মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:৪০ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
রাজশাহীর তানোরে এক কৃষক শ্রমিকের শখের ঘোড়া বিদ্যুতের খুটি টানার তারে জড়িয়ে মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যার আগে তানোর পৌর এলাকার জিওল-চাঁদপুর মহল্লায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। এঘটনায় সম্প্রতি গেলো (২৮ আগস্ট) রোববার ক্ষতিপূরণ চেয়ে তানোর পৌর মেয়র বরাবর ওই ঘোড়ার মালিক আক্কাছ আলী ওরফে বুদু লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তাঁর বাড়ি জিওল-চাঁদপুর মহল্লায়। তিনি মৃত ইব্রাহিম কারিকরের পুত্র। অভিযোগে বিবাদী করা হয় জিওল মহল্লার বাসিন্দা ওই বাড়ির মালিক আব্দুর রহেদ, তানোর বিদ্যুৎ সরবরাহ নেসকো লি: কোম্পানীর আবাসিক প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া ও বিদ্যুৎ অফিসের মিটার রিডিং মাস্টাররুল কর্মচারী রুস্তম আলীকে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে বুদু তার ঘোড়াকে ঘাস খাওয়াতে পাশের জিওল মহল্লায় এক ক্ষেতের ফাঁকা মাঠে ডাড়ক দিয়ে আসে। পরে সন্ধ্যার আগে তাঁর নাতি আব্দুল্লাহ আল সিহাব (৯) ঘোড়াকে নিয়ে আসতে ওই মাঠে যায়।
এদিকে, ওই মাঠের জমিতে জিওল মহল্লার মৃত আসাদের জামাই রহেদের বাড়ির বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ তার ও খুটির টানার তার আর্থিং হয়ে পড়েছিল। বিষয়টি বিদ্যুৎ অফিসের মিটার রিডিং মাস্টাররুল কর্মচারী জিওল মহল্লার স্থায়ী বাসিন্দা রুস্তম আলীকে অবগত করা হয়। কিন্তু তিনি পরে দেখা যাবে বলে এড়িয়ে গেছেন।
এহেন পরিস্থিতিতে মাঠ থেকে ঘোড়াকে নিয়ে আসার সময় বিষয়টি বুদুর নাতি টের পাইনি। এসময় ওই স্থানে ঘোড়া ঘাস খেতে যায়। এতে ঘোড়াটি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। কিন্তু সিহাব এমন পরিস্থিতি লক্ষ্য করে লোকজন ডাকাডাকি করে। পরে স্থানীয়রা ঘোড়ার মরাদেহ উদ্ধার করে পরিবারের লোকজনের পরামর্শে মাটি দিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বুদু তানোর থানায় যায়। থানা পুলিশ ঘটনা শোনে কি করার আছে বলে মৃত ঘোড়াকে মাটি দিয়ে পুতে রাখার পরামর্শ দেন।
এবিষয়ে বুদু জানান, আমি কৃষি কাজ করে খাই। আমার বাবা ছাত্র অবস্থায় ঘোড়ায় চড়ে স্কুলে গেছে। বর্তমানে আমাদের সচনীয় অবস্থা হলেও পিতার মতো আমারও শখ রয়েছে। তাই আমি বিভিন্ন কাজ করে খেলেও ঘোড়ায় চড়া একটা আলাদা শখ রয়েছে বলে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ঘোড়াটি কেনা হয়। কিন্তু তার ঘোড়ার এমন মৃত্যু হওয়ায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে আক্ষেপ করেন বুদু।
এব্যপারে তানোর বিদ্যুৎ সরবরাহ নেসকো লি: কোম্পানীর আবাসিক প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া বলেন, বিদ্যুৎ বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু হলে তাদের কিছু করার নেই বলে এড়িয়ে গেছেন তিনি। আজকের তানোর