মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:২৭ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর : রাজশাহীর তানোরে আটককৃত মটর সাইকেল থানা থেকে গায়েব হয়ে গেছে। এ ঘটনায় মটর সাইকেলের মালিক বেলাল হোসেন ওরফে বুলু গেলো (২২ আগস্ট) সোমবার দুপুরে রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে গিয়ে তানোর থানার ওসি এবং এক এসআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ সময় পুলিশ সুপার না থাকায় তাঁর অফিস কার্যালয়ের কর্তব্যরত পুলিশ কন্সটেবল সাহাদাৎ হোসেন রিসিভ করে অভিযোগপত্র জমা নিয়ে টু কপিতে স্বাক্ষর দেন।
অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার বুরুজ মহল্লার বাসিন্দা মৃত লোকমান হাফেজের পুত্র বেলাল হোসেন বুলু (৩৯) সম্প্রতি ৩ মার্চ সন্ধ্যায় তাঁর মটরসাইকেল চালিয়ে কাশিম বাজার থেকে তানোর সদরে যাবার উদ্দেশ্যে বের হন। পথের মধ্যে জিওল-চাঁদপুর নামক মোড়ে মনজিলা নামক একব্যক্তি তাঁর চলন্ত মটর সাইকেলে ধাক্কা লাগে। এতে মনজিলা সামান্য আহত হন। পরে বেলাল হোসেন তাঁকে উদ্ধার করে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করান। এরইমধ্যে তানোর থানা পুলিশ এমন দূর্ঘটনার খবর পাই।
পরে থানা থেকে মানিক নামের এসআই ঘটনাস্থলে গিয়ে বেলাল হোসেনের মটরসাইকেল জব্দ করে থানা হেফাজতে নেন। যার রেজিষ্ট্রেশন নম্বর রাজশাহী-হ-১১-৬১২২। এঘটনার কয়েক মাস পরে গত ২৪ জুন সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় কাউন্সিলর মুনজুর রহমান এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে শালিস বৈঠক বসান। শালিসে চিকিৎসা খরচ বাবদ আরও ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি আপোষ-মিমাংসা করা হয়।
বেলাল হোসেন জানান, কাউন্সিলরের মিমাংসাপত্র নিয়ে ওইদিন দুপুর ১২টার দিকে থানায় যান তিনি। সঙ্গে তানোর পৌরসভার নারী কাউন্সিলর মমেনা আহম্মেদ ও তাঁর ভাই আলফাজ উদ্দিন ছিলেন। এ সময় জব্দকৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার ব্যাপারে তানোর থানার ওসি কামরুজ্জামান মিয়াকে অবগত করে মোটরসাইকেল ছাড়িয়ে দেবার জন্য অনুরোধ করা হয়।
তাদের এমন অনুরোধে ওসি জানান, মানিক এসআই থানায় নেই। অন্যত্র বদলি হয়ে গেছে। আপনি মোটরসাইকেলটি নিতে চাইলে মানিক এসআইকে নিয়ে আসতে হবে। এছাড়াও আপানার মটরসাইকেল ব্যাপারে আমি অবগত নয়। ওসির এমন কথার প্রেক্ষিতে বেলাল বলেন, থানা চত্বরে তাঁর মটরসাইকেলটি দেখতে পাচ্ছেন তিনি। তখন ওসি জানান, ঠিক আছে খোঁজ-খবর নিয়ে দেখি ১৫ দিন পরে আসেন। ওসির কথা মতো ১৫ দিন পরে পূনঃরায় থানায় গিয়ে মোটরসাইকেলটি ব্যাপারে বলিলে, তিনি রাগান্বিত ও উর্গ্র মেজাজে বলেন, এসআই মানিককে নিয়ে এসে মটরসাইকেল নিতে হবে। আমি এই বিষয়ে কোন কিছু অবগত নয়। এ ব্যাপারে বেশি বাড়াবাড়িতে গেলে মোটরাসাইকেলটি চিরতরে হারাবে বলে হুমকি দেন ওসি। এছাড়াও এ বিষয়ে কোন কিছুই বলতে বার্ধ্য নয়, বলে আপমান-অপদস্ত করে থানা থেকে তাদের তাড়িয়ে দেন ওসি। ফলে নিরুপাই হয়ে তাঁর মটরসাইকেল উদ্ধার ব্যাপারে ওসি এবং এসআইয়ের বিরুদ্ধে এসপির নিকট অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে তানোর থানার তৎকালিন সময়ের এসআই মানিক মোবাইলে বলেন, ওসি স্যারের নির্দেশে ঘটনাস্থল থেকে মটরসাইকেল উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়। পরে জিডি করে থানা বহির জব্দ তালিকায় মটরসাইকেলটি থানা হেফজতে রাখা হয় বলে জানান তিনি।
এব্যাপারে তানোর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, এসআই মানিক এমন মটরসাইকেল আটক ব্যাপারে তাঁকে অবগত করেননি। তবে, থানাতেও তার মটরসাইকেল আছে বলে তাঁর জানা নেই। যদি থানায় এমন মটরসাইকেল জব্দ থাকে কাগজপত্র দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান ওসি। আজকের তানোর