সমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:২৫ am
ডেস্ক রির্পোট : প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় ৩য় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় নতুন করে ঘর পাচ্ছে আরো ১৩০টি ক-শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার।
মুজিববর্ষে কেউ ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নের পথে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। এরই অংশ হিসেবে সদর উপজেলায় তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর ৪১টি, শিবগঞ্জ উপজেলায় ৭৬টি ও গোমস্তাপুর উপজেলায় ১৩টি পরিবার রয়েছে।
পরিবারগুলোর অনুকূলে ২ শতাংশ করে সরকারি খাসজমি বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়েছে এবং কবুলিয়ত দলিল ও নামজারি প্রক্রিয়া সম্পাদন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
জেলা প্রশাসক আরো জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রথম পর্যায়ে এ জেলার পাঁচটি উপজেলায় ১ হাজার ৩১৯টি, ২য় পর্যায়ে এ জেলার পাঁচটি উপজেলায় ২ হাজার ৬১৯টি ও ৩য় পর্যায়ের প্রথম ধাপে এ জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৫২১টি পরিবারের অনুকূলে গৃহগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ জেলায় ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়ে মোট ৪ হাজার ৫৮৯টি গৃহ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার অর্থাৎ ‘ক’ শ্রেণির পরিবারের অনুকূলে বরাদ্দ দেয়া হয়।
তিনি আরো জানান, সদর উপজেলা আশ্রয়ন প্রকল্প-২ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির সভায় নতুন করে আরো ১৭৮টি ক-শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে থেকে ১৮টি গৃহ নির্মাণের চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে।
শিবগঞ্জ উপজেলায় টাস্কফোর্স কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অবশিষ্ট ৩৫টি পরিবার শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের অনুকূলে গৃহ নির্মাণের চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে এবং শতভাগ পরিবার গৃহ পাবেন মর্মে যৌথ সভায় সিদ্ধান্ত রয়েছে এবং বরাদ্দও পাওয়া গেছে।
আগামী বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শিবগঞ্জ উপজেলাকে হালনাগাদ নিরূপিত তালিকা অনুযায়ী ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করবেন বলে জেলা প্রশাসক জানান। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা অন্য কোনো কারণে এ শ্রেণিতে কোনো অন্তর্ভুক্তি হলে পরবর্তীতে তা দ্রুততম সময়ে তাকে বা তাদেরকে পুনর্বাসন করা হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, গোমস্তাপুর উপজেলায় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ হতে প্রাপ্ত ৪৩৯টি পরিবারের তালিকা হতে চূড়ান্তভাবে ১৮০টি পরিবারকে ভূমিহীন ও গৃহহীন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ১৮০টি পরিবারের মধ্যে ২০টি পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে নাচোল উপজেলায় টাস্কফোর্স কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক পৌর মেয়র এবং ইউপি চেয়াম্যানরা সর্বমোট ১৭৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার চিহ্নিত করেছেন এবং জরুরি ভিত্তিতে ৪০টি পরিবারকে পুনর্বাসনের চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে।
আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে পর্যায়ক্রমে অবশিষ্ট ১৩৬টি পরিবারকে পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ভোলাহাট উপজেলায় টাস্কফোর্স কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৪টি ইউনিয়নে ৪২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন অর্থাৎ ক-শ্রেণির পরিবার চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে থেকে জায়গা সংকুলান হওয়ায় ৫টি পরিবারকে পুনর্বাসন করার জন্য ৫টি গৃহের বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান বলেন, পর্যায়ক্রমে গোটা জেলাকে ক-শ্রেণির অর্থাৎ ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত জেলা ঘোষণা করা হবে। এজন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাকিউল ইসলাম, আরডিসি আনিছুর রহমান। সূত্র : যুগান্তর