মঙ্গবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:৩৯ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : সপ্তাহের শেষ দিন শুক্রবারে রাজশাহীর বাজার ঘুরে দেখা যায় গত ১৫ দিনে চাল, আটা, তেল ও থাশির মাংশের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। শুক্রবার (২৬ আগষ্ট) সপ্তাহের শেষ দিনে রাজশাহীর বাজার ঘুরে দেখা যায় ১৫ দিনের ব্যবধানে চাল, ও আটা কেজিতে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৭ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সপ্তাহে আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৬২ টাকা কেজি যা গত দুই সপ্তাহ আগেও বিক্রি হয়েছে ৫৭ টাকা, গত দুই সপ্তাহ আগে মিনিকেট বিক্রি হয়েছে ৬৩ টাকা যা এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকা, গত সপ্তাহের থেকে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে গুটি শরণা বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকা এবং ৫ টাকা বেড়ে আউশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজিতে।
চাল কিনতে আসা আফজাল জানান, প্রতিনিয়ত চালের দাম বাড়তেই আছে আমরা গরিব মানুষ এভাবে চাউলের দাম বাড়লে কেমন করে সংসার চালাব। আমার মতো যাদের বড় সংসার আর আয় করার মানুষ একজন আমরা তারা খুব কষ্টে জীবন-যাপন করছি চালের দাম বৃদ্ধির কারণে। চাল ব্যবসায়ী রহিম ইসলাম জানান, চালের আমদানী কমের কারণে ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারনে বাইরে থেকে চাল আসার খরচটা বেড়ে গেছে তাই চালের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
চাউলের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আটার দামও। কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে আটা বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকা কেজিতে। ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা কেজিতে। এ সপ্তাহে গরুর মাংশের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে খাশির মাংশের দাম। ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে খাশির মাংশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা কেজিতে।
এছাড়া এ সপÍাহে কিছু কিছু মাছের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বৃদ্ধি পেয়েছে রুই, সিলভার, মিরকা ও কাতল মাছের। বড় ইলিশ গত সপ্তাহের চেয়ে ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ১৭০০ টাকা কেজিতে, ২০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা, ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা, গত সপ্তাহের চেয়ে ১০ টাকা বেশিতে সিলভার মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬ টাকা, কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে মিরকা মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা ও ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি দরে।
মাছ কিনতে আসা মাসুদ জানান, প্রতি সপ্তাহে মাছ কিনলে আসলে দেখছি মাছের দাম কেজিতে ৫০-১০০ টাকা বৃদ্ধি। এভাবে যদি প্রতি সপ্তাহে মাছের দাম বৃদ্ধি পায় তাহলে আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ মাংশের মতো মাছ খাওয়া ছেড়ে দিব।
মাছ কিনতে আসা লিজা আক্তার জানান, বাজারে মাছ কিনতে এসে দেখি গত সপ্তাহের চেয়ে মাছের দাম আবার বেড়ে গেছে। কিছু বলার নাই যেখানে দুই কেজি মাছ কিনতাম সেখানে হয়তো এককেজি কিনবো। আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ আমাদের খেয়েতো বাঁচতে হবে।
মাছ বিক্রেতা জয়নাল জানান, বৃষ্টি ও মেঘের কারণে জেলেরা মাছ ধরতে পারছে না সে কারণে মাছ কম আসছে। আর আমদানি কম থাকার কারণে আমরা চাহিদা অনুযায়ী মাছ সরবরাহ করতে পারছি না তাই মাছের দামটা বেশি।
এছাড়া এ সপ্তাহে বাজার ঘুরে দেখা যায় মুরগি ও ডিমের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কম। এ সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ২৫ টাকা কমে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা, ১০ টাকা কমে সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা এবং এ সপ্তাহে দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজিতে। গত সপ্তাহের চেয়ে ২ টাকা কমে লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকা হালি এবং সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৪ টাকা হালিতে।
এ সপ্তাহে অপরিবর্তিত রয়েছে সবজির বাজার। কিছু কিছু সবজির দাম কমেছে বলেও জানান সবজি ব্যবসায়ীরা। পূর্বের মূল্যে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৮০, করলা ৬০, আলু ২৫, ২০ টাকা কমে শসা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, ২০ টাকা কমে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ এবং কেজিতে ১০০ টাকা কমে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে।
এছাড়াও এ সপ্তাহে স্থিতিশীল রয়েছে মুদিসামগ্রী পণ্যের বাজার। মুদিপণ্যের সব পণ্যের দাম পূর্বের মতোই রয়েছে। আজকের তানোর