শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৫০ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগমারা : রাজশাহীর বাগমারার মেয়ে মিমি, নিজের জীবন কাটাচ্ছেন এখন মালয়েশিয়াতে অথচ জীবনের লম্বা একটা সময় কাটিয়েছে ইট পাথরের ঢাকা শহরে। মিমি প্রায় বছর সাতেক ধরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করলে ও নিজেকে মিমি পরিচয় দিতে চায় একজন উদ্যোক্তা হিসেবে। শখের বসে উদ্যোক্তা হওয়ার পথটায় মিমির শুরুটা ছিলো মাত্র ১৪০০ টাকা দিয়ে।
উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেয়ার সুবাদে মিমির কাজ করতে হয় বিদেশি ব্র্যান্ডের অথেন্টিক স্কিন কেয়ার এবং কসমেটিক সামগ্রী নিয়ে, এছাড়া সম্প্রতি তিনি দেশীয় প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। শুরুর দিকে নিজেদের কোম্পানি ফেসবুকে, তাদের কাস্টমাররা মূলত অফলাইন কেন্দ্রিক ছিলো এবং মিমির উদ্যোক্তার পথটা ও অফলাইনকে ঘিরে ছিলো।
মূলত এখনকার মতো সে সময়ে অনলাইনে এসব কিছুর জনপ্রিয়তা আমাদের দেশে ছিলো না কিংবা অনলাইন মাধ্যম সাধারণ জনগণের বিশ্বাসযোগ্য না হয়ে উঠায় মিমিদেরকে অফলাইনেই সব করতে হতো। কিন্তু বিশ্ব মহামারির করোনা ভাইরাসের সময় গোটা বিশ্বের নানা রকম পরিবর্তন এর মতো মিমিদের প্রতিষ্ঠানে ও আসে পরিবর্তন। নিজেদেরকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার পিছনে কাজ করে যাচ্ছে।
মিমিদের মূল লক্ষ্য মানুষদের কাছে কম দামে অথেনটিক প্রোডাক্ট পৌঁছে দেয়া। এ ব্যাপারে মিমি বলেছেন, ‘ আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই বিদেশী প্রোডাক্টগুলো কে খুবই পছন্দ করে থাকেন। কিন্তু সমস্যাটা তখনই হয় যখন তারা নকল পণ্য অনেক চড়া দামে কিনে থাকেন, কিন্তু এটা বুঝতে পারেন না কোনটা আসল আর কোনটা নকল। আসলে এত নকলের ভিড়ে অথেন্টিক প্রোডাক্টগুলো চেনা খুবই কষ্টকর। এইসব জিনিসের কারণেই আমার কাছে মনে হয়েছে যেহেতু আমি বাহিরে থাকি, সেহেতু অথেন্টিক প্রোডাক্টগুলো খুবই কম দামে আমি কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দিতে পারব। ‘
সব ধরনের ক্রেতাদের কথা টার্গেট করে এবং নিজের অবস্থান হিসাব করে মিমির মূল লক্ষ্য শুধু উচ্চবিত্তই নয়, মধ্যবিত্তদের মাঝে যেনো কম দামে অথেনটিক প্রোডাক্ট পৌঁছে দেয়া এবং সেই সাথে অনলাইনে মানুষ যেনো তাদেরকে বিশ্বস্ত মনে করে সেই অনুযায়ী তাদের কাজ করা। এ ব্যাপারে মিমির মত, তাদের কাছ থেকে পণ্য কিনে একজন কাস্টমার দামের দিক দিয়ে যেমন খুশী হবে তেমনি পণ্যের মান নিয়ে ও খুশী হবে।
অন্যদের উদ্দেশ্যে মিমি বলেছেন, নিজের পছন্দের কাজ নিজের ফ্যাশনের সাথে করা এবং যেকোনো কিছু শুরুর জন্য যে লাখ টাকার প্রয়োজন হয় এমন ধারণা থেকে বের হয়ে আসা।
মিমি শুধু নিজের কথাই চিন্তা করেন নাই, অন্যদের উদ্দেশ্যে ও দিয়েছেন বার্তা, তাদেরকে ও দিয়েছেন অনুপ্রেরণার উৎস। মিমির এই বার্তাকে পুঁজি লাগিয়েই হয়তো মিমির মতো আর ও অনেকে উঠে আসবে, বদলাবে জীবনের গল্প। আজকের তানোর