আর কে রতন, বিশেষ প্রতিবেদক : সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আগামী ১ অক্টোবর থেকে এ পূজোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। তাই রাজশাহীতে এবার বেশ জোরেশোরে চলছে দেবী বরনের প্রস্তুতি। চলছে প্রতিমা তৈরির কাজও। ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রতিমা তৈরী মৃৎশিল্পীরা। পঞ্জিকা অনুযায়ী, এবার মহালয়া হবে ২৫ সেপ্টেম্বর। ৩০ সেপ্টম্বর মহাপঞ্চমী,১ অক্টোবর মহাষষ্ঠী তিথিতে হবে বোধন। পরদিন সপ্তমী পূজার মাধ্যমে শুরু হবে দুর্গোৎসবের মূল আচার অনুষ্ঠান। আর আগামী ৫ অক্টোবর মহাদশমীতে বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। পূজো মানে এলো শরৎ… শারদীয় দুর্গাপূজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সর্ব বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব।

মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হতে এখনও মাসখানেক বাকি। তবে ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে রাজশাহী মহানগরীসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার মন্ডপে মন্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ। ফলে কারিগররা এখন দারুন ব্যস্ত সময় পার করছেন। পাল বাড়ির কারিগররা কাদা-মাটি, খড়-কাঠ সংগ্রহ থেকে শুরু করে, প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সকাল থেকে রাত অবধি চলছে এই কার্যক্রম। যেন দম ফেলার সময় নেই কারো। আসন্ন দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে নগরীর মিয়াপাড়ায় ধর্মসভা, গণকপাড়ার বৈষ্ণব সভা, ঘোড়ামারা,’ শেখেরচক, কুমারপাড়া, সাগর পাড়া, গনক পাড়া ও মিয়াপাড়া এলাকায় প্রতিমা বানাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা।

নগরীর প্রতিমা তৈরির কারিগররা অরুন পাল বলেন, প্রায় ৩ মাস আগে থেকেই প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এবার বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে সুবিধা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিমা তৈরির অর্ডার নেয়া শেষ। এখন প্রতিমা তৈরি থেকে শুরু করে রংয়ের আঁচড় দিতে কমপক্ষে ১৫/২০ দিন লেগে যাবে। ফলে এখন সময় কম। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর প্রতিমার দাম কিছুটা বেশি। প্রতিটি প্রতিমা ভেদে ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা মজুরি দিয়ে প্রতিমা তৈরি অর্ডার গ্রহণ করেছেন কারিগররা।

নগরীর আলুপট্টির প্রতিমা কারিগর কার্তিক চন্দ্র পাল জানান, তিন মাস আগে থেকে তারা প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করছেন। দূর্গা পূজা উপলক্ষে ২০টি প্রতিমা তৈরির অডার পেয়ে কাজ শুরূ করেন তিনি। এখন প্রতিমা গুলোতে মাথা লাগানোর কাজ চলছে। এবার প্রতিমার মূল্য সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়েছে। নগরীর আলুপট্টির কুমারপাড়া এলাকার প্রতিমা কারিগর গণেষ চন্দ্র পাল জানান, তিন মাস আগে দূর্গা পূজা উপলক্ষে প্রতিমা তৈরির অর্ডার পেয়ে কাজ শুরু করেন। এখন ফিনিসিং, এর কাজ শেষ।

তারপর রঙের কাজ শেষ করে তাদের মন্ডপ গুলোতে প্রতিমা পৌছাতে হবে। প্রতিমা স্থাপনের ৪ থেকে ৫দিন আগে এগুলো রঙের কাজ শুরু করা হবে। এদিকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যেন সুষ্ঠুভাবে পূজা তৈরি থেকে শুরু করে, মূল উৎসবের সকল আনুষ্ঠানিকতা যেন সুষ্ঠুভাবে করতে পারে সেজন্য প্রশাসন বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অমবর সরকার বলেন, পূজোর আর মাসখানেক সময় আছে। ইতিমধ্যে মন্ডবে মন্ডবে প্রতিমা তৈরী কাজ চলছে। আশা করি অন্য বছরের মত এবারেও রাজশাহী জেলায় শান্তপূর্ন ভাবে আমাদের আয়োজন শেষ করতে পারবো। আজকের তানোর