রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:০২ am
আর কে রতন, বিশেষ প্রতিবেদক : বর্ষা শুরুর সাথে সাথে খাল বিল নদীনালা পানি জমার জন্য এলাকায় বেড়ে যায় মাছ ধরার সরঞ্জামের চাহিদা। আর মাছ ধরার বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরী কারিগররা সারা বছর বর্ষায় বাঁশের তৈরী সামগ্রী বিক্রির জন্য অপেক্ষায় থাকে। কিন্তু চলতি বর্ষার মওসুমে আষাঢ় শ্রাবণ মাস শেষ হলেও কাঙ্খিত বৃষ্টি ও বন্যা না হওয়ায় খাল বিল নদীতে পানি শূণ্য। ফলে বেচা-কেনা নেই মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ। সরঞ্জাম বিক্রি না থাকার কারনে অর্থের অভাবে চলতি মৌসুমে জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হচ্ছে মাছ ধরা সাসগ্রী তৈরীকারিগরদের।
অন্যদিকে অনাবৃষ্টির কারনে খাল বিলে পানি শূণ্য হওয়ায় মাছ ধরতে না পারায় জেলে সম্প্রদায়ের লোকজন ভীষণ কষ্টে দিন পার করছেন। রাজশাহী জেলার দেশী মাছের ভান্ডার হিসেবে খ্যাত তানোর উপজেলার বিল কুমারী বিল। বর্ষা মৌসুমে বিলের আশপাশের মাঠ তলিয়ে যায় পানিতে। ১৫৭ হেক্টর আয়তনের এই বিল বর্ষা মৌসুমে এর আয়তন হয় প্রায় ৫০০ হেক্টর। এই বিলের চারিপার্শ্বে বসবাসকারি প্রায় ৫০০ শতাধিক মৎস্যজীবি পরিবারের সংসার চলে এই বিলে মাছ শিকার করে। অথচ চলতি বছরে বৃষ্টি না থাকায় বিলে পানি নেই, মাছ ও নেই।
তানোর উপজেলার শীতলিপাড়া গ্রামের মাছ ধরা ফাঁদ তৈরী কারিগর এনতাজ আলী বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ধম ফেলার সময় পাওয়া যায না। কিন্তু এবার বন্যা না থাকায কোন সামগ্রী বিক্রি ও নেই অর্ডারও নেই।একই উপজেলার কুঠিপাড়া গ্রামের মৎস্যজীবি রেজাউল ইসলাম বলেন, মাছ শিকার আমাদের একমাত্র আয়ের উৎস। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে দেশীয় মাছের দেখা নেই। বাধ্য জীবিকা নির্ভরের জন্য বর্তমানে রাজমিস্ত্রির লেবার হিসাবে কাজ করছি।
মোহনপুর উপজেলার বাকশৈইল গ্রামের মাছ শিকার ফাঁদ তৈরীর কারিগর আয়েজ উদ্দিন বলেন এ অঞ্চলে মাছ ধরার জন্য বাঁশ দিয়ে তৈরি এক ধরনের খাঁচা যা স্থানীয়দের কাছে খোলসুন নামে পরিচিত। বন্যার সময জমির আইলের পাশে বা খালের ধারে খোলসুন রেখে দিলে এতে আটকা পড়ে মাছ। কিন্তু এবার আষাঢ় ও শ্রাবণ এ দুই মাসে খাল বিলে পানি কম থাকায় কমে গেছে এর চাহিদা। দামও পাচ্ছি না। তিনি আরো বলেন, আকারভেদে আগে ছোট খোলসুন ১৫০ থেকে ২৫০ এবং বড়টা ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হলেও, বর্তমানে দাম নেমে এসেছে অর্ধেকে।
তানোর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাঃ শরীফ উল আলম বলেন, মৎস্যজীবিদের কথা ভেবে মৎস্য বিভাগ নানামুখী কর্মসূচী হাতে নিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় তানোর উপজেলায় জেলেদের বিকল্প আয়বর্ধক কর্মসূচীর আওতায় বিগত অর্থবছরে ৬০ জন মৎস্যজীবির মাঝে বিনামূল্যে ছাগল বিতরণ করা হয়েছে। আজকের তানোর