রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:১৩ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : আমন শব্দটির উৎপত্তি আরবি শব্দ ‘আমান’ থেকে যার অর্থ আমানত। অর্থাৎ আমন কৃষকের কাছে একটি নিশ্চিত ফসল (আমান) বা আমানত হিসেবে পরিচিত ছিল। আবহমান কাল থেকে এ ধানেই কৃষকের গোলা ভরে, যা দিয়ে কৃষক তার পরিবারের ভরণ-পোষণ, পিঠাপুলি, আতিথেয়তাসহ সংসারের অন্যান্য খরচ মিটিয়ে থাকে।
নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও প্রতিবছর আমনের উৎপাদন বাড়ছে এবং গত বছর আমনের উৎপাদন ১ কোটি ৫৫ লাখ টনে পৌঁছায়। এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে নতুন নতুন উদ্ভাবিত জাত, আধুনিক ব্যবস্থাপনা ও সরকারের সঠিক নীতি কৌশল। এ বছর বোরো উৎপাদনের পর আউশ এবং আমনের উপর সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। করোনার কারণে যেন খাদ্য সংকট না হয়, দেশে যেন দুর্ভিক্ষের মতো কোনো অবস্থা সৃষ্টি না হয়, মানুষ যেন খাদ্য কষ্টে না ভোগে, সেজন্যই এসব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তবে রাজশাহীতে আমনের ভরা মৌসুমে সারের সংকটে পড়েছে কৃষক। বিশেষ করে এমওপি এবং টিএসপি সারের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। শুধু রাজশাহীতেই জুলাই মাসে প্রায় ১৩৬ মে.টন এমওপি সারের ঘাটতি ছিল। চলতি মাসে এর সাথে যোগ হয়েছে ৮০০ মে.টন।
জানা গেছে, রাজশাহী রাজশাহী জেলাসহ নওগাঁ, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে সার সরবরাহ করা হয়। গত মাসে (জুলাই) নওগাঁ জেলায় এমওপি’র বরাদ্দ ছিলো ১ হাজার ৭৮৩ মে.টন। সেখানে নরবরাহ ছিলো প্রায় ৯৪০ মে.টন। ঘাটতি রয়েছে প্রায় ৮৯২ মে.টন। এছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুরে এমওপি’র বরাদ্দ ছিলো এক হাজার ৩৬ মে.টন। এখানেও ঘাটতি ছিলো প্রায় ২৮৭ মে.টন। মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজশাহী বিএডিসি বাফার গোডাউনে মাত্র ৫০ মে.টন এমওপি মজুত ছিলো।
রাজশাহীতে আমনের ভরা মৌসুমে দেখা দিয়েছে রাসায়নিক সারের সংকট। এতে ব্যাহত হচ্ছে ধানের আবাদ। উপায় না পেয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপিসহ অন্যান্য সার। যে কারণে বাড়ছে ধানের উৎপাদন খরচ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে, এ বছর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৮০ হাজার ৫০ হেক্টর (৫লাখ সাড়ে ৯৫ হাজার বিঘা) জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৪২ হাজার ৯০৪ হেক্টর জমিতে ধানের চারা রোপণ শেষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে এখনো ৩৭ হাজার ১৪৬ হেক্টর (২লাখ সাড়ে ৭৬ হাজার ৩৬৬ বিঘা) জমিতে আমন রোপন করতে হবে।
রাজশাহী জেলার বোয়ালিয়া, ৭২টি ইউনিয়ন ও ১৪টি পৌরসভায় চলতি মাসে সারের বরাদ্দ আছে টিএসপি ৬৬৩ মে.টন (১৩ হাজার ২৬০ বস্তা), এমপি ৮০০ মে.টন (১৬ হাজার বস্তা) ও ডিএপি এক হাজার ৫৩১ মে.টন (৩০ হাজার ৬২০ বস্তা)।
