রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:০২ am
ডেস্ক িরর্পোট : নওগাঁর ধামইরহাটে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থআত্মসাৎ, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি ও অভিভাবকরা। উপজেলার ধামইরহাট ইউনিয়নের ৬৫নং রামরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরশেদা খাতুনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন বিদ্যালয়ের সভাপতি ও অভিভাবকরা। গত ২৮ জুলাই তারা এই অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগের অনুলিপি উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার ৬৫নং রামরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরশেদা খাতুন সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ, বিদ্যালয়ের জমিদাতা বর্তমান সভাপতির বাবাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পরামর্শ ও মতামত না নিয়ে বিদ্যালয়ের টাকা দিয়ে যেনতেনভাবে কাজ করে সম্পূর্ণ টাকা খরচের হিসাব দিয়ে অবশিষ্ট টাকা আত্মসাৎ করেন।
এছাড়া বিদ্যালয়ের পানির ট্যাঙ্কি এবং পানির পাম্প বিক্রি করে সেই টাকা আত্মসাৎ করেন। প্রধান শিক্ষক আরশেদা খাতুন নিয়মিত স্কুলে না যাওয়ায় এবং সরকারি বিভিন্ন কাজ কর্মের অযুহাত দেখিয়ে অফিস ফাঁকি দেন। বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আরশেদা খাতুন অনিয়ন ও দুর্নীতির সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৯ অক্টোরব। উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে জানানো হয়েছে যে, সব বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ ছয় মাস রয়েছে সেসব বিদ্যালয়ে নতুন কমিটির গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করার কথা বলা হয়েছে।
সেই মোতাবেক গত ২২ জুন থেকে নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। বর্তমান কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়নি। নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করায় পর বর্তমান সভাপতি বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিভাবকদের ভুল বুঝিবে বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ হবে মর্মে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে সেটি আমার বিরুদ্ধে অভিভাবকদের অভিযোগ হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বিষয়টি তদন্ত হলে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী বলেন, বিদ্যালয়ে ফাঁকি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ওই প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধ যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান আজাহার আলী মন্ডল বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সূত্র : যুগান্তর