মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:৩৬ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক : রেলের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করে আলোচিত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি এবার রাজশাহীতে কর্মসূচি পালন করেছেন। শুক্রবার বিকালে তিনি রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে প্রতিবাদী ডিসপ্লে প্রদর্শন করেন।
রেলের হয়রানির বিষয়ে যাত্রীদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টিতে লিফলেট এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অভিযোগ ফরমও বিতরণ করেন।
এদিন রনি তার একটি দল নিয়ে রাজশাহী এসেছেন। বিকাল ৩টা থেকে তিনি কর্মসূচি করে ৪টায় শেষ করেন। শুরুতে রনির একহাতে ছিল একটা বোর্ড, অন্যহাতে শেকল। শেকলের আরেকপ্রান্ত আটকানো জয়া রানী মণ্ডলের গলা আর হাত। জয়ার মুখে বাঁধা কালো কাপড়। বুকে ‘বাংলাদেশ’ লেখা একটা বোর্ড। আর মহিউদ্দিন রনির হাতের বোর্ডে লেখা ‘দুর্নীতিবাজদের সিন্ডিকেট’ দৃশ্যটি এমন যেন দুর্নীতিবাজদের সিন্ডিকেট শেকলে বেঁধে টেনে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশকে।
জয়াকে শেখলে বেঁধে হাঁটতে হাঁটতে উচ্চস্বরে রনি বলে ওঠেন- ‘গোল হয়ে আসুন সকলে। ঘন হয়ে আসুন সকলে। এখানে কী এমন কেউ আছেন, যে বাংলাদেশকে দুর্নীতিবাজ, কালোবাজারি সিন্ডিকেটের হাত থেকে বাঁচাবেন? এমন কেউ আছেন, দুর্নীতিবাজদের নির্মূল করতে? আসুন। আছে কার হিম্মত সামনে বাড়ুন। আমার বাংলা মাকে বাঁচাতে আসুন। কে এই বাংলা মায়ের শেকল খুলে দিবেন?’ সেখানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার।
রনি প্রশ্ন করেন, ‘স্যার, আপনি কী বাংলাদেশকে দুর্নীতিবাজদের সিন্ডিকেট থেকে মুক্ত করতে চান?’ জিএম বলেন ‘হ্যাঁ’।
রনি বলেন, ‘তাহলে আপনাকে স্বাগত।’ তারপর জিএম শেকল খুলে দেন।
অসীম কুমার তালুকদার বলেন, তিনি সব সময়ই চেষ্টা করেন যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার। তিনি কঠোর পরিশ্রম করছেন যেন যাত্রীরা হয়রানি না হন। এ সময় রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের চিত্র দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন মহিউদ্দিন রনি।
তিনি বলেন, একটা আন্দোলনের চারটা অংশ থাকে। রেলের অব্যবস্থাপনা নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে সরকার তাকে যাত্রীদের প্রতিনিধি বানিয়েছে। এখন তিনি সবাইকে নিজের অধিকার বুঝে নিতে সচেতন করার কাজ শুরু করেছেন। এই আন্দোলনের শেষধাপেই আসবে আসল ফিডব্যাক।
রনি যখন যাত্রীদের সচেতনতামূলক প্রচারপত্র এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযোগ ফরম বিতরণ করছিলেন তখন তার সঙ্গে আসা আরেকটি দল প্ল্যাটফর্মে শুরু করেন উদ্দীপনামূলক গান। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন মহিউদ্দিন রনিও। শুরু হয় ‘মুক্তিরও মন্দিরও সোপানও তলে’ গানে। শেষ গান ছিল- ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’। আজকের তানোর