শুধুমাত্র নওহাটা পৌরসভায় এবারে আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১ হাজার ১৬০ বিঘা। উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তার হিসেব অনুযায়ী প্রতি বিঘা জমিতে প্রথমেই দরকার হয় ডিএপি ১৫ কেজি, এমওপি ১০ কেজি এবং ইউরিয়া ১০ কেজি। সেখানে ১১২ মে.টন এমওপি অর্থাৎ ২ হাজার ২৩২ বস্তা। ডিএপি ১৬৭ মে.টন অর্থাৎ ৩ হাজার ৩৪৮ বস্তা প্রয়োজন।
নওহাটা পৌরসভায় বিসিআইসি ডিলারসহ বিএডিসি ডিলার সাতজন। এদের বরাদ্দকৃত সার হচ্ছে-টিএসপি ২৩১ বস্তা, এমওপি ২০৩ বস্তা, ডিএপি ৩৫০ বস্তা। মোট চাহিদার ২৫ শতাংশ সারও বরাদ্দ নাই এই পৌরসভায়। আবার বরাদ্দকৃত সারও সরবরাহ পাচ্ছে না ডিলাররা। এর চেয়ে বেশী সারের ঘাটতি ইউনিয়নগুলোতে।
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেব মতে জেলায় ৮০ হাজার ৫০ হেক্টর (৫লাখ সাড়ে ৯৫ হাজার) আমন আবাদে প্রথমেই সারের প্রয়োজন ডিএপি ৮হাজার ৯৩৩ মে.টন অর্থাৎ ১ লাখ সাড়ে ৭৮ হাজার বস্তা, এমওপি প্রায় ৬ হাজার মে.টন অর্থাৎ প্রায় এক লাখ ২০ হাজার বস্তা প্রয়োজন।
অথচ এ মাসের বরাদ্দ এমওপি ১৬ হাজার বস্তা, ডিএপি ৩০ হাজার ৬২০ বস্তা। চাহিদার তুলানায় বরাদ্দ কতটা অপ্রতুল যা সহজেই বুঝা যায়। এটা শুধু আমন ধানের ক্ষেত্রে। এছাড়াও রয়েছে পুকুরে সার প্রয়োগ। বর্তমানে মাছের প্লাঙ্কটন (অণুজীব) তৈরীতে চাষিরা ব্যাপক হারে বিভিন্ন সার প্রয়োগ করছেন।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জমি প্রস্তুত ও ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। কেউ আবার জমিতে ছিটাচ্ছেন রাসায়নিক সার। আমনের ভালো ফলন পেতে দিনরাত পরিশ্রম করছেন তারা।
তবে কৃষকদের অভিযোগ, ভরা মৌসুমে জেলায় দেখা দিয়েছে রাসায়নিক সারের সংকট। ডিলারদের কাছে চাহিদা অনুযায়ী সার না পেয়ে হাট-বাজারের দোকান থেকে চড়া দামে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। সরকারি হিসেবেই ইউরিয়া সারের দাম বেড়েছে কেজিতে ৬ টাকা। এতে আমনের আবাদ ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
নওহাটা পৌরসভার তেঘর গ্রামের কৃষক আফাজ উদ্দিন সরকার বলেন, ‘আমি ৫ বিঘা জমিতে আমন ধান করেছি। এখন ধানে সার দেওয়া দরকার। কিন্তু দোকানে সার পাওয়া যাচ্চে না। যাও পাওয়া যাচ্চে তার দাম বেশী। এতে কি ধানের চাষ করা যায়।’
একই এলাকার কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিভিন্ন দোকানে ঘুরে সার পাওয়া যাচ্ছে না। আবার যদি প্রতি কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেশি দিয়ে নিতে হচ্ছে। ধান আবাদের এই সময় যদি সার না পায় তাহলে তো ধানের আবাদ ভালো হবে না। বেশি দামে সার কিনলে তো খরচও বেড়ে যাবে।’
এদিকে মঙ্গলবার বিকালে বিএডিসি বাফার গোডাউনে গিয়ে দেখা যায় ডিএপিসহ অন্যান্য সার মজুত থাকলেও এমওপি নেই। নামপ্রকাশে এক কর্মকর্তা বলেন, জুলাই মাসের ২০ তারিখের পর থেকে এমওপি সারের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ মাসে বর্তমান ৮০০ মে.টন বরাদ্দ থাকলেও গোডাউনে মাত্র ৪০-৪২ মে.টন এমওপি সার রয়েছে।
