিয়ে দিলেন। নাম-ঠিকানা-পদবি কিছুই নেই। বিষয়টি কি এমন যে ধরি মাছ না ছুঁই পানি? যা হওয়ার হোক, তাঁর নাম (যে কর্মকর্তা তথ্য দিয়েছেন) যেন না আসে। এত ভয় কিসের? যে কথা লিখেছেন, তার নিচে সই দিলেও হতো। নাম-সই কিছুই দিলেন না। এটি কি কেউ গ্রহণ করবে? এই তথ্যে নির্ভর করা যায় না। এমন কাগজ দাখিল করা দুঃখজনক। ’ পরে আদালত বিএফআইইউর প্রধানকে তলব করেন। সূত্র : কালের কণ্ঠ