মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:৩৯ pm

সংবাদ শিরোনাম ::
চাঁপাইয়ের কৃষি শ্রমিক তানোরে ধান কাটতে এসে বাড়ি ফিরলেন লাশ হয়ে চট্টগ্রামে আদালত এলাকায় চিন্ময় সমর্থকদের হামলায় আইনজীবী নিহত পেঁয়াজ-আলু রপ্তানি বন্ধ করল ভারত সাত মণ ধানে এক বস্তা ব্র্যাকের আলুবীজ, তাও অপেক্ষায় জুটছে কপালে তানোরে ব্র্যাকের আলুবীজ কালোবাজারে বিক্রি? জব্দে ইঁদুর বিড়াল খেলা আরএমপি পুলিশের অভিযানে আ.লীগের নেতাসহ ১২ জন গ্রেপ্তার দুর্গাপুরে থানা পুলিশের অভিযানে ১০ জন গ্রেফতার দীর্ঘ প্রতিক্ষায় বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন জামিনে বেরিয়ে আবারও গ্রেপ্তার রাজশাহী-৬ আসনে সাবেক এমপি রাহেনুল তানোর-গোদাগাড়ীতে শরিফ উদ্দিনের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ বিএনপি বাঘায় দিনমুজুরকে গলা কেটে হত্যা, ভায়রা জেলহাজতে তানোরে সিএনজি বন্ধ করে চালকদের মানববন্ধন, দুর্ভোগে যাত্রীরা পবায় গাঁজাসহ এক দম্পত্তি গ্রেপ্তার রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ কর্মীসহ ১৪ জন গ্রেপ্তার নাচোলের কৃতিসন্তান সানাউল্লাহ নতুন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে শপথ গ্রহণে এলাকাবাসীর অভিনন্দন রাজধানীতে প্রেসক্লাবে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক, যান চলাচল বন্ধ একতরফা নির্বাচন গায়ের জোরে করতে চাই না কেউ : নতুন সিইসি গাজীপুরে দুর্ঘটনায় নিহর শিক্ষার্থী সাকিবের লাশ রাজশাহীতে দাফন কম্পিউটার কী বোর্ডের মাধ্যমে রাজশাহীতে পাহাড়িয়াদের মাতৃভাষার লিখন পঠন কার্যক্রম উদ্বোধন গোদাগাড়ীতে প্লাজমা ফাউন্ডেশনের ৯ম তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন
ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে

ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে

ডেস্ক রির্পোট : ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৩ জুলাই) জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন এবং বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক পদকপ্রাপ্তদের হাতে পদক তুলে দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমেরিকা রাশিয়ার ওপর ডলার আদান-প্রদানে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এতে শুধু বাংলাদেশ নয়, ইউরোপ ও আমেরিকার অনেক উন্নত দেশও ভুক্তভোগী।

তিনি বলেন, এই একটা সিদ্ধান্তের কারণে আমাদের সার কেনা, খাদ্য কেনা অথবা জ্বালানি তেল কেনা, সব ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শুধু আমরা না, সারা বিশ্বই একটা দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে পড়ে গেছে। এটা হলো বাস্তবতা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার শিক্ষা সবাই ভোগ করছে। এতে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমাদের দেশে যেমন মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, ঠিক একইভাবে উন্নত দেশগুলোতে অনেক অনেক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। সঙ্গে জ্বালানি তেলের দামও।

তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, ইউরোপ-আমেরিকার উন্নত দেশগুলোও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে। আমি উন্নত দেশগুলোর কথা বেশি বলব। কারণ আমরা তো অনেক দূরে রয়ে গেছি কিন্তু তাদের অবস্থাই হচ্ছে করুণ। সেখানে আমরা কোথায়। তারপরও বলব প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সবাই স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করছে বলেই আমরা এখনও ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। তবুও ভবিষ্যৎ চিন্তা করে আমাদের সাশ্রয়ী ও মিতব্যয়ী হতে হবে। অহেতুক অপচয় যাতে না হয়, সেই দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি এ ক্ষেত্রে পত্রপত্রিকা নানা কথা লিখবে। টকশোতে অনেক কথা বলবে। বিরোধী দলও কথা বলবে। এটা বলাই তাদের কর্তব্য। তারা বলে যাক। আমাদের আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে যে আমরা সঠিক পথে আছি কি না, সঠিকভাবে দায়িত্বপালন করছি কি না, সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি কি না, দেশের গ্রামের সাধারণ মানুষ সঠিক সেবা পাচ্ছে কি না? আমরা যদি সেভাবে চিন্তা করি, তাহলে কে কী বলছে, সেই দিকে খুব বেশি একটা নজর দিতে হবে না।

তিনি বলেন, কে কী বলল সেটা শুনে হয়ত দেখতে পারি কোথাও আমাদের কোনো ঘাটতি আছে কি না। ওইটুকু আমরা নেব। কিন্তু ওই কথায় যেন বিভ্রান্ত না হন, কেউ যেন হতাশ না হন। এটুকু বলব। কেউ হতাশাগ্রস্ত না হয়ে পড়েন সেই দিকে সচেতন হতে হবে। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। যখন যে অবস্থা হবে, সেই অবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে আমাদের চলতে হবে। তারপরও আমাদের নিজেদের যা কিছু আছে, তা নিয়ে চলব।

সরকারপ্রধান বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারির সময়েও দেশের অর্থনৈতিক গতি ধারা অব্যাহত রাখতে সরকার সক্ষম হয়েছে। এটা ঠিক আজ বিশ্বের কোনো দেশ এককভাবে চলতে পারে না। বর্তমান বিশ্ব হচ্ছে গ্লোবাল ভিলেজ। একে অপরের ওপর আমরা অনেক ক্ষেত্রে নির্ভরশীল।

দেশের মানবসম্পদ ও মাটি কাজে লাগাতে পারলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন বলে মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, জনগণের অর্জিত অর্থ দিয়ে সবার বেতন-ভাতা, আরাম, আয়েশ সবকিছু। তাই কাজ করতে হবে তাদের জন্য, তাদের স্বার্থে এবং কল্যাণে।

প্রশাসনের কর্মকর্তারা যাতে নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে সেই ব্যবস্থা সরকার করে দিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এজন্য বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, ফ্ল্যাট, জমি ও গাড়ি সুবিধাসহ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন তিনি। বলেন, আপনাদের সংসারের চিন্তা অনেকটা লাঘব করে দিয়ে জনগণের চিন্তা যাতে করতে পারেন, সেই সুযোগটা যাতে সৃষ্টি হয়, সেই ব্যবস্থাও আমি নিয়েছি। বিস্তারিত এই ব্যাপারে বলতে চাই না।

শেখ হাসিনা বলেন, যাদের দিয়ে জনগণের দায়িত্ব পালন করাব, তারা যেন মন-প্রাণ ঢেলে জনগণের সেবা করতে পারে। সেভাবে কাজ করেছি। প্রত্যেকটা কাজের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে কর্মসম্পাদন চুক্তি করা হয়েছে বলেও জানান সরকারপ্রধান।

তৃণমূলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতির মূল লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ। সূত্র : পদ্মাটাইমস

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.