শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:৫৯ pm
বিনোদন ডেস্ক : মেহমুদ সেজান একজন কবি। সেজান একটা কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দিতে গেলে ঘটনার সূত্রপাত হয়। তার পূর্বের প্রফেশন কি ছিল সেটা অফিস কর্তৃপক্ষ নজরুল সাহেব জিজ্ঞাসা করলে, সেজান জানায় সে আগাগোড়া একজন কবি। পূর্বেও কবি ছিল, বর্তমানেও কবি।
তার কবিতা বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপা হয় সেটাও দেখান। নজরুল সাহেব বিরক্ত হয়ে সামনে থেকে জীবন বৃত্তান্ত ছিঁড়ে ফেলেন। রাগান্বিত স্বরে বলেন তার অফিসে কবির কোন চাকরি নেই। অফিস থেকে অপমান করে বের করে দেওয়ার সময় সেজানের মেজাজ খুব খারাপ হয়।
এর মধ্যে নজরুল বিশাল একটা এনজিওর কাজ পায়। কোম্পানি কবিতাকে ভিজ্যুলাইল্ড করে দেশের মানুষের দারপ্রান্তে পৌঁছাতে চায়। কাজটি কয়েক কোটি টাকার। নজরুলের কোম্পানি এত বড় কাজ আর কোনোদিন পায়নি। নজরুল পাগল প্রায়, সে সেজানকে খুঁজতে শুরু করে। সেজান ছাড়া এ কাজ আর কেউ করতে পারবে না কিন্তু তার বায়োডাটা খুঁজে পাচ্ছে না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর দারোয়ান বাইরে থেকে একটা কাগজ এনে দেয়। নজরুলের মন শান্ত হয়। সে সেজানকে ফোন করে ক্ষমা চায়, তার অফিসে এক কাপ কফি খাওয়ার আমন্ত্রণ জানায়।
এদিকে রেনুর বিয়ে ঠিক হয়, সেজান কি পায় রেণুকে? জানতে হলে দেখতে হবে একক নাটক ‘কবি’। নাটকটি রচনা করেছেন আজম খান। চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন জহির খান।
নাটকটিতে অভিনয় করেছেন এফ এস নাঈম, মৌসুমী হামিদ, আহসান হাবিব নাসিম, সোহেল খান, লামিয়া লিপা, তন্ময়া তানিয়া, আহমেদ জিসান, জারিফ শিকদার, জায়েদ হোসেন, আজাদ শেখ, এস কে তরুণ, হামিদুর রহমান, রিমি জাহানসহ আরও অনেকে। ভাইসব প্রডাকশনের প্রযোজনা নাটকটি শুক্রবার ১৯ আগস্ট একটি বেসরকারি চ্যানেলে রাত ৯টা ৩০ মিনিটে প্রচার হবে।
বলা চলে, অনন্ত-বর্ষার সিনেমা মানেই মিশা সওদাগরের উপস্থিতি। তবে এই তারকা দম্পতির পরবর্তী সিনেমা ‘নেত্রী দ্য লিডার’-এ দেখা যাবে না মিশাকে।
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিশা সওদাগর বলেন, শত কোটি টাকা দিয়ে অনন্ত জলিলের ‘দিন দ্য ডে’ নির্মাণ করা হয়েছে। এতে দর্শক হয়তো বিনোদন পেয়েছে, কিন্তু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কোনো লাভ হয়নি।
শনিবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে যমুনা ব্লকবাস্টারে ‘দিন দ্য ডে’র প্রদর্শনীতে যান অনন্ত-বর্ষা। সেখানে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মিশা প্রসঙ্গে বর্ষা বলেন, ‘আমরা সবাই চলচ্চিত্রের শিল্পী। বিপদে আপদে একে অপরের পাশে এগিয়ে আসবো। কিন্তু আমি দেখছি, কেউ কেউ তাদের অবস্থান থেকে নিজেদের ক্ষমতা দেখাতে চাচ্ছেন। চলচ্চিত্রের মানুষ কিন্তু কেউ বোকা না।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনন্ত জলিলের সিনেমা মানেই মিশা সওদাগর ভিলেন থাকবে। আমরা মিশা ভাই ছাড়া অন্য কাউকে কখনোই চিন্তা করতে পারতাম না। লিগ্যাল গার্ডিয়ান কিন্তু তার কোনো সন্তানকেই ছোট করে দেখতে পারে না। আমি বলবো, ‘দিন দ্য ডে’ মিশা ভাইয়ের একটি সন্তান। তিনি এটাতে অভিনয় করেছেন।’
নায়িকা যোগ করেন, ‘এখন তিনি (মিশা) যে বিষয়টা বলছেন, বাংলাদেশিদের ভাত, ডাল, আলুভর্তা পছন্দ। আমরা কি এতটাই ছোট হয়ে গেছি যে, ডাল-আলুভর্তা খাব! কে না চায় ভালো খাবার খেতে? কে না চায় ভালো থাকতে? উনার (মিশা) কাছে ডাল-আলুভর্তা পছন্দ কারণ, তিনি আমেরিকা থাকেন। ওখানে সেটেল হয়ে গেছেন। যারা বাইরে থেকে আসেন তাদের একটু বাঙালি খাবার পছন্দ।’
শঙ্কার উল্লেখ করে বর্ষা জানান, ‘আমার মনে হয়, মিশা ভাই ভয়ে আছে। তিনি হয়তো ভাবছেন, তার হাতে কাজ নেই। আমেরিকা থাকুক আর যেখানেই থাকুক, টাকা তো লাগবে। আর তার ইনকামের সোর্স তো বাংলাদেশ। তাই তাকে কিছু না কিছু করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘একটা বিষয় স্পষ্ট, ‘নেত্রী দ্য লিডার’-এ আমরা তাকে (মিশা সওদাগর) কাস্ট করিনি। এ জন্যই তার ক্ষোভ। কারণ, তিনি যেসব কথা বলছেন, সেগুলোর কোনো মিনিং নেই। তিনি তার ব্যক্তিস্বার্থে এসব করছে।’
বর্ষার ভাষ্য, ‘শুটিং সেট বা এফডিসি, যেখানেই দেখা হয়েছে ‘বোন’ ছাড়া মিশা ভাই কখনও আমার সঙ্গে কথা বলেনি। বর্ষা নামটি উচ্চারণ করলেও বেশ ছোট করে বলতো। সবসময় বোন বোনই করত। অথচ এখন তার কথা বলার ধরন অন্যরকম।’