‘যিনি এ কথা বলেছেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সেটা আমাদের সরকারেরও বক্তব্য না, দলেরও না। এটা আমি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই। এতে ভারতও লজ্জা পায়। কীভাবে আমরা এ কথা বলি? বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কটা ভালো আছে। অহেতুক কথা বলে এটা (বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক) নষ্ট করবেন না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী সেপ্টেম্বরে ভারতে যাবেন বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তখন হয়তো আরও কিছু বিষয়ে মতৈক্য হবে। লেনদেন, পার্টনারশিপ আরও জোরদার করার বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হবে।
ভারতের সঙ্গে বৈরিতা চান না উল্লেখ করে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৯৭৫ সালের পর ভারতের সঙ্গে বৈরিতা করে আমাদের দেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর সেই অবিশ্বাস-সংশয়ের দেয়াল ভেঙে দিয়েছেন।’
এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া দুর্গাপূজা ও জন্মাষ্টমীর মতো অনুষ্ঠান হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে পালন করেছেন বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ইদানীং কিছু সহিংস ঘটনা ঘটছে। যারা হিন্দুদের মন্দির, বাড়িতে হামলা করে, তারা কোনো দলের নয়। তারা হচ্ছে দুর্বৃত্ত। তারা সবার শত্রু।
এ দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ সংখ্যালঘু নয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। আপনাদেরও সমান অধিকার। এ অধিকার থেকে আপনাদের বঞ্চিত করার কেউ নেই।’
‘সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিশ্বস্ত ঠিকানা বিএনপি। তারাই উসকানি দেয়, মদদ দেয়।’—অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ। সভাপতির বক্তব্যের পর প্রদীপ প্রজ্বালন করে জন্মাষ্টমীর মিছিলের উদ্বোধন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে কয়েক বছর বন্ধ থাকার পর এবার আমরা আবার জন্মাষ্টমীর মিছিল করতে পারছি।’
রাজধানীর বিভিন্ন মঠ, মন্দির ও সংগঠনের পক্ষ থেকে মিছিল নিয়ে পলাশীর চত্বরে আসেন ভক্তরা। মিছিলে হাজারও মানুষের সমাগম ঘটে। পলাশীর মোড় থেকে মিছিলটি শুরু হয় বিকেল সাড়ে চারটায়। বাদ্য বাজিয়ে ও আড়তি করে মিছিলটি শিক্ষা ভবন, পুলিশ হেডকোয়ার্টার, গুলিস্তান হয়ে বাহাদুর শাহ পার্কে গিয়ে শেষ হয়। সূত্র : প্রথম আলো