শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:২৯ am

সংবাদ শিরোনাম ::
তানোরে শিক্ষক সমিতিকে নিজ পকেটে রাখতে মরিয়া বিএনপি নেতা মিজান অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে চান জেড আই খান পান্না নগরীতে বিএনপি নেতাকে ছুরিকাঘাত আগামী ২৯ নভেম্বর খুলছে রাজশাহী সুগার মিল জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণে স্মরণসভা রাজশাহীতে যুবলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ১১ বাগমারা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবু তালেবের ইন্তেকাল তানোরে মসজিদের এসি অফিসার্স ক্লাবে, ইমামের অর্থ আত্নসাৎ প্রমান পেয়েছে তদন্ত কমিটি সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তানোরে বিএনপির কর্মীসভা নগরীতে ছাত্রলীগ নেতাসহ বিভিন্ন অপরাধে ৮ জন গ্রেপ্তার লীজকৃত পুকুর দখল, মালিককে বুঝিয়ে দিতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ পুঠিয়ায় ভুয়া ডাক্তার ধরে প্রাননাশের হুমকির মুখে সাংবাদিকরা রাজশাহী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন তানোর থানায় দালালের দৌরাত্ন্য বৃদ্ধি, অসহায় মানুষ দুর্গাপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে আটক ৩ জনের কারাদণ্ড গ্রাহকের ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, বন্ধু মিতালীর চেয়ারম্যানসহ আটক ৪ রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে আ.লীগকে দূরে রাখতে ছাত্রনেতাদের চাপ অর্ন্তবর্তী সরকারকে নিরপেক্ষ না হওয়ার আহ্বান বিএনপি নেতাদের তানোরে সরকারি কর্মকর্তা ও সুধীজনদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সাম্প্রতিক সময়ে অটোরিকশা বন্ধের দাবিতে সচেতন নাগরকবাসী
দুর্গাপুরে ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

দুর্গাপুরে ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, দুর্গাপুর : রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক আতিকুর রেজা সরকারের বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি ও মিথ্যা মাদক মামলায় স্বামী-স্ত্রীকে ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌর এলাকার দেবীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর পরিবারের লোকজন এবং সচেতন গ্রামবাসী।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন, ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া সাহাবুল ইসলামের পুত্র সুজন রাব্বী (২৫)।

লিখিত বক্তব্যে সুজন রাব্বী অভিযোগ করেন, জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক আতিকুর রেজা সরকারের কুচরিত্রের কথা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাতে চাই। আমার পিতা সাহাবুল হোসেন ও মা শাহানারা বেগম সহজ-সরল প্রকৃতির মানুষ। আমার বাবা পেশায় কৃষক ও মা গৃহীনি। আমার বাবা ও মা প্রায় দুই মাস যাবত অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে আছে। বর্তমানে তাদের শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় নিজের ইচ্ছামত চলাফেরা করতে পারে না।

ফলে আমার বাবা ও মা রাজশাহী ডায়াবেটিক এসোসিয়েশন হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রোগী। পাশাপাশি তাদের হার্টের চিকিৎসা চলছে। এঅবস্থায় আমার বাবা-মা মাদকদ্রব্য বেচাকেনার সাথে কোনরুপ জড়িত নেই। কিন্তু হঠাৎ করেই গত ৩০ জুলাই বেলা ২টার দিকে সিলভার কালারের একটি মাইক্রো গাড়ি আমাদের বাড়ির সামনে অবস্থান করে। গাড়ি থেকে অপরিচিত বেশ কয়েকজন লোক তড়িঘড়ি আমার বাড়ির ভিতর প্রবেশ করেই আমার বাবা ও মাকে মারপিট শুরু করেন। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা আমার বাবা-মাকে বেধড়ক মারপিট করেন। এরমধ্যে আছমা নামের একজন মহিলা ও অপরিচিত কয়েকজন ব্যক্তি আমার বাড়ির কয়েকটি ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে।

