রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:৫০ pm
শহিদুল ইসলাম (নিজস্ব প্রতিবেদক) নাচোল : আষাঢ়ের শেষে শ্রাবণের ঘনঘটাতেও বৃষ্টির দেখা নেই। প্রচন্ড রোদ-তাপদাহে অতিষ্ট মানুষ ও প্রাণীকূল। এমন অবস্থায় বরেন্দ্র অঞ্চলের নাচোল উপজেলায় ফসলী জমিসহ মাঠ-ঘাট পানি শৃন্যতায় চৌচির হয়ে পড়েছে।
ষড় ঋতুর এদেশে ঋতু অনুযায়ী আষাঢ় ও শ্রাবণ এই দুইমাস বর্ষাকাল। সাধারণত এই দুই মাস আমাদের দেশে অন্য সব সময়ের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়। এই বৃষ্টির পানিকে কাজে লাগিয়ে কৃষকরা এই মৌসুমে রোপা-আমন চাষে ব্যস্ত সময় পার করে থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় টানা প্রায় ২০ দিনের অধিক বৃষ্টি না হওয়ায় পুকুর বা খালের পানি দিয়ে কোনরকম চাষাবাদ করছে কৃষকরা। আর যেসব কৃষক বিএমডিএর আওতাধীন গভীর নলকূপ থেকে পানি নিয়ে আবাদ করছেন। তাদের একদিন পরপরই জমিতে পানির প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। ফলে সময়মত পানি সব কৃষক পাচ্ছে না।
সময়মতো বৃষ্টি না হলে পানি সংকটের কারণে আমন ক্ষেত হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ফলে আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নাচোল উপজেলার নাচোল সদর ইউনিয়নের ভেরেন্ডি গ্রামের কৃষক আল: আব্দুর রাজ্জাক জানান, পুরো আষাঢ় মাস শেষ হয়ে গেল আকাশের কোন বৃষ্টি নেই পানি ছেঁচ দিয়ে যেটুকু আবাদ করে ছিলাম তাও শুকিয়ে গেছে , টানা প্রায় ২০ দিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় আমার ধানের জমিতে পানি শুকিয়ে জমি ফেঁটে চৌচির হয়ে গেছে। ডিপ-টিউবওয়েল থেকে পুরো জমিতে পানি দিয়ে তা কভার করা সম্ভব হচ্ছে না বাকি জমি সব পড়েই আছে কি হবে জানিনা। একদিন পর পর জমিতে পানির প্রয়োজন হচ্ছে। ফলে বৃষ্টির পানি ছাড়া ফসল বাঁচানো অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে জানান এই কৃষক।
চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার মাক্তাপুর গ্রামের কৃষক আতাউর রহমান জানান, বৃষ্টির কারণে আমরা আবাদ শুরু করতে পারিনি। আমাদের সব জমি ডিপ-টিউবওয়েলের আওতায় না হওয়ার কারনে বেশকিছু জমি আবাদ শুরু করতে পারিনি। আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি কখন বৃষ্টি হবে তখনই আবাদ শুরু করবো।
নাচোল উপজেলা কৃষি অফিসার বুলবুল আহমেদ জানান, এবার নাচোলে প্রায় ২৩হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ এর লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে এমন অনাবৃষ্টি চলতে থাকলে ছেঁচের বাইরে থাকা ২০০/৩০০ হেক্টর জমিতে আবাদ ব্যাহত হতে পারে।
নাচোলে টানা ২০ দিন বৃষ্টি নাই ফলে কৃষকরা সময়মত আবাদ শুরু করতে পারেনি। আমরা বিএমডিএর সাথে কথা বলেছি কৃষকদের ঠিক মত যাতে পানি সরবরাহ করে। অনাবৃষ্টির কারণে এখন পর্যন্ত ফসলের বড় ধরনের কোন ক্ষতি হয়নি । আগামী সপ্তাহে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আশাকরা যায় অতিদ্রুত পানির সমস্যা কেটে যাবে। আজকের তানোর