শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:১১ pm
ডেস্ক রির্পোট : রংপুরের মিঠাপুকুরে কমিউনিটি ক্লিনিকের ছাদ ঢালাই দেওয়া হয়েছে ইটের গুঁড়ো দিয়ে। পাথর ও ইটের মানসম্মত খোয়া দিয়ে ঢালাইয়ের জন্য স্থানীয়রা একাধিকবার বললেও কর্ণপাত করেনি প্রভাবশালী ঠিকাদার। কয়েক দফা প্রতিবাদ করেও কোনো সুরাহা হয়নি।
এ নিয়ে এলাকার লোকজনের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিক্ষুব্ধ এলাকাবসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে কাজের মান যাচাইয়ের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রংপুর স্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের অধীনে প্রায় সাড়ে ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে তালিমগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিক। চেংমারী ইউনিয়নের মিঠাপুকুর-ফুলবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে এটি নির্মিত হচ্ছে। রংপুরের আলমনগর এলাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এইচএস এন্টারপ্রাইজ কাজটি পেয়েছে। নুরুস সাফা আসিফ নামে ঢাকার এক ঠিকাদারকে কাজটি দিয়েছেন মিঠাপুকুরের দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান তালুকদার।
সরেজমিন দেখা গেছে, নির্মাণকাজ চলছে পুরোদমে। শেষ হয়েছে বেজ ঢালাই ও সিঁড়ি তৈরির কাজ। এখন চলছে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাঠে খোয়া ও বালুমিশ্রিত করে নির্মাণকাজ চলছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ছাদ ঢালাইয়ে জন্য গুণগত মানসম্মত পাথর ও খোয়া দিয়ে কাজ করার কথা। কিন্তু ঠিকাদার খোয়ার গুঁড়ো দিয়ে কাজ করছেন। এলাকাবাসী একাধিকবার সঠিকভাবে কাজ করার জন্য অনুরোধ জানালেও তা কাজে আসেনি।
স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, যেদিন কাজ শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণকাজ করছেন। আমরা একাধিকবার বাধা দিয়েছি, কাজ হয়নি।
মুকুল মিয়া, আব্দুল হাই ও মানিক মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে ক্লিনিকটি অকেজো পড়েছিল। এখন নির্মাণকাজ হচ্ছে, সেটিও ঠিকমতো হচ্ছে না। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার হচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ করেও কোনো সুরাহা হয়নি। প্রভাবশালী ঠিকাদার হওয়ায় এ পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
নির্মাণকাজের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার নুরুস সাফা আসিফ বলেন, কাজটি রংপুরের এইচএস এন্টারপ্রাইজ পেয়েছে। সেটি দুর্গাপুর চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সাইদ ভাই কাজটি আমাকে নিয়ে দিয়েছেন। নির্মাণকাজের গুণগতমান বজায় রাখা হয়েছে। কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হয়নি।
মিঠাপুকুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন, নির্মাণকাজ দেখভালের দায়িত্ব প্রকৌশলীর। আমি শেষে বুঝে নেব মাত্র। কাজের মান খারাপ হলে আমি দেখব। সূত্র : যুগান্তর