পাশাপাশি আমার বাবা-মা চিৎকার চেচামেচি শুরু করলে আমি ও আমার ভাইসহ কয়েকজন বাড়ির ভিতর প্রবেশ করি। আমি তাদের জিজ্ঞেস করতে গেলে আমাকেও তারা বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে বলেন, এই শালা তুই আমারে চিনিস না? আমরা ডিবি পুলিশ। এরই মধ্যে স্থানীয় কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম আমার চাচা বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করেন। পরে কমিশনারকে সঙ্গে নিয়ে নতুন করে নাটক সাজিয়ে আবার ঘরগুলোতে মাদকদ্রব্য আছে বলে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। প্রায় সবগুলো ঘর খোঁজাখুঁজি শেষ মুহূর্তে শেষের ঘরে তারা পরিকল্পিতভাবে মাদকদ্রব্য ইয়াবা বড়ির একটি প্যাকেট গোপনে বিছানার তলে আছমা নামের কনস্টেবলকে দিয়ে রাখেন।

পরে ওই ঘর খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে তারা নিজেরাই বিছানার তোষক তুলে ইয়াবা বড়ির প্যাকেটটি বের করেন। এই ঘটনা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ও নাটকীয় ভাবে আমার বাবা ও মাকে ফাঁসানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে মাদকদ্রব্যের কোন কিছুই স্থানীয় সাক্ষী ও অন্যান্য লোকদের কেউ বা আমাদের কেউ দেখানো হয়নি।

শুধু তাই নয়, ওইদিন রাজশাহী জেলা ডিবির পরিদর্শক আতিকুর রেজা বিভিন্ন ভাবে আমাদেরকে হুমকি-ধামকি দিয়ে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। সেই টাকা দিতে আমার বাবা অস্বীকার করলে তাদেরকে থানায় নিয়ে যায় এবং ইয়াবা ও হেরোইন নামের দুই ধরনের মাদকদ্রব্য যোগ করে মামলা দায়ের করেন। এমন একটি হীন কাজের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত দায়িত্বশীল কাজে থাকা কর্মকর্তা আতিকুর রেজা সরকারের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি জোর দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলন আরও অভিযোগ করা হয়, গত ২০২১ সালে দেবীপুর গ্রামের আজিজুর রহমানের কলেজে পড়ুয়া ছেলে সাওন আজমকে হেরোইন ও ইয়াবা বড়ি মাদক দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। এসময় স্থানীয় লোকজন ডিবির ওই কর্মকর্তাকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে। পরে সাধারণ লোকজনের রোষালনে পড়ে সাওন আজমকে ছেড়ে দিয়ে তড়িঘড়ি করে এলাকা ত্যাগ করেন ডিবি পুলিশের এই কর্মকর্তা।

সংবাদ সম্মেলন অভিযোগ করা হয়, জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক আতিকুর রেজা সরকার পরিকল্পিতভাবে মাদকদ্রব্য দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন অসংখ্য মানুষকে। দেবীপুর গ্রামের মৃত দেরাজ উদ্দিনের ছেলে আমজাদ আলী, একই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে রহিদুল ইসলামকেও মাদকের মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়েছেন এই কর্মকর্তা। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পুলিশের এই কর্মকর্তা একের পর এক সাধারণ মানুষদের মাদকদ্রব্য দিয়ে ফাঁসিয়ে চলেছেন। এই অবস্থায় আমি এবং আমার পরিবারের লোকজন চরম আতঙ্কে বসবাস করছি।

আমাদের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পুলিশের এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া এবং সাধারণ মানুষকে নিরাপদে জীবন-যাপন করার ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীর ছেলে ও পরিবারের লোকজন ছাড়াও মামলার তিনজন সাক্ষী, স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামাল উদ্দিনসহ শতাধিক গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।

 এ অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক আতিকুর রেজা সরকার দাবি করেন, ঘূষ চাওয়া প্রশ্নই আসে না। তাছাড়া মাদকব্যবসায়ীরা ধরা পড়া পরে এমন কথা বলেই থাকে। তাঁর বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন।

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) ইফতে খায়ের আলম জানান, এ ধরনের কোনো ঘটনার কথা তিনি জানতেন না। এখন জানলেন। এ ব্যাপারে তদন্ত্য করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আজকের তানোর

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.