শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:৪২ pm

সংবাদ শিরোনাম ::
মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য কোথাও বসাতে না পেরে বিক্রি করলেন ভাঙারির দোকানে রাজনৈতিক দলকে সরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা নেই : আনন্দবাজারকে জামায়াতের আমির আগামী তিন মৌসুমের জন্য আইপিএলে যে ১৩ ক্রিকেটারের নাম দিল বিসিবি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েও কাজ থামিয়ে রাখেননি অভিনেত্রী হিনা খান নগরীতে সন্ত্রাসি কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধে ১১ জন গ্রেপ্তার তানোরে সার বিতরণে অনিয়ম ও পাঁচার রোধে হট্টগোল মারপিট দুর্গাপুরে হোজা নদী পুন:খনন ও দখলমুক্ত দাবিতে ইউএনও’কে স্মারকলিপি রাজশাহীতে সমন্বয়ক পেটানোর ব্যাখ্যা দিল মহানগর ছাত্রদল আঘাতের দাগে সম্পর্কের রূপান্তর ! রাজু আহমেদ তানোরে শিক্ষক সমিতিকে নিজ পকেটে রাখতে মরিয়া বিএনপি নেতা মিজান অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে চান জেড আই খান পান্না নগরীতে বিএনপি নেতাকে ছুরিকাঘাত আগামী ২৯ নভেম্বর খুলছে রাজশাহী সুগার মিল জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণে স্মরণসভা রাজশাহীতে যুবলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ১১ বাগমারা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবু তালেবের ইন্তেকাল তানোরে মসজিদের এসি অফিসার্স ক্লাবে, ইমামের অর্থ আত্নসাৎ প্রমান পেয়েছে তদন্ত কমিটি সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তানোরে বিএনপির কর্মীসভা নগরীতে ছাত্রলীগ নেতাসহ বিভিন্ন অপরাধে ৮ জন গ্রেপ্তার লীজকৃত পুকুর দখল, মালিককে বুঝিয়ে দিতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ
অসচ্ছল তালিকায় মেম্বারের সন্তান-পুত্রবধূ, স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের নাম!

অসচ্ছল তালিকায় মেম্বারের সন্তান-পুত্রবধূ, স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের নাম!

ডেস্ক রির্পোট : কুড়িগ্রামে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির তালিকায় সচ্ছল ও স্বজনদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। সচ্ছলদের এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে ব্যবস্থা করা হয় আলাদা সিমের। অতিদরিদ্ররা টাকা দিতে না পারলে সচ্ছলদের কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে এ তালিকায় নামভুক্ত করা হয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নুনখাওয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলামসহ তার পরিষদের মেম্বারদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পে মেম্বারদের নিয়ে সাড়ে ৩ শতাধিক হতদরিদ্রের তালিকা করেছেন চেয়ারম্যান নিজে। এর মধ্যে অনিয়ম করা হয়েছে অর্ধশতাধিক নামে। তালিকায় পাওয়া গেছে খোদ ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলামের দুই ভাই হাবিবুল ইসলাম ও পল্লী চিকিৎসক মোহাম্মদ আলীর নাম।

৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল কাদেরের ছেলে সাহাজুল আলম ও এনামুল হক, পুত্রবধূ তাহমিনা বেগম ও আদুরি বেগমের নাম। ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার মোকারুল ইসলাম ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিদর্শক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা, ছোটভাই দিনাজপুরের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাকারিয়া সরকার এবং ভাতিজা খোরশেদের নাম রেখেছেন এ তালিকায়। যাদের অনেকের মোবাইল সিম ইউনিয়ন সচিব মাহাফুজার রহমান নিজের কাছে রেখে সেই টাকা উত্তোলন করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এমন অবৈধ কর্মকাণ্ডে হতবাক ইউনিয়নের দরিদ্র অধিবাসীরা।

জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা তালিকায় দেবর ও নিজের নাম থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, মজুরির টাকা কে পায় সে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

ইউপি মেম্বার আব্দুল কাদের বলেন, মেম্বারেরও তো খরচ আছে। বিভিন্ন স্থানে খরচ দিতে হয়। খরচের জন্য দুই-একটা নাম দেওয়া হয়।

বাহুবল গ্রামের বাসিন্দা সুবিধাভোগী সরিফা বেগমের স্বামী মোজাম্মেল হক বলেন, আমার স্ত্রীর নাম তালিকায় দেওয়া আছে। স্ত্রী অসুস্থ থাকায় আমি নিজে কাজ করেছি। প্রথম দফা ৪০ দিন এবং ২য় দফায় ২০ দিনের কাজ করে ৪শ টাকা হারে ৬০ দিনে ২৪ হাজার টাকা পেয়েছি।

ইউনিয়ন আনসার ভিডিপির কমান্ডার মোহাম্মদ আলী ভোলা বলেন, তালিকায় চেয়ারম্যানের ভাই-ভাতিজা, ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার, ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বারের ছেলে ও পুত্রবধূর নামসহ ইউনিয়ন সচিবের ঘনিষ্ঠজনদের নাম রয়েছে। অথচ এলাকার অনেক হতদরিদ্রদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

রুহুল আমিন নামে একজন ব্যক্তি জানান, ৪০ দিনের কর্মসূচি এবং ভিজিএফের তালিকা জনপ্রতিনিধিরা টাকার বিনিময়ে করে থাকেন। যারা টাকা দিতে পারে না তাদের বাদ দেওয়া হয়। এখানে ধনী-গরিব দেখা হয় না।

এ ব্যাপারে নুনখাওয়া ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিধি মোতাবেক যারা ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে তাদের নাম নেওয়া যায় না। তাই কিছু শ্রমিকের তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এমনটি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

বিষয়টি নিয়ে নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর আহমেদ মাছুম বলেন, তালিকা প্রিন্ট করে ইউনিয়নের ডোর টু ডোর তালিকা যাচাই করা হচ্ছে। তালিকায় কতগুলো এমন অসঙ্গতি রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সত্যতা পেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

কুড়িগ্রাম জেলায় ২০২১-২২ অর্থবছরে ৯টি উপজেলায় ২৭ হাজার ৯২৮ জন সুবিধাভোগীর জন্য ৪৪ কোটি ৬৮ লাখ ৪৮ হাজার টাকাসহ নন-ওয়েজ কষ্ট খাতে ২ কোটি ৫ লাখ ১৫ হাজার ১০১ টাকা এবং শ্রমিক সর্দার ভাতা বাবদ ১৩ লাখ ১৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

উপজেলা ভিত্তিক সুবিধাভোগীর মধ্যে ভূরুঙ্গামারীতে ৩ হাজার ৪৩২ জন, নাগেশ্বরীতে ৪ হাজার ৯৪৯ জন, ফুলবাড়ীতে ২ হাজার ৩৬০ জন, কুড়িগ্রাম সদরে ৩ হাজার ৫০১ জন, রাজারহাটে ২ হাজার ৬৩১ জন, উলিপুরে ৫ হাজার ৭১ জন, রৌমারীতে ২ হাজার ৯৩১ জন, চিলমারীতে ১ হাজার ৮৫২ জন এবং চর রাজিপুরে ১ হাজার ২০১ জন। সূত্র : যুগান্তর

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.