তিনি বলেন বাংলাদেশ মূলত রাশিয়া ও বেলারুশ থেকে এমওপি আমদানি করে থাকে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে আমাদের দেশে এই সারের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বর্তমানে কানাডা থেকে এই সার আমদানি করা হচ্ছে। বিধায় ক্ষনিকের জন্য এই ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আগামীতে কোন সারের সমস্যা থাকবে না।
তিনি আরো বলেন, সরকারের সাথে চুক্তিকৃত প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের (বিএডিসি) সরবরাহ দিতে না পারায় ঘাটতি বেড়ে চলেছে। রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাপক জমিতে আলুচাষ হয়ে থাকে। আগামী মৌসুমে সারের বরাদ্দ ও প্রাপ্তি নিশ্চিত না থাকলে চাষিরা বিপাকে পড়বে। অপরদিকে আলু চাষিরা সারের এই অবস্থায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। চাষিরা আমনের চেয়ে অনেক বেশী সার ব্যবহার করেন আলু ক্ষেতে। এক্ষেত্রে চাষিরা এখন থেকেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বরাদ্দ ও উপ বরাদ্দ বাড়িয়ে এবং সরবরাহ নিশ্চিত করতে আবেদন করেন।
এমনিতেই এবার অনাবৃষ্টির কারণে বরেন্দ্র অঞ্চলে এখনো কৃষকেরা আমন রোপন শেষ করতে পারেনি, পতিত পড়ে আছে হাজার হাজার বিঘা জমি। সেচ দিয়ে এখন পর্যন্ত যেটুকু আমন চাষ হয়েছে সেটুকু আমন জমিতে এমওপি(পটাশ) সার সংকটে পড়েছে কৃষক।
কৃষকেরা জানান, সার ডিলার গুলো ওএমপি সার নিয়ে কৃষকের সাথে লুকোচুরি খেলছে। নিজ ঘরে সার থাকলেও এক ডিলারে কাছে গেলে এমওপি সার না দিয়ে অন্য ডিলারে কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। কোন কোন ডিলার পটাশ সঙ্কট দেখিয়ে ৭৫০ টাকার বস্তার এমওপি(পটাশ) সার এক হাজার ২৫০ টাকা নিয়ে বিক্রি করছে বলে একাধিক কৃষকের অভিযোগ।
বেশি দামে সার বিক্রি বিষয়ে কৃষকেরা স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের মৌখিকও মোবাইলে অভিযোগ দিলেও ডিলারদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। তানোর কৃষি অফিসের তথ্য মতে, উপজেলায় ৯ টি বিসিআইসি ও ২৩টি বিএডিসি সার ডিলার রয়েছে। চলতি জুলাই মাসে মোট ৩২টি ডিলাদের মধ্যে ৮০ বস্তা করে এমওপি(পটাশ) বরাদ্দ দেন বিএডিসি।
কৃষকেরা জানান, বিসিআইসি ডিলার এর কাছে গেলে এক বস্তার ডিএপি কেনলে ১০ কেজি পটাশ দিচ্ছে। বিঘা প্রতি পটাশ সার ৩ কেজি করে পড়ছে। যা দিয়ে আবাদ করা মোটেও সম্ভব নয়। কাজেই বাধ্য হয়ে বাজারে ছোট বিএডিসি ডিলাদের কাছে গিয়ে বস্তা প্রতি ৫০০ টাকা বেশি দিয়ে সার কিনতে হচ্ছে। কৃষকদের প্রশ্ন সব সার সরকার ভুর্তিকি দিয়ে ডিলাদের দিচ্ছেন তাহলে কেন অতিরিক্ত টাকা দিয়ে নিতে হচ্ছে। সরকারে কৃষি বিভাগ কিছুই দেখছেনা।
এদিকে বিসিআইসি ডিলারদের দাবি, তারা উপজেলায় ৯ জন ডিলার জুলাই মাসের ৮০ বস্তা করে বরাদ্দ পাওয়া এমওপি পটাশ সার কৃষকদের মধ্যে সরকারী দরে সমান করে বন্টন করে দিচ্ছেন। অথচ একই বরাদ্দ পেয়েছেন বিএডিসির ২৩ জন ডিলার। তারা সরকারে পাওয়া বরাদ্দ পেয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন। তাদের খাতায় যে সব কৃষকের নাম ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলো সবই ভুয়া। তদন্ত করে