শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৩১ pm
শাকিল আহমেদ, নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌরসভা নির্বাচনে ‘নৌকা’ ডোবানো নবনির্বাচিত মেয়র সাইদুর রহমানকে আ’লীগে যোগদান ও তাকে সংর্বধনা দেবার আয়োজন করা হয়।
এছাড়া ওই একই অনুষ্ঠানে তানোর পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র ইমরুল হক কেউও সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। উপজেলা আ’লীগের আয়োজনে আজ (২০ ফেব্রুয়ারী) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুবইল ফুটবল মাঠে শফিকুল মাস্টারের সভাপতিত্বে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। কিন্ত ওই অনুষ্ঠানে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী এবং তানোর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সংগ্রামী সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নাকে জানানো হয়নি।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিতর্কিত সভাপতি গোলাম রাব্বানী। সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিতর্কিত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন। এসময় উপস্থিত ছিলেন তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল সরকার পাপুল ও নির্বাহী সদস্য মনিরুজ্জামান (সাবেক সেনাসদস্য)।
এছাড়াও সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, তানোর উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি জাইদুর রহমান, পাঁচন্দর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দ্বিজেন কর্মকার, তানোর যুবলীগের সভাপতি রাজিব সরকার হিরো, সাধারণ সম্পাদক ওহাব সরদার, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মৃদুল কুমার ঘোষ, যুবলীগ নেতা আরিফুজ্জামান বাচ্চু, রিগ্যান ও মাহাবুব মাস্টারসহ আরও অনেকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগ থেকে পদত্যাগ করে ওয়ার্কার্স পার্টির মনোনয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন আ’লীগ সভাপতি গোলাম রাব্বানীর আপন ভাই শরিফুল ইসলাম। এতে আ’লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী যুবলীগের সংগ্রামী সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হন শরিফুল।
কিন্তু তাকে ওই সময় আ’লীগ থেকে বহিস্কার করা হলেও সম্প্রতি আজ শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারী) ফুলের তোড়া দিয়ে নতুন করে আ’লীগে যোগদান করানো হয়। এনিয়ে জনসাধরণের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। লোকসমাজে ও নেতাকর্মী ছাড়াও সমর্থকদের মধ্যে সমালোচিত হচ্ছেন রাব্বানী, মামুন ও পাপুল সরকার।
তবে, এনিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শরিফ খাঁন বলেন, তানোর আ’লীগ সভাপতি ও সম্পাদক নিজেরাই বিতর্কিত। জেলা ও কেন্দ্র কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়াই কোন বিতর্কিত নেতাকে কিভাবে যোগদান করান, তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা বিষয়টি জেলা কমিটির সিদ্ধান্তে কেন্দ্রীয় কমিটিকে অবহিত করবো।
তবে, এব্যাপারে সভাপতি গোলাম রাব্বানীকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও রিসিভ হয়নি। ফলে তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গ, গত ৩০ জানুয়ারী মুন্ডুমালা পৌরসভা নির্বাচনে আ’লীগের বিদ্রোহী সাইদুর রহমান ৬১ ভোট বেশি পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি জগ প্রতীকে মোট ৫৪৫৯ ভোট পান। তবে, আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী আমির হোসেন আমীন মাত্র ৬১ ভোটে পরাজিত হন।
অপরদিকে, তানোর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত ইমরুল হক ৫ হাজার ৪১৫ ভোট বেশি পেয়ে মেয়রপদে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি নৌকা প্রতীকে মোট ১২ হাজার ৬৩২ ভোট পান।