মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:৫০ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা : রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার পাড় ভেঙে নিখোঁজ হয়েছেন মুজা মাঝি (৬২) নামের এক বৃদ্ধ। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের চৌমাদিয়া চরে এ ঘটনা ঘটেছে। এক মাসের ব্যবধানে ৪০টি পরিবারের বাড়িঘর পদ্মাগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
জানা গেছে, চকরাজাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চৌমাদিয়া চরের মৃত আলী মাঝির ছেলে মুজা মাঝির ১৫ দিন আগে বাড়ি পদ্মাগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। মনের দুঃখে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে পাড়ে বসে কান্নাকাটি করছিলেন। এ সময় পদ্মার পাড় ভেঙে পড়ে নিখোঁজ হয়েছেন তিনি। তারপর এলাকার লোকজন জানতে পেরে নৌকা ও জাল নিয়ে খোঁজ করতে থাকেন; কিন্তু দুই ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও তাকে খুঁজে পায়নি।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন চকরাজাপুর ইউনিয়নের চৌমাদিয়া চরের ওয়ার্ড মেম্বর আবদুর রহমান।
চকরাজাপুর ইউনিয়নের চৌমাদিয়া চরের ওয়ার্ড মেম্বর আবদুর রহমান বলেন, এক মাসের ব্যবধানে চৌমাদিয়া, আতারপাড়া, দিয়ারকাদিরপুর চরের এরশাদ মাঝি, শাহপরায়ন, দিলু ব্যাপারী, করিম তাঁতীসহ ৪০টি পরিবারের বাড়িঘর পদ্মাগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া আমবাগান, বরইবাগান, পেয়ারাবাগান, শাকসবজি, আখক্ষেত, বিভিন্ন ফসলি জমিসহ শত শত বিঘা জমি পদ্মাগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
চকরাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান বলনে, পদ্মার চরে মধ্যে ৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দুটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে চৌমাদিয়া, আতারপাড়া, চকরাজাপুর, পলাশি ফতেপুর, ফতেপুর পলাশি, লক্ষ্মীনগর, চকরাজাপুর, পশ্চিম চরকালিদাসখালী, পূর্ব চকরাজাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। চকরাজাপুর ও পলাশি ফতেপুর এই দুটি উচ্চ বিদ্যালয়। পদ্মার চরে ৯টি প্রাথমিক ও দুটি উচ্চ বিদ্যালয় মিলে প্রায় ২ হাজার ৬০০ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে আতঙ্কে।
চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা জানান, পদ্মায় পানির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে আতঙ্ক। কখনও ভাঙ্গন, আবার কখনো সর্বস্ব হারানোর ভয়। এমন আতঙ্কেই দিন কাটছে চকরাজাপুর ইউনিয়নের পদ্মার চরের মানুষের। প্রতি বছর পদ্মার মধ্যে বসবাসকারীদের চিন্তার ভাঁজ থাকে নদী ভাঙ্গন নিয়ে।
চকরাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান বলেন, চরকালিদাসখালী, জোতকাদিরপুর, দিয়ারকাদিরপুর, লক্ষ্মীনগরসহ ১৫টি চর ভাঙনের মুখে পড়েছে। গত এক মাসে ৪০টি বাড়ি, আমবাগান, বরইবাগান, পেয়ারাবাগান, শাকসবজি, আখক্ষেত, বিভিন্ন ফসলি জমিসহ শত শত বিঘা জমি পদ্মাগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
চকরাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বাবলু দেওয়ান বলেন, পদ্মায় বর্তমানে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার সঙ্গে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে অনেকেই বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছেন। চকরাজাপুর ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে আজ ছোট হয়ে যাচ্ছে। পদ্মা তীর রক্ষার্থে কাজ করলে চকরাজাপুরবাসী নতুন স্বপ্নে উজ্জীবিত হবেন। আজকের তানোর