মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:১৮ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এঁর ৭৩ তম জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া ও বিশেষ প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৫ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অলোকার মোড়ের দলীয় কার্যালয়ে এই দোয়া ও বিশেষ প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার-এর অসুস্থতাজনিত কারণে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমানুল হাসান দুদু।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ দারার পরিচালনায়, দোয়া পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মাওলানা মোঃ রেজওয়ানুল হক পিনু মোল্লা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড.মোঃ মতিউর রহমান,সহ-সভাপতিমন্ডলীঃ-মোঃ আমানুল হাসান দুদু, এ্যাড. ইব্রাহিম হোসেন, মোঃ সাইফুল ইসলাম দুলাল, এ্যাড. মোঃ শরিফুল ইসলাম শরিফ এবং আলহাজ্ব মোঃ জাকিরুল ইসলাম সান্টু প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা তাদের বক্তৃতায় বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জ্যেষ্ঠপুত্র শেখ কামাল ছিলেন একাধারে মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, রাজনীতিবিদ, ক্রীড়া সংগঠক, সাংস্কৃতিক সংগঠক এবং সমাজসেবী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতে গোটা পরিবারের সঙ্গে তাঁকেও শাহাদাৎ বরণ করতে হয় বাংলাদেশ বিরোধী হানাদের হাতে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে রাজনীতির মাঠে তাঁর প্রয়োজনীয়তা যখন অনিবার্য হয়ে উঠে ঠিক তখনই তাঁকে পাওয়া গেছে খেলার মাঠে, গানের আসরে, নাটকের মঞ্চে, সেতারের সুরে, বন্ধুদের আড্ডায় ও ছাত্ররাজনীতির স্লোগানে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জাতির পিতাকে আটক করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়ার পর মা-মাটি এবং মাতৃভূমির সম্ভ্রম রক্ষায় মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন শেখ কামাল। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক আতাউল গনি ওসমানীর এডিসি হিসেবে দেশকে স্বাধীন করতে তিনি রাখেন বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা।’