দেখার দাবি তাদের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিসিআইসি এক ডিলার জানান, মুন্ডুমালা বাজারে রকমারী টেডার্স ও জামান টেডার্স এর মালিক একই ব্যাক্তি। সে দুই নামে চলতি মাসে ১৬০ বস্তা এমওপি সার উত্তোলন করেছেন। অথচ এক জনের কাছে সরকারী দরে বিক্রি করেনি। সে এক প্রকার সংকট দেখিয়ে ৭৫০ টাকার সার এক হাজার ২৫০ টাকা করে বিক্রি করছে। তার দোকানের মেমু ব্যবহার না করে সাদা কাগজে দর লিখে দিচ্ছে কৃষকদের।
উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর এলাকার পাঁচন্দর গ্রামের কৃষক মতিউর রহমান, এবার তিন বিঘা আমন চাষাবাদ করেছেন। মতিউর রহমান জানান, এক সপ্তহ আগে তিনি মুন্ডুমালা বাজারে বিসিআইসি ডিলার মেসার্স নাইচ টেডার্স সার কেনতে গিয়ে ছিলেন। এক বস্তা ডিএপির সাথে ১০ কেজি পটাশ দিয়ে অন্য ডিলারের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
তাই বাধ্য হয়ে তিনি মুন্ডুমালা বাজারের বিএডিসি ডিলার জামান টেডার্সে যান। সেখানে ডিলার বলেন সরকারে বরাদ্দ সার শেষ। অন্য জায়গা হতে কিছু পটাশ ব্যবস্থা করা আছে দাম পড়বে এক হাজার ২৫০ টাকা । অবশেষে সে দাম দিয়েই এক বস্তা পটাশ কেনে জমিতে দিয়েছেন।
মুন্ডুমালা পৌর এলাকার শুধু মতিউর রহমান একাই নয়, চলতি আমন মৌসুমে শুরু থেকেই উপজেলার কৃষকেরা এমওপি সার সংকটে পড়েছে। তাই বাধ্য হয়ে বেশি দামে পটাশ সার কেনে জমিতে দিচ্ছেন। এক শ্রেনীর অসাধু ডিলার বেশি মোনাফার জন্য কৃষকদের জিম্মি করে সার বিক্রি করছেন। তবে কোন প্রকার দোকানের মেমু না দিয়ে সাদা কাগজে লিখে দিচ্ছেন।
উপজেলার বিসিআইসি সার ডিলার সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী বাবু জানান, চাহিদার চেয়ে জুলাই মাসে এমওপি সারের বরাদ্দ কম ছিল। ৩২ ডিলারকে ৮০ বস্তা করে দেয়া কথা থাকলেও কয়েকজন ডিলার গুডাউনে সার না থাকায় তুলতে পারেনি। এ বরাদ্দ বিএডিসির। তবে বিসিআইসি বরাদ্দ দিলে সংকট কেটে যাবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, বিএডিসি যে ডিলাররা পটাশের বরাদ্দ পেয়েছেন। তারা ইচ্ছা মত দামে বিক্রি করছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তাদের উপরে সরকারের কোন তদারকি ন্ইা। এ বিষয়ে জানতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সাইফুল্লার সাথে শনিবার মোবাইলে একাধিক বার কল দিলেও রিসিব করেনি।
তবে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা (মুন্ডুমালা পৌরসভা দায়িত্ব প্রাপ্ত) রাকিবুল হাসান বলেন, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পটাশ সংকট দেখিয়ে বেশি দাম নিচ্ছে বলে কৃষকদের অভিযোগ রয়েছে। আমরা এসব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ অভিযান চালানোর ব্যবস্থা নিয়েছি।
তবে সারের কোনো সংকট নেই বলে দাবি করেছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, ‘জেলায় সারের কোনো সংকট নেই। কোনো অসাধু ব্যবসায়ী যেন সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারেন সে জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত মনিটরিং করছেন।’