শীর্ষ দুই পদ প্রত্যাশী নেতাদের সমর্থকদের মুহুর্মুহু স্লোগানে প্রকম্পিত হয় দেশসেরা বিদ্যাপীঠ রাজশাহী কলেজ চত্বর। সম্মেলনে আগের কমিটি বিলুপ্ত করা হলেও নতুন সভাপতি-সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়নি। এ দুই পদের জন্য ভোটও গ্রহণ করা হয়নি। ঢাকা থেকে সভাপতি-সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হবে বলে নেতাকর্মীদের জানানো হয়েছে।
সকালে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। সম্মানিত অতিথি ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা, ছাত্রলীগের গণশিক্ষা সম্পাদক আব্দুল্লাহ হীল বারী, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুজ্জামান শফিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর তৌহিদুর রহমান কিটু।
নগর ছাত্রলীগের সভাপতি রকি কুমার ঘোষ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করছেন সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজিব। সম্মানিত অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন- জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিব খান, সাধারণ সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, সাধারণ সম্পাদক ফরসাল আহমেদ রুনু, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (রুয়েট) ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী মাহফুজুর রহমান তপু প্রমুখ।
এর আগে ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে রকি কুমার ঘোষকে সভাপতি এবং মাহমুদ হাসান রাজিবকে সাধারণ সম্পাদক করে নগর ছাত্রলীগের ১৬১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। তিন বছরের ওই কমিটি ছয় বছরেরও বেশি সময় পার করে। অবশেষে আবার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো। কাক্সিক্ষত এই সম্মেলনে সভাপতি পদে অন্তত পাঁচজন ও সাধারণ সম্পাদক পদে অন্তত ৯ জন প্রার্থী রয়েছেন। তারা এখন